তামান্না কদর

সমাজ কর্মী

বিধাতা পুরুষের পরিমন্ডলে ধর্ষণ

ধর্ষণ বলতে সাধারণভাবে বলা যায় যে, কোনো লোক অন্যকোনো স্ত্রীলোক বা মহিলা শিশুর সাথে তার সম্মতি বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক যৌনসঙ্গম করলে তাকে ধর্ষণ বলা হবে। ধর্ষণ এর সংজ্ঞা বাঙলাদেশ দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় উল্লেখ আছে। উক্তধারায় বলা হয়েছে যে, যে-লোক ব্যতিক্রম ক্ষেত্র ব্যতীত নিম্নোক্ত পাঁচ প্রকারের যেকোনো একটি অবস্থায় কোনো নারীর সাথে যৌনসঙ্গম করে, সেই লোক ‘নারী ধর্ষণ’ করে বলে গণ্য হবে।


১/ কোনো নারীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌনসঙ্গম,
২/কোনো নারীর সম্মতি ব্যতীত যৌনসঙ্গম,
৩/মৃত্যু বা জখমের ভয় দেখিয়ে যৌনসঙ্গমে স্ত্রীলোকটির সম্মতি আদায়,
৪/স্বামী না হওয়া সত্ত্বেও পুরুষটি যদি জানে যে স্ত্রীলোকটি ভুল করে তাকে স্বামী বলে বিশ্বাস করেছে এবং
৫/স্ত্রীলোকটির বয়স ১৪ বৎসরের কম হলে।
(সূত্র: সর্বশেষ সংশোধনী ও উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তসহ-২০০৩ সনের সংশোধনীসহ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০/মোঃ আবুল কালাম আজাদ। এর তৃতীয় সংস্করণ-৭ জানুয়ারি, ২০০৫)


২০০৫-এ খুব বেশীদিন আগের কথা নয় কিন্তু মনে হয় যেনো ১৯০৫ সালের আইন। অবাক করা এবং নিরাশ করা সব বাক্য দিয়ে ধর্ষণের সামগ্রিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পাওয়া যায় প্রণীত বইটিতে যা আইন দ্বারা সিদ্ধ। যেমন ‘সতীত্ব হচ্ছে নারীদের জীবনের সব চাইতে মূলবান সম্পদ, তাই এ সতীত্ব রক্ষা করা প্রতিটি নারীর পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু যখন কোনো যুবতী বা স্ত্রীলোক চলাফেরায় কিংবা বসবাসে সতর্কতা, সাবধানতা অবলম্বন করে না বা দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলা করে তখনই সতীত্ব হরণের প্রশ্ন ওঠে থাকে।’

অসাধারণ হয়ে থাকে সবসময় আইন এবং বিধানগুলো! কেননা এই আইন এবং বিধিবিধান প্রণেতারা সকল সময় পুরুষ। অথবা কখনো সখনো পুরুষমগজজাত নারী। তারা তাদেরকে সবরকম অপরাধ এবং অপরাধবোধ এর দায় থেকে নিজেদের বাইরে রেখে নারীর হেফাজতের নামে আইন বানায়। এ অনেকটা মূলধন খেয়ে লাভ দেয়ার মতোন। প্রশ্ন হচ্ছে সতীত্ব কেনো নারীর বেলাতেই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ? যদি তাই-ই হয় তবে এই সমাজ কেন নারীকেই পণ্য করে তোলার জন্যে নিরন্তর কৌশল-প্রয়াস চালায়? অবশ্য সম্পদ মূল্যবান হলে তাকে মূল্যবান পণ্যে পরিণত করা সহজ। কেন পতিতাবৃত্তিকে সনদ দেয় আবার দেয় না? পতিতা হবার পর বা তার আগমুহুর্তটিতে নারীর ‘নারীলিঙ্গ’টি বিলীন হয়ে যায় প্রকৃতিগত অথবা পরিমন্ডলগতভাবে? প্রশ্ন করি- নারীর এই মূল্যবান সতীত্ব কার জন্যে? সতীত্ব যদি শুধু নারীরই মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকে এবং তা হরণের প্রচ্ছন্ন আহবান সমাজ পুরুষকে দিয়েই থাকে তবে ধর্ষণের বিচার হওয়া কতোটা যুক্তিযুক্ত? কেননা মানবিকবোধসম্পন্ন মানুষ মাত্রই জানি বিচার মানুষেরই হয়, পশুর নয়।


আঘাতের চিহ্ন না থাকলে ধর্ষণ হবে না : সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ কর্তৃক একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাকে ধর্ষণ করা একটি দুরুহ কাজ। উপরন্তু কোনো নারীর উচ্ছার বিরুদ্ধে তার সাথে যৌনসঙ্গম করা হলে, সেক্ষেত্রে উক্ত নারীর দেহের বা শরীরের কোনো না কোনো অংশে বা জায়গায় জখম বা আঘাতের চিহ্ন থাকবে এবং ইহা মেডিক্যাল রিপোর্ট দ্বারা সমর্থিত হতে হবে। কারণ ধর্ষিতার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলে তাকে ধর্ষণ বলা যাবে না।’

সত্যি, পুরুষ দ্বারা রচিত আইনে এরচেয়ে উন্নত কিছু পাওয়া বা আশা করা যায় না। এ ভীষণ নির্দয় উপহাস মানবিক মূল্যবোধের। যে পরিমন্ডল নারীকে তার শরীর, মন চিনতে ও বুঝতে না শিখিয়ে বরং এ-বিষয়ে অজ্ঞ রাখার সমস্ত কৌশল প্রয়োগ করে তার নির্যাতিত শরীরে ‘জখম বা আঘাতের চিহ্ন’ থাকতেই হবে? তাও আবার মেডিক্যাল রিপোর্ট দ্বারা সমর্থিত হতে হবে?

“1969.2 Grej. l.r-256- কোনো বয়স্ক মহিলাকে ধর্ষণ করা হইয়াছে মর্মে অভিযোগ তোলা হইলে তাহাকে ইহা প্রমান করিতে হইবে যে, তাহার সম্মতি ব্যতীত অথবা তাহার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাহার সহিত যৌন সহবাস করা হইয়াছে। আসামিকে ইহা প্রমান করিবার আবশ্যক নাই যে, উক্ত মহিলার সম্মতি লইয়া যৌন সহবাস করা হইয়াছে।”--অমানবিক মূল্যবোধে ঠাসা এইসব কালাবিধি মানব সভ্যতার অস্তিত্বকে কেবলি বৃদ্ধঙ্গুলি প্রদর্শন করে। আইনের নানান মারপ্যাচ এবং সামাজিক প্রহরায় ধর্ষণের সংজ্ঞা আরো নানানরকম হতে পারতো। যা হোক, আরো এক ধরনের ধর্ষণ আমাদের পরিমন্ডলে তথাকথিত সমাজে নিত্যদিন ঘটে চলেছে। কিন্তু আমরা এটাকে কখনো ধর্ষণ বলি না এবং এই ধর্ষণের ফলে সৃষ্ট মানবশিশুগুলিকে কখনো অবৈধ বলি না। অবশ্যি অবৈধ বলে কোনোও মানবশিশুর অস্তিত্বকে আমি অনুভব করি না।

শারীরগত ধর্ষণের একটি মানবিক সংহজ্ঞা আমি এখানে দিতে চাই। ‘ধর্ষণ হলো-ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌনক্রিয়া, ধর্ষণ হলো-ইচ্ছের ভেতরে যৌনক্রিয়া-যেখানে কোনোও কিছুর আশ্বাস প্রদান করা হয়। অর্থাৎ ধর্ষণ হলো- এর বাইরের সমস্ত প্রক্রিয়টুকু যেখানে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের (নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ, নারী-পুরুষ) শুধু যৌনবাসনা পূরণ করা ছাড়া দুটি দেহের অথবা দুটি মনের অথবা দুটি মানুষের পরিমন্ডলগত অন্যকোনো বিষয়াবলী জড়িত না থাকে।’

প্রতিদিন ঘরে ঘরে বিবাহিত নারীপুরুষের মাঝে আমাদের পরিমন্ডলে ধর্ষণ সংঘটিত হয়। আমরা এটাকে কখনো ধর্ষণ বলি না, আমাদের পরিমন্ডল এটাকে ধর্ষণ বলতে কোনোক্রমেই ইচ্ছুক নয়। কেননা বিয়ে নামক অসমচুক্তি দ্বারা পুরুষ অধিকার করে নারীকে, কেননা পুরুষ তার চেতন এবং অবচেতন মনে জায়গা করে দিয়েছে ধর্ষণের ফলে নারীজীবনে মানবসৃষ্ট ভয়াবহ রুপটি। ধর্ষণ যতোটা না শারীরিক এবং মানসিক আক্রমণ তারচেয়ে সহস্রগুণ, লক্ষগুণ বা অসীম আক্রমণ হচ্ছে সামাজিক আক্রমণ। যার ফলে নির্যাতিত মানুষটি নিজেকে নিজে মেরে ফেলবার মতো সিদ্ধান্ত নিতে কখনোকখনো ভীষণ দুঃসাহসী হয়ে ওঠে। ধর্ষকের শাস্তি হয় না, শাস্তি হয় নির্যাতিতের। পরিমন্ডল নির্যাতিতকে ভাবতে শেখায় না যে-নির্যাতিতের কোনো অপরাধ নেই, লজ্জা তার নয়। নির্যাতিতকে ভাবতে শিখিয়েছে-সতীত্ব তোমার আসল সম্পদ, এটি লুট হয়ে গেছে। যেনো ধর্ষণের পর নারীলিঙ্গটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

ঘরে ঘরে যে ধর্ষণটি সংঘটিত হয় দম্পতিদের মাঝে সেখানে বিয়ে নামক একটি চুক্তি ধর্ষকের অপরাধকে অপরাধের মধ্যেই আনতে চায় না। সাধারণত দম্পতিদের মাঝে নারীলিঙ্গের মানুষটিই ধর্ষণের শিকার হয়। সে কষ্ট পেলেও, হরমোন ক্ষরিত না হলেও, তার শরীর উদ্বেলিত না হলেও যৌনক্রিয়া নামের এ ধর্ষণটিকে মেনে নেয় এজন্যে যে, এতে ধর্ম, পরিমন্ডল এবং রাষ্ট্রীয় চোখ তাকে ধর্ষিতা বলে বিবেচনা করবে না। এই ধর্ষণের ফলে সৃষ্ট সন্তানটির পিতৃত্বের জন্যে তাকে কোনোও সামাজিক বা আইনি যুদ্ধে অংশ নিতে হবে না। এতে পরিমন্ডলগতভাবে হেয় হবার কোনোও সম্ভাবনা নেই। এখানে একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে, তবে কি আমি চাইছি যে নারীরা দাম্পত্য জীবনে ধর্ষিতার অপবাদ নিয়ে আরেকপ্রস্থ যুদ্ধের, অপমানের মুখোমুখি হোক? প্রশ্নটি অত্যন্ত সাদামাটা গোছের, গভীরভাবে কিছু না ভেবেই প্রশ্ন। আমি দেখাতে চেয়েছি যে, ধর্ষণ আসলে আমাদের পরিমন্ডলে শারীরিক এবং মানসিক অশান্তিকে ছাড়িয়ে সামাজিক অশান্তিতে ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। ধর্ষক কোনো অপবাদের শব্দ নয় এখানে নির্যাতিত ছাড়া। শরীর এবং মনের যন্ত্রণা একসময় ক্ষীণ হয়ে আসার সম্ভাবনা থাকে নির্যাতিতের কিন্তু সামাজিক অশান্তি থেকে যায় তার আমৃত্যু। যদি এমন হতো আমাদের পরিমন্ডলে ধর্ষণের ফলে নির্যাতিতের কোনোওরুপ সামাজিক নোংরা মন্তব্য, অশান্তি যুক্ত হচ্ছে না তবে নির্যাতিতের বজায় থাকতো তার মানসিক ও সামাজিক সত্ত্বা। সে তখন শুধু শারীরিক আক্রমণের শিকার। যদিও এ আক্রমণটিকে কোনওভাবেই হাল্কা করে দেখবার কোনোও উপায় নেই বা যুক্তি নেই তবু বলবো এ আক্রমণটি সামাজিক আক্রমণের থেকে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই লঘু।

ধর্ষণ বেবুঝ এবং অবুঝ নারীকে ভাবতে শেখায়, যেহেতু পুরুষশাসিত সমাজ এভাবেই ভাবতে শিখিয়েছে, তার ফায়দা নিতে পেরেছে সবসময় যে, ধর্ষণ সংঘটিত হবার সমস্ত দায় নারীর। নারীর শরীর তার নিজের বৈরি, সে নিজে প্রলুব্ধ করতে পারে এবং করেই বলে ধর্ষণ সংঘটিত হয়। আসলে ধর্ষণ একটি ভয়াবহ সামাজিক আক্রমণ আর তাই ধর্ষণ সংঘটিত হবার জন্য নারীর শরীর বা প্রলোভন কোনোটিই নিয়ামক নয় এবং সেইসাথে ধর্ষণ পুরুষের জন্যে একটি অতিমাত্রায় বিকারযুক্ত সামাজিক রুচিবোধ যেটি সে বাস্তবে সংঘটিত করতে সাহস দেখায়। কেননা পরিমন্ডল তাকে রক্ষা করতে সবসময় সচেষ্ট থাকে অখবা সে অবাস্তবে এবং কমবাস্তবে অর্থাৎ মুখের ভাষায়, চোখের ভাষায়, দূরত্বগত এবং নিকটগত শারীরিক ভাষায় বা মনে মনে ধর্ষণ সংঘটিত করে। বলা প্রয়োজন যে, মনে মনে সংঘটিত ধর্ষণে অন্যপক্ষের তেমন বিশেষ কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয় না, হয়ই না। কিন্তু মুখের ভাষায়, চোখের ভাষায়, সংঘটিত ধর্ষণ-যেটি সমাজ ইভটিজিং বলে খুব হালকা করে দেখতে অভ্যস্থ তা নারীর মানসিক চাপ বাড়িয়ে জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলে। যে কাজটি হতে পারে শুধুই আনন্দের তা হয়ে ওঠে অত্যন্ত যন্ত্রণার এবং অপমানের শুধু সমাজ এবং পুরুষের বিকারযুক্ত রুচির কারণে।

অনেক প্রগতিশীল(!) শিক্ষিত পুরুষকে বলতে শোনা যায়- ‘ধর্ষণ একটি স্বাভাবিক বিকৃত রুচি, যৌন চাহিদায় যেখানে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। তাই এর শাস্তি লঘু হওয়া উচিত।’ মূলত এমন মানসিকতার জন্যেই নারীকে অপমান সয়ে যেতে হয়। যদি প্রকৃতি এমন একটি জীন পুরুষের জেনেটিক কোডে স্থাপন করে দিয়ে থাকে যাতে পুরুষ এমন বিকারযুক্ত রুচিবোধের পরিচয় দিয়ে ফেলতে পারে তাহলে বলবো যে, আমরাতো প্রকৃতির ওপর আধিপত্য বিস্তার করে সভ্যতা নামক একটি অতিকাঙ্খিত বিষয় আবিস্কার করেছি সুস্থ জীবন যাপন, পশু থেকে নিজেদের আলাদা করবার তাগিদে; প্রকৃতির ওপর সমস্ত ভার ছেড়ে দিয়ে মানবজাতি বসে থাকেনি।

ধর্ষিত নারী সবসময় ভাবে ধর্ষণের ফলে তার শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি ভিন্ন অন্য একটি ক্ষতির কথা আর তা হলো সামাজিক ক্ষতি। এটি প্রকৃতি ভাবতে শেখায় নি, শিখিয়েছে আমাদের সভ্য সমাজের পাশাপাশি গড়ে উঠা অসভ্য সমাজ, পরিমন্ডল। আমাদেরকে এই পরিমন্ডল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে খুব দ্রুত নইলে সভ্য পরিমন্ডল মুখ থুবড়ে পড়বে। নারী শরীর কখনো ভালোলাগা ছাড়া সাড়া দেয় না, তাই অনিবার্য ধর্ষণকে উপভোগ্য করে তোলা তার পক্ষে সম্ভব হয় না। এখানে প্রসঙ্গক্রমে চলে আসার সম্ভাবনা থেকে যায় যে, তবে যে-সব মানুষ কোনোও বিছুর বিনিময়ে শরীরিভাষা নিত্যপাঠ করে এক বা একাধিকের সাথে তখন সেখানে কেমন ভালোলাগার বিনিময় ঘটে?

নিজকে পন্য করে নেয়ার প্রক্রিয়াটিও নানা শাখাপ্রশাখায় বিস্তার লাভ করেছে। যদিও নারীর পন্য হওয়া কোনোওভাবেই আমি সমর্থন করি না এবং এও বিশ্বাস করি যে, নারী স্বেচ্ছায়-সচেতনে কখনো নিজেকে পন্য করে তোলে না। পন্য হবার পরিবেশ এবং ক্ষেত্রবিশেষে মানসিকতা তৈরি করে দেয় পরিমন্ডল। যতোদিন কোনোও একটি নারী পন্যের মতো ব্যবহার করতে বাধ্য হবে ঠিত ততোদিন পর্যন্ত নারী হিসেবে নিজেকেও তাদের থেকে আলাদা করতে পারবো না। যেখানে সামান্যতমও সুবিধে বা বিনিময়ের মাধ্যমে যৌনক্রিয়া সংঘটিত হয় সেখানে ভালোলাগা কাজ করে না, কোনোওভাবেই সম্ভব নয়। নারী তখন শুধু নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে দেহে; মেধা, মনন, প্রজ্ঞা বা শিক্ষায় নয়।

বিষয়টা এতোটাই বিস্তৃত যে এখানে আর তার পরিস্ফূরিত ব্যখ্যা দেয়ার অবকাশ পাচ্ছি না তাহলে ধর্ষণ নিয়ে যে পরিব্যাখ্যাটি লিখতে শুরু করেছিলাম তার খেই হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হয়ে যায়। যদি ধর্ষণের সঙ্গাটি পুনর্বার মনে করি তাহলে পন্যনারীর দৈহিক মিলনটি এক ধরনের ধর্ষণ। কেননা এতে রয়েছে পারস্পরিক সমঝোতায় যৌনসুখ পাবার সাথে অথবা একপক্ষের তথা পুরুষের যৌনসুখ পাবার সাথে আরো একটি বিষয় আর তা হলো, সুবিধে বা অর্থপ্রদান।

4695 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।