নারীর মননে সেক্স নিষিদ্ধ করে রেখেছে কারা? কেনো সেক্স নারীর কাছে ট্যাবু এবং অনুপোভোগ্য? বাঙালি মধ্যবিত্ত প্রতিটি দাম্পত্য জীবনে সেক্স একটি মৃত অধ্যায়। সেক্স নিয়ে কথা বলা নোংরামি। অশ্লীলতা। তাদের সেক্সুয়াল জীবন শেষ হয়ে যায় চল্লিশের আগে। তখন নারী সেক্স পর্ব শিকেয় তুলে ফেলেছে। পুরুষ হাফ ইম্পোটেন্ট। এখানে সেখানে ঢু মারছে।
অথচ এটা নিয়ে কোনো কথা বলা অপরাধ। ট্যাবু। নারী লেখকরা এটা নিয়ে লিখলে মুটামুটি পর্ণলেখা হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁর প্রতি বুলিং শুরু হয়ে যাবে। লেখককে কামকাতর অভিহিত করে অশ্লীল বাক্যবাণ নিক্ষেপ শুরু হয়ে যাবে।
অথচ এ নিয়ে কথা বলা ছাড়া উপায় নেই এটি শিকার না করলে সমস্যাটি নির্ণয় এবং তার সমাধান সম্ভব নয় কোনমতেই। চিন্তা করে দেখুন নিজেদের অবস্থা। কে কোথায় আপনারা আছেন? আমাদের প্রিয়জন কেমন আছেন? একটু চোখ মেললেই দেখা যাবে আমাদের প্রিয় মানুষদের সমস্যার ডিজাইন একই ধরনের। তারা উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেদের জীবন এবং চারপাশের জীবন অসুস্থ করে তুলেছে।
সেবার আমার খুব কাছের এক বন্ধু আমায় লং ড্রাইভে নিয়ে গেলো। ঢাকা থেকে একটু বাইরে আশুলিয়া হয়ে গাড়ী এগিয়ে চলছে। আমি হঠাৎ রাস্তার দুপাশে ছোট্ট ছোট্ট চালা ঘর যা বাঁশের চার পায়ে দাঁড়িয়ে আছে দেখে খুব মজা পেলাম। আমি চেচিয়ে উঠলাম!
-আরে এগুলো কি?
গ্রাম দেশের কাঁচা টয়লেটের মতো অনেক ঘর একসাথে। লাইন দেওয়া। আমার বন্ধুর মুখে একটি ছায়া খেলে গেলো। আমি বুঝলাম না।
-কিরে? কথা বলছিস না কেনো? ও দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়লো।
-এগুলো হলো প্রেম করার জায়গা!
-মানে?
-ঐ ছাপড়াগুলোর ভেতর নগর জীবন থেকে বের হয়ে একটু হাঁফ ছাড়ে মানুষ। যা এক সময় বন্ধু বান্ধব আত্মীয়স্বজন কপোতকপোতির জন্য করা হয়েছিলো রেস্টুরেন্ট আকারে, আজ তা অনঅনুমদিত এক্সট্রা মেরিটাল প্রেমের আখড়া!
ওর মুখের দিকে তাকাতে ভয় পেলাম। তিন সন্তানের জননী। উচ্চ শিক্ষিত। ভাল সরকারি চাকুরী করে। বলেছিলো 'পরকীয়া'। শব্দটি উচ্চারণ করতে গিয়ে ওর মুখটা যেন থমথম করে উঠলো। আমি শব্দ করতেও ভুলে গেলাম। আমি ওর হাত চেপে ধরলাম।
-তুই এসব সহ্য করিস?
-না করে কি করবো?
-কি বলছিস এসব? তোর হাজব্যান্ডকে আমিও চিনি। ও কোনোদিন এরকম ছিলো না। তোকে বিয়ে করার জন্য পাগল ছিলো। একবার তোর অসুখ হয়েছিলো। আমরা তোকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। ও সারারাত তোর পাশে ছিলো। রাত বারোটার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দিয়েছিলো ছেলে বলে। ও সারারাত ব্যলকুনিতে দাঁড়িয়ে মশার কামড় খেয়েছিলো, তবু তোকে ছেড়ে ও কোথাও যায়নি।
আমার বন্ধুটি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। চোখ দুটো যেন কিছুটা চিকচিক করে ওঠে।
-তোর এত কিছু মনে আছে?
ও দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।
-সেতো অনেকদিন আগের কথারে। আজ ও আর আমাকে ভালোবাসে না। ও এখন অনেককে ভালোবাসে।
-অনেককে? ওরা কারা? কোনো অবিবাহিত মেয়ে? যাকে সে বিয়ে করতে চায়?
-নারে? তারাও বিবাহিত। বা ডিভোর্সড। একাকি। অসুখী কেউ। স্বামীর সাথে অসুখী। নগরজীবনের এক নতুন ফেনোমেনা। । ওরা ছুটছে এক্সাইটমেন্টের পেছনে।
-ওরা কি সুখী হচ্ছে এটা করে?
-না, ওরা ছুটছে। ওরা রেস্টলেস হচ্ছে। ওরা আরও অসুখী হচ্ছে। ওরা নিজেদেরকে ঘৃণা করছে। সে ঘৃণা অন্যের উপর ঢেলে দিচ্ছে।
আমি চুপ করে থাকি। আমি আমার বন্ধুর মুখের দিকে তাকিয়ে বেদনার এক সমুদ্র দেখি। আমি বোবা হয়ে বসে থাকি।
এমন গল্পে নগর জীবন ভরে গেছে। সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন। নিজেদের ভেতর দূরত্ব। মন থেকে দূরে সরে গিয়ে শারীরিকভাবে কাছে আসতে পারছে না। শরীর থেকে দূরে সরে গিয়েও নিজেদের ভেতর দূরত্ব থৈ থৈ করছে। জীবনের নিত্য আনন্দের উৎস তারা হারিয়ে ফেলেছে।
মানব জীবনে সেক্সের ভুমিকা অনস্বীকার্য। তাকে যত্ন না করলে ভালোবাসার মতো তা মরে যেতে থাকে। দু’জন মানুষ দু’জন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এখানেও জেন্ডার প্রশ্নটি চলে আসে। নারীর মনে চেপে থাকে কিছু বিষয়। ট্রমা। অপরাধবোধ। সেই চিরচরিত শেইম এন্ড ব্লেইম ফিলিং। তাদের সেক্সুয়াল জীবনে বড় রকমের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। সেক্স যে একটি উপভোগ করার বিষয় সে বিষয়ে তারা নিজেদের কাছে নিজেরাও অপরাধমুক্ত হতে পারে না। অকপট হতে পারে না। বিয়ে সম্পর্কে তারা শুরু থেকেই মনে করে তাদের কাজ স্বামীকে সুখী করা। এর বেশি তাদের সেক্সুয়াল জীবনে কোনো রোল নেই। ঠিক যেমন সংসারের অন্য ক্ষেত্রেও তারা নিজেদের রোল ডিফাইন করে থাকে।
বাঙালি দম্পতির সেক্সজীবনের ধারনা, পুরুষ থাকবে করিৎকর্মা আর নারী থাকবে নিশ্চল। এ ভুমিকায় সে সম্পূর্ণ সমর্পণ করে পুরুষের হাতে। পুরুষ তাকে যেমন খুশি ভোগ উপভোগ করবে আর সে পড়ে ‘মার খাওয়া’ প্রাণীর মতো নিজেকে একটি ভিক্টিম রোলে ছেড়ে দেবে। নারীটি মনে মনে প্রার্থনা করবে ‘কখন শেষ হবে, কখন শেষ হবে’। ‘পুরুষটির কাজ’ শেষ হলে তার ‘কর্তব্য’ শেষ হবে। পুরুষ হ্যাপি। সে ‘হ্যাপি’। না, সে হাফ ছেড়ে বাঁচবে। তবু খোঁজে পুরুষের মুখে তৃপ্তির হাসি। একটু রোম্যান্টিক কটাক্ষ। নারীর সুখী দাম্পত্য জীবন।
কিন্তু এ অবস্থার সময়কাল শেষ হয়ে যায় দ্রুত। কারণ শেষ হয়ে যেতে বাধ্য। নারী এবং পুরুষের দেহের সখ্যতা না হলে তাদের শরীর বেঁকে বসে। ঠিক একইভাবে নারী পুরুষের মনের সখ্যতা না হলে শরীরের সখ্যতা হয় না। কিন্তু অনেক সখ্যতাপূর্ণ মন শারীরিকভাবে দূরে সরে যায় নিজেদের চিন্তার ভুলে। যত্নের ভুলে। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা সত্ত্বেও শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে।
ভালোবেসে বিয়ে করার পরও নারী পুরুষ অটমেটিক শরীর বিষয়ে জানবে সেটি নয়। এখানে দরকার শ্রদ্ধা এবং কেয়ার। নিজেদের মনের মতো শরীরের সাথে পরিচিত হতে হয় অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সাথে। সেখানে তারা নিজেদের পরস্পরের ভাষা বুঝবে। সেক্সুয়াল জীবনে দু’জনের শরীর দুটি বীণার মতো। একে অপরের স্পর্শে বেজে উঠবে প্রিয় পরিচিত সুর। এটি না হওয়া পর্যন্ত দু’জন দু’জনের শরীর থাকবে দু’জনের কাছে দুটি স্ট্রেঞ্জারের শরীর। সেখানে সুর বাজবে না, বিপরীতে তৈরি হবে পেইন। দাম্পত্য যন্ত্রনার সে সম্পর্ক ভেঙে পড়বে অচিরেই। পড়বেই। পড়তে বাধ্য।
আমি যদি প্রশ্ন করি, শরীর আড়ষ্ট হওয়া মেয়েদের সংখ্যা কত? আমি জানি তারা অগণিত। এ আড়ষ্ট শরীর দীর্ঘদিন ধরে কোনো না কোনোভাবে ব্যথিত। অপমানিত। সে বেদনার উপশম না হলে তার শরীর সাড়া দেবে না। পুরুষের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সেটা। কিন্তু তারা সেক্সকে অনেকাংশে যান্ত্রিকভাবেও এক্সপেরিমেন্ট করতে পারে যা নারী পারে না। মনের অপমানের দাগটি দূর না হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নারীর শরীর হেসে ওঠে না। প্রতিটি স্পর্শ তার শরীরে পেইন সৃষ্টি করে। সেই পেইনফুল সঙ্গম তার জন্য হয়ে ওঠে ধর্ষণ। একইভাবে পুরুষের জন্যও হয় পেইনফুল সঙ্গম। প্রতিটি কন্ট্যাক্টলেস যৌনমিলন পেইনফুল। নারী এবং পুরুষের সে অভিব্যাক্তি ভিন্ন হয় তাদের আপব্রিঙ্গিং এর ডিফারেন্সের কারণেই। পুরুষটি সঙ্গম শেষে একটি জিঘাংসা ও ঘৃণার অনুভবে আক্রান্ত হয়। তাদের ভেতর ক্রোধ এবং নিষ্ঠুর আচরণ ডেভেলপ করে। অথচ এমন সঙ্গমেই লিপ্ত হয় আমাদের বাঙালি দম্পতির এক বৃহদাংশ।
খুব অল্পদিনে দেখা যায়, শোনা যায় স্বামীর চরিত্রে দোষ শুরু হয়েছে। সে অন্য নারীতে আসক্ত। পুরুষের জন্য এ কাজ অনেক সহজ। কারণ তাকে কোনোকিছুর জন্য জবাবদিহিতা করতে হয় না। তার জন্য কোনো শাস্তি অপেক্ষা করে নাই। ‘আজকাল স্বামী দেরী করে বাসায় ফেরে’। ফিরতেই পারে। পুরুষ মানুষের কাজের সীমা নেই। মাঝে মাঝে বিকেলেই অফিস থেকে বেরিয়ে যায়। পকেটে ভিন্ন ভিন্ন সব জায়গার জোড়া টিকিট বেরিয়ে পড়ে। আজকাল স্বামী অনেকক্ষণ ধরে সেইভ করেন। আলমারি খুলে ভাল শার্টটি গায়ে দিয়ে অনেকবার ঘুরে ফিরে দেখেন। গায়ে পারফিউমও লাগান। স্ত্রীরা বেগুন পটল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। দু’দিন ধরে বেডকভার ভেজানো। ‘বুয়া’ আসেনি। অফিস থেকে ফিরে বেডকভার কাঁচতে বসতে হয়। রান্না ঘরে ঢুকতে হয়। স্বামী বাড়ি ফিরে বিছানায় পৌঁছে গেছেন। ঘুমিয়েও পড়েছেন। শরীর থেকে এখনও সুগন্ধি। একটু গুনগুনও করেছেন শুয়ে শুয়ে। স্ত্রী বিছানার একপাশে বসে দেখেন তার কাপড় থেকে মাছের গন্ধ বেরুচ্ছে। হাতে মশলার গন্ধ। গোসল সারা হয়নি এখনও। এ মুহূর্তে তাঁকে খুব সেক্স অ্যাপিলিং লাগছে এ অপবাদ কেউ দিতে পারবে না। এ ফ্রাস্ট্রেশন নারী এবং পুরুষের বেঁছে নেওয়া পথ এক হয় না। পুরুষ যত স্বাধীন। নারী ততটাই আটকে যাওয়া ইঁদুর। তারা একত্রে বসে সেক্স জীবন নিয়ে কথা বলা, সমস্যাগুলো নির্ণয় করা, তার সমাধানের বহুদূরে চলে আসে এ পর্যায়ে।
কতকাল মেয়েটি আর নিজেকে অ্যাট্রাক্টিভ ভাবেনি। সেক্স আজকাল ঘৃণার সঞ্চার করে। নিজেদের সেক্স জীবনের যবনিকায় একটি ‘আলাদা সম্পর্ক’ ঝুলে থাকে।
কেনো কবে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো? কেনো হয়েছিলো? একবারও দু’জন বসে হাত ধরে বলার ক্ষমতা রাখেনি যে বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সেক্স বিষয়ে নারী পুরুষের ফ্যান্টাসি বাঁচিয়ে রাখা দরকারি। অথচ দু’জনের একজনের কোনোই ফ্যান্টাসি থাকে না। থাকা অপরাধ মনে করে। বা অন্যজনের ফ্যান্টাসি মাঝে মধ্যে এতই আলাদা হয় যে তা তাদের ভেতর এক কন্সট্যান্ট কনফ্লিক্ট তৈরি করে।
আমাদের দেশের নারীরা সেক্স বিষয়ে সারাটা জীবন এত হরর অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যায় যে তারা সে সেক্স ট্রমা ওভারকাম করতে পার করে দেয় সারা জীবন। এ বিষয়ে প্রফেশনাল কোনো হেল্প তারা পায় না। সেক্স তাদের কাছে প্রায়শই পেইনফুল হয়ে ওঠে সে কারণেও। সেক্স বিষয়ে ফ্যান্টাসি বা শরীরের পরিভাষা নিয়ে তারা থাকে অজ্ঞ ও ভীত। ট্র্যাডিশনাল ওয়ের বাইরে অন্য কোনো এক্সপেরিমেন্টকে তারা ‘বিকৃত’ হিসেবে বিবেচনা করে ফেলে। অনেক শিক্ষিত নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছি স্বামী তাকে ট্র্যাডিশনাল ওয়ের বাইরে সেক্সে বাধ্য করেছে। অথচ অন্য দেশে অন্য সমাজে অনেক নারী নিজেরাই সেটি এক্সপেক্ট করেন। তারা নিজেরাই ঠিক করে নেয় কিভাবে তারা সেক্সুয়াল জীবনে তাদের আনন্দকে আবিষ্কার করবে। এই গ্যাপ দু’জনের ভেতর একটি বিভেদ তৈরি করে রাখে। দূরত্ব তৈরি হয়। নিজেদের ভেতরের স্ট্রেঞ্জার স্বত্বাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। একে অপরকে অভিযুক্ত করতে শুরু করে। কেউ আর কারো কাছে ইন্টারেস্টিং বলে মনে করে না। মেয়ে এবং ছেলে দ ‘জন দু’ভাবে অভিযুক্ত অনুভব করে। এ অভিযোগগুলো নারীপুরুষের সেক্সুয়াল জীবনে অপরিসীম নেগেটিভ ভুমিকা রাখে। অনেক মেয়ের জন্য শকিং হয় তার স্বামী চল্লিশেই ইমপোটেন্ট। পুরুষটি অফেন্ডেড অনুভব করে বেপরোয়া হয় আরও বেশি। সে প্রমাণ করতে চেষ্টা করে চলে তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ভুল তার সম্পর্কের সংখ্যা বাড়ে আরও বেপরওয়া গতিতে।
অথচ সবই ভিন্ন ভিন্ন কারণ সম্বলিত। শারীরিকভাবে নারী এবং পুরুষ ভিন্নভাবে গঠিত। এটি বুঝতে পারলে এ বিষয়গুলো দু’জনের সমাধানের একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠবে। একটি কথা সত্য নারী পুরুষের যৌন জীবনের সীমানা বয়সে সীমিত এবং সংক্ষিপ্ত নয়। প্রতিটি সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স দাবি করে নারী এবং পুরুষ উভয়ের অংশগ্রহণ। এখানে নারীর ভূমিকা যেমন পুরুষের জন্য দরকারি, পুরুষের ভালোবাসা শ্রদ্ধা এবং যত্ন নারীকে তৈরি করে। তারা একে অপরকে নিয়ত নতুনভাবে আবিষ্কার করে।