রুমানা রশিদ রুমি

রুমানা রশীদ রুমী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ হতে স্নাতক আর স্নাতকোত্তর ড্রিগ্রি নেবার পর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় এম বিএ করেন। বর্তমানে আইন বিজ্ঞানে অধ্যায়নরত। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতাকে। ছিটকে পড়ে যোগ দেন ব্যাংকে। লেখালিখি আর কাটখোট্টা ব্যাংকিং এক সাথে তাল মেলাতে না পেরে বর্তমানে আছেন ‘দি বাংলাদেশ মনিটর’ এর ‘ফিচার রাইটার”হিসেবে। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ম্যাগাজিন ‘রংঢং’। নিয়মিত লেখেন ‘দি বাংলাদেশ অবজারভারে”। লিখছেন বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায়। কাজ করছেন নারী সম্পদ নিয়ে। ‘শূন্য প্রকাশ’ প্রকাশনী থেকে ২০১৫ সালের ‘একুশে বইমেলায়’ বের হয় তাঁর প্রথম ফিউশন ‘জয়িতা’। পাঠকের উৎসাহে চৈতন্য প্রকাশনী থেকে বের হচ্ছে “এ শহরের দিদিমনি “।

শ্রমবাজারকেই গৃহকর্মের মূল্য দিতে হবে : নারী বৈষম্য

গৃহিনীদের গৃহকর্ম অবমূল্যায়ন করাকে anti-capitalist activist বলে মনে করা হয়। বিশ্বের অর্ধেকের বেশী নারীর গৃহকর্ম অবমূল্যায়ন নবগঠিত পুঁজিবাদের শোষণ বলে ধরা হয়। নারীর মানসিক শ্রম রক্ষার জন্য তাই পুঁজিবাজারকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। শ্রমবাজারকেই গৃহকর্মের মূল্য দিতে হবে নচেৎ নারীবৈষম্য দূরীকরণের সব চেষ্টা বৃথা আস্ফালন হবে মাত্র ।

এ ব্যাপারে আরও সমীক্ষা চালানোকে দৃষ্টিগোচর করতে ২০১৫ সালে অ্যাক্টিভিটিস্ট Lauren Chief Elk একটি hashtag চালু করেন। #GiveYour Money to Women নামে প্রচারণা চালানো হয় তাতে।

নারীর গৃহকর্মকে অবমূল্যায়ন করা প্রসঙ্গে বছরের পর বছর অনেক গবেষণায় দেখানো হয়েছে গৃহকর্ম এক অর্থে unpaid. আর মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী সেই unpaid কাজের সাথে যুক্ত। তাদের কাজকে অন্তর্ভূক্তিকরণ না করে নারীবাদ হবে অসম্পূর্ন। কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতন উন্নত দেশের নারীবাদীরা এই ঘরে থাকা নারীদের সমাজ ও অর্থনীতির জন্য বোঝা মনে করেন। তাদের তুমুল প্রতিবাদের মুখে নীতি নির্ধারকরা নারীকে শ্রমবাজারে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সামাজিক অবকাঠামো গড়ে তুলতে ডে কেয়ার সেন্টারকে প্রাধান্য দিয়েছেন।

কিন্ত, মিলিয়ন ডলার খরচ করে নারীকে শ্রমবাজারে সংযুক্ত করতে ডে কেয়ার ধোপে টিকছে না। OECD ভুক্ত দেশগুলি যেমন : অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, চিলি, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক,  ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানী, গ্রীস, আইসল্যাণ্ড, আয়ারল্যান্ড, ইটালি, জাপান, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, সাউথ কোরিয়া, স্পেইন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি দেশগুলিতে ডে কেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়। তার ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে যে বেশীরভাগ ডে কেয়ার নিম্নমানের। কর্মজীবি মায়েরা  বরং মা, বোনকে বেশী বিশ্বস্ত মনে করেন। মা, বোন, শ্বশুড়িসহ অন্য নারীর সহায়তা ছাড়া কাজের সুযোগ নারীরা পাচ্ছে না। যেখানে অন্য আরেকটি নারী কর্মসুযোগ হারাচ্ছে।

ভারতের রাজস্থানে নারী কাজে অংশ নিলে সে সময় প্রায় ৭০ ভাগ নারী  তার সন্তানকে অন্য আরেকটি সন্তান দেখভাল করতে ব্যবহার করে যা তার বেড়ে ওঠা, লেখাপড়ায় ক্ষতি করে। এরূপটি কেনিয়াতেও। কেনিয়ার নারীদের ডে কেয়ার সেন্টারের মতো সামাজিক অবকাঠামো তৈরি করে নারীর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সুযোগকে কেনিয়ার নারীরা আপত্তি তুললেন যে সন্তানের পর্যাপ্ত দেখভাল ডে কেয়ারে হয় না। তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পর্যাপ্ত পড়াশুনা থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি হোমস বা ডে কেয়ার থেকে বের হয়ে আসা জেনারেশন আদতে মা বাবার কাছে বড় হওযা সন্তানের থেকে অধিক মূল্যবোধ ও শিষ্টাচার শিখতে পারছে বলে কোনো গবেষণায় উঠে আসে নি।

অথচ ২০ জুলাই, ২০১০ এ The Newyork times এর The stigma of being a housewife শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে এ বলা হয়-সুইডেনের স্টোকহোমে হাউজওয়াইফ শব্দটি এখন বিলুপ্তপ্রায়। আর নরওয়েতে the Housewives’ Association তাদের নাম বদলে The Women and Family Association করেছে। ২ সন্তানের জননী নারীবাদী Charlotte Koren মনে করেন- “The reference to housewife was just too embarrassing,” তাদের কাছে সচ্ছল কর্তার স্ত্রী হয়েও শুধু গৃহকর্মকে নিয়ে ব্যস্ত নারীকে সমাজের বোঝা ধরে নেয়া হয়। কারণ স্ত্রী হিসেবে তিনি ঘরে আসার পর গৃহকর্মী বাবদ খরচটি কমেছে যা আদতে মোট জিডিপি কমার কথাই মনে করিয়ে দেয়।

কিন্ত শুধু জিডিপির কথা ভাবলাম অথচ ভবিষ্যৎ যে প্রজন্মের জন্য এ অর্জন তাদেরকে পর্যাপ্ত সময় না দেয়ায় এক অপরাধপ্রবণ জেনারেশন তৈরি করবে তেমন কিছুই বেশীদিন টিকবে না। এমন গুরুত্বকে সামনে রেখে  Dr sarah Wise একটি গবেষণা করেন Australian institution of family studies of Austarlian Government এর সহায়তায়। তার Building relatuiioship between parents and cares in early childhood শিরোনামের এ গবেষনায়  বলা হয়-ডে কেয়ার গুলোতে বড় হওয়া সন্তানেরা  ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করা বা বাবা-মার সাথে প্রাত্যহিক প্রথা মেনে চলার সংস্কৃতি হতে বঞ্চিত হয়। তা তার বাবা মায়ের সাথে একটি দূরত্ব তৈরি করে। এজন্য প্রি স্কুল অথবা ডে কেয়ারের বাল্য শিক্ষা কারিকুলামে তারা শিশু সংস্কৃতি, সন্তানের যত্নে পরিবেশে সাংস্কৃতিক বিষয়গুলি অন্তর্ভূক্তকরণ, ধর্মীয় উৎসব উদযাপন, সন্তানের বাড়ির ভাষাকে সমর্থন ও সম্মান করার পরামর্শ দিচ্ছে। শিশুর নিষ্পাপ মনে অসুরক্ষিত, ভীত, হতাশ বা বিভ্রান্ত পরিবেশের প্রভাব না ফেলতে গুরুত্ব দিচ্ছে। সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছে যারা যত্ন নিচ্ছেন তাদের সাথে পিতামাতার ধারাবাহিক ও সার্বক্ষনিক যোগাযোগ কে।

তাহলে এটা পরিষ্কার একমাত্র শ্রমবাজারে গৃহকর্মকে অন্তর্ভূক্ত না করায় এই বিপুল সংখ্যক নারীর এমন গুরুত্বপূর্ন কাজকে unpaid বলে গণ্য হচ্ছে। তাই মারিয়া মিজ তার বই Patriarchy and Accumulation on a World Scale এ স্বীকার করে নিয়েছেন, যদি আমরা সত্যিই পরিবর্তন করতে চাই তাহলে একই সাথে অনুন্নতও উন্নত দেশে নারীর সংহতি থাকতে হবে : "যদি একজন মহিলা একজন ভোক্তাদের মতোই তার মজুরি হিসাবে ভালো করার চেষ্টা করেন, কিন্ত মানবীয় হলেন না, তাহলে নারীদের আরেকটি অংশকে সংকুচিত করে দেওয়া হবে। এবং মূল কর্মশালার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি দূর করার চেষ্টা বৃথা হবে।"

তাই নারী –পুরুষ নির্বিষেশে গৃহকর্মে অংশ নেবার কথা বলা হয়েছে। এবং শব্দটিকে “হোমমেকার “বলে সম্মান পূর্বক যৌথ কাজ করাকে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। কিন্ত শুধু উৎসাহে কি হবে? ‘একটি ভালো মা হওয়া অত্যন্ত কঠিন যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে। আপনি সুস্থ শিশু উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন অথচ একইসাথে একটি জীবিকা অর্জন করতে চান তাহলে তা অত্যন্ত কঠিন। কেননা সময়টা ভাগ হয়ে যাচ্ছে।’ এমনটা বলেছেন Cindy L'Hirondelle, ২০০৪ এর জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারিতে  লেখা তার বই Housework Under Capitalism,The Unpaid Labor of Mothers এ।তিনি বলেন-

‘একক অভিভাবক হিসাবে’ আমি নিজেকে সমাজের দু’টি অসঙ্গত দাবি মেনে চলার চেষ্টা করছি:

১) একজন ভালো মাতা এবং,

২) নীরব থাকুন এবং একটি জীবিকা অর্জন করুন। তাই আমি উভয়ের মধ্যে একটি আপস করছি। ‘

নারীবাদী রেভা লন্ডাউ ১৯৯২ সালে নারীবাদী সমস্যাগুলিতে নারীদের সতর্ক করে দেয় যে, কয়েক বছর ধরে বাচ্চাদের দেখাশোনা করার জন্য চাকরি ছেড়ে দেওয়ার ফলাফল হলো আপনার  সম্পর্কে অপপ্রচার হবে আপনিই অদক্ষ কিংবা আপনার কোনো সমস্যা আছে, প্রশিক্ষণ সুযোগ হতে বঞ্চিত হবেন যা আপনার কর্মদক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করতো এবং একজন কর্মী যিনি ধারাবাহিকভাবে কাজ শেষ করে পেনশনে গেলেন তার অবদানগুলির জন্য তাঁর প্রাপ্ত সুবিধা হতে আপনি বঞ্চিত হলেন। যা আপনার জীবনযাত্রার জন্য একটি অর্থনৈতিক জরিমানা। পুরুষকর্মীরা বাড়ির কাজ করে এমন নারীদের অপেক্ষা কর্মক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত সুবিধা ভোগ করে, অথচ বাড়িতে নারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী কোনো মজুরি নেই।

২০০০ সালের নারীদিবসে একটি গ্লোবাল উইমেন স্ট্রাইকে (www.globalwomenstrike.netX) বলা হয় যদি পুরুষেরা গার্হস্থ্য কর্মের ভাগ নেয়ার অনুমতি না দেয়, তাহলে নারীদের ধর্মঘট করতে হবে। গ্লোবাল উইমেন স্ট্রাইকের আয়োজকরা দাবি করেন, অনুমান করা হয় যে এই পৃথিবীতে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৫২% এবং ১০০ভাগ কাজের ৭৫ ভাগ কাজই করে নারী। এই সমস্ত কাজ যারা করতে পারেন তারা  পরিবর্তন করার জন্য প্রকৃত ক্ষমতা রাখে।

মারিয়া মিজ মনে করেন-একটি পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় নারীরা সমস্ত দিনে বিনামূল্যে শ্রম প্রদান করে যেখানে সে মুক্ত নয়। বাড়িতে কোনো বিশেষ অতিরিক্ত মানুষ নেই এবং স্কুলে কোনো স্বেচ্ছাসেবক নেই। এটা নারীদের ক্লান্ত করে তোলে। তাই উচিত গৃহিনীরুপী স্বেচ্ছাসেবকদের বিনামূল্যে কাজ করা বন্ধ করা। কেননা তা এমন একটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তা কেবল আমাদেরকে এবং পৃথিবীটিকে হত্যা করে।

একটি গৃহিনী নারীকে সন্তান পরিচর্চার সীমাবদ্ধতার মধ্যে ফেলে দিয়ে একই সাথে তাকে কর্মক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা নারী ক্ষমতায়ন বা নারীর অগ্রগতির জন্য বিপরীতমুখী ও সাংঘর্ষিক ইস্যু। সেক্ষত্রে নারী শিক্ষিত হবে, অর্থনৈতিক স্বচ্ছল হতে উদ্গ্রীব হবে। কিন্ত একই সাথে সংসার বা পরিবার বিমুখ হবে এবং সন্তান গ্রহণে অসম্মতি প্রকাশ করবে। সন্তান শুধু তার একার নয়, নারী বিবর্জিত পৃথিবী কেমন হয় এমনটা বোঝাতে সামাজিক যোগাযোগের রং বেরং এর প্রোফাইল ব্লাক করার উদ্যোগ নিয়েছে নারীরা। যা এক নিরব প্রতিবাদ। স্পার্মব্যাংক হতে সন্তান গ্রহণ করে সিঙ্গেল মাদার হবার নমুনা বলে দেয় কি সাংঘাতিক সামাজিক বিপর্যয় আসতে যাচ্ছে। যেখানে এই নারীর সন্তান লালন তার একার sacrifies। তাই তার কাছে সন্তান তার দূর্বলতা নয় বরং চ্যালেঞ্জ এমনটা প্রমাণ করতে আগ্রাসী নারীরা ভাবতে শিখছেন সন্তান সে একাই জন্ম ও লালনে সক্ষম, আর পুরুষ তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী। এমন স্ট্রাইক চলতেই থাকবে। এবং সামাজিক অস্থিতিশীলতাও চলতে থাকবে। নারীদের এহেন প্রকট সমস্যা এখন শুধু নারীর একার সমস্যা নয় বরং সামাজিক সমস্যা।

পুরানো গবেষনায় যে সমাধান বাতলে দিয়েছিলো :

১) অন্য শ্রমিকদের সাথে পাল্লা দিয়ে নারীদেরকে কাজে লাগাতে হবে। পুঁজিবাদী পুঁজিপতিদের কাছ থেকে সমান মজুরী "অধিকার" হওয়া উচিত। এখানে পুরুষ ও নারীর উভয়েরই সমান সুযোগ দেওয়া বলতে কোনো ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগকর্তাদের জন্য একরকম অত্যাচার, যা কোনো সমাধান নয়।

২) শিশুরা ডে কেয়ার সেন্টারগুলি পর্যাপ্ত না হওয়ায় তা পূর্ণ সমাধান দিচ্ছে না। ডে কেয়ার নামক গুদামজাত শিশু যাতে বাবা-মায়ের সাথে ও সমান সময় কাটাতে পারে আবার ওই বাবা মা শ্রমবাজারে অন্তর্ভূক্ত থেকে এমন কাজ করতে পারে যা নিয়োগকর্তাদের ওপর শোষণ হবে না এমন একটি সমাধান তো চাই।

তাই আশু সামাজিক বিপর্যয় থেকে সমাজকে রক্ষা করতে শ্রমঘন্টায় সন্তান লালন পালনের মূল্য সংযোগ করে নারী পুরুষ উভয়কে হোমমেকার ভূমিকায় আসতে হবে। এবং নারী বৈষম্য দূর করতে শ্রমবাজারকেই গৃহকর্মের মূল্য দিতে হবে। মজুরী প্রদানের সময় গৃহকর্মের সময় অন্তর্ভূক্ত করে মজুরী প্রদান করতে হবে । নারীর অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টির জন্য যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন নীতিনির্ধারকেরা সেখানে সন্তানের জন্য Quality time বের করতে বাবা মার গৃহে অবস্থান এবং শ্রমবাজারের নারী –পুরুষ প্রতিযোগিতামূলক এ দ্বন্দ্ব এখন নারীর একার সমস্যা নয় এটা একটা সামাজিক সমস্যা বিবেচনা করে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি তার CSR(corporate social responsibility) এর মধ্যে বাৎসরিক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, পিকনিকসহ মজুরীতে হোমমেকার শ্রমঘন্টার মূল্য অন্তর্ভূক্তি করতে পারেন। শ্রমিকের বেতন ভাতার সাথে চিকিৎসা, যাতায়াত, বিনোদন ও উৎসব ভাতা অন্তর্ভূক্তি হতে পারলে হোমমেকার শ্রমঘন্টার অন্থর্ভূক্তি কেনো হবে না? শিশু –কিশোর অপরাধ হ্রাসেও এটা ভূমিকা রাখবে। সামাজিক বলয়ের মধ্যেই পুঁজিবাদের উন্নয়ন করতে হবে। শ্রমবাজারকেই গৃহকর্মের মূল্য দিতে হবে যা হবে একটি অন্যতম ইতিবাচক কৌশল । 

1943 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।