কার্যকারণ ছাড়া জগতে কিছুই হয় না,এ কথা যেমন সঠিক,আবার কার্যকারণ ছাড়া অনেক কিছুই হয়, একথাও সঠিক ।
এই যে বিশ্বাস এবং অবিশ্বাসের খেলা,তার ঠিক মধ্যমণিতে আসলে ঈশ্বর বসবাস করেন ।
বিশ্বাস ব্যাপারটাকে কেউ একজন পিংপং বল বলেছিলো। খুব রেগে গিয়েছিলাম সেদিন ।অথচ রাগের কোন কারন ছিলো না । এরকমটা ই তো হওয়ার কথা ছিলো । নয় কি ?
একজনকে ঠিক "ইশ্বর আছেন "এরকম টাইপ বিশ্বাস করেছিলাম । মানে মানুষটি কখনোই আমাকে ঠকাবে না বিশ্বাস টি ছিলো,ইশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস রাখার মতোই।
অথচ কি আশ্চর্য! আপাতদৃষ্টিতে ফেরেসতার মতো মানুষটি আমাকে ইবলিশ শয়তানের মতো ভয়ংকর ভাবে ঠকিয়েছিলো!
আমি বোধহয় মরে গিয়েছিলাম । তারপর আবার কোন এক কারনে বেঁচেও উঠেছিলাম।
বেঁচে থাকার জন্য এক সকালের নাস্তার টেবিলে মুখের ভিতর জোর করে শুকনো রুটি ঠেসে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলাম, আমি বিশ্বাস শব্দটিকে আর কখনোই বিশ্বাস করবো না। ইশ্বর তখন পিংপং বলের মতো বিশ্বাস শব্দটিকে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন।
চোখের সামনে সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে গেছে সেই বল।তুলতে ইচ্ছে করেনি। আমি তখন প্রাণপণে মুখের রুটি গিলে বেঁচে উঠায় মন দিয়েছিলাম।
তারপর অনেক দিন চলে গেছে । এখনো পিংপং বল সিড়িতে গড়িয়ে আমার পায়ের কাছে এসে পরে থাকে । বড্ড অবহেলায় তাকে ধুলো ভেবে পাশ কাটিয়ে চলে আসি। দারুণ চকমকে সেই বল চোখের তারায় ঝলমল করে । চোখ বন্ধ করে ফেলি। শবদেহের যন্ত্রনা আমার চেনা । চেনা কষ্টে ফিরে যেতে চাই না ।
অনেক ক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকার জন্যই কি না ,কে জানে, চোখ দিয়ে অবিরাম জল গড়ায় ।
একটা আকাশী নীল রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে ইচ্ছে করে । ইশ্ কেউ যদি একটা আকাশী নীল রঙের রুমাল এগিয়ে দিতো এক ফাঁকে , তাহলে বেশ হতো!
এই যে একটা উইশফুল থিংকিং অথবা অবচেতন মনের বাসনা, ইশ্বর এখানেও বাস করে না কি?
উত্তর খোঁজার জন্য কান পাতি।..
,