আলহাজ্ব মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

অনলাইন একটিভিস্ট।

পাগলীরা বার বার মা হয়েছে!

পাগলীরা বার বারই তো মা হচ্ছে, এটা তো নতুন নয়! এর দায় কার? পাগলীর পোশাক নিশ্চয় ঠিক ছিলো না? পাগলী তো আর বোরকা পরতে জানে না; তাই পাগলীকে দেখে মুমিন দন্ডধারীদের ঈমানে হেঁচকা টান পড়তেই পারে! ইসলাম থাকলে পাগলীরা নিরাপদে থাকতো, পোশাক ঠিক থাকতো, তাই নয় কি ইসলামিক প্রোগ্রামার ভাই? ইসলামিক আইন থাকলে চতুর্দিকে শুধু শান্তি আর শান্তি বিরাজিত থাকতো, তাই নয় কি ইসলামের ফেরিওয়ালা ভাই?

পাগলীরা সবাই পাগলী নয়, কেউ কেউ আছে স্বেচ্ছায় পাগলী হয়, কেউ হয় স্বেচ্ছাচারিতায়। অনেকে আবার পুংকেশরচক্রের চক্রপিষ্টে পড়েও পাগলি হয়ে যায়! পাগলীদের নাম কখনো হয় খোদেজা, মোমেনা; আবার কখনো হয় অপু, শ্যামলী, শেফালি। পুংলিঙ্গের লিঙ্গামির কাছে অসহায় সব পাগলিরা। পুংকেশর যেখানেই থাকুক না কেনো, তার জন্য পুংগিরির স্পেশাল রাইট রিজার্ভ রাখতে হয়। পাগলিরা বোরকা পরেও মার খায়, বোরকা ছেড়েও মার খায়। মুমিনা হয়েও মার খায়, নাস্তিকা (?) হয়েও মার খায়! মুমিনা হয়ে মার খেলে তা আবদ্ধ থাকে চার দেয়ালের ভেতরে, কিন্তু নাস্তিকা (?) হয়ে মার খেলে কি তা চার দেয়ালের বাহিরে যায়? পুংলিঙ্গধারীরা কি কেশর এলিয়ে বলে না - মার খেয়েছো ভালো কথা, তাই বলে তা কি লোকদেরকে বলতে হবে? ইসলামিক পুংলিঙ্গরা বলে - হুজুরের হাতে মার খেয়ে বলতে হয় না, এতে ইসলামের বদনাম হয়, ইহুদী-নাসারার দল খুশি হয়! 

কিন্তু নাস্তিক নামধারী পুংলিঙ্গরা কি এর ব্যতিক্রম? তারা কি বলে না - মার খেয়েছো এটা কাউকে বলো না, তাহলে মোল্লারা নাস্তিকদেরকে শান্টানোর সুযোগ পাবে! দুর্দান্ত পেটোয়া পুংলিঙ্গের সাথে হাই ভোল্টেজের মেকআপ মেখে তথাকথিত কিঞ্চিত নারীবাদী কি সেলফি তোলে না? সেলফি তুলে পুংকেশরচক্রের দাদামি এবং পুঙ্গামির জেল্লা করে না? দাদামি যখন বাদামি হয়ে যায় তখন সামান্য একটু কচলাকচলি করলে অসুবিধা কোথায়? 

কচলাকচলি যখন হয়েই গেলো তখন একটু রক্তারক্তি হতেই বা দোষ কোথায়? পুং-দেবতার দেবত্বের অমর্যাদা হলে নারীকে তো রক্তাক্ত হতেই হবে, এতে মুফতি মাসুদের সমস্যা কোথায়? ঘরের ভেতর কে নারীকে জখম করলো, কে নারীর উপর পৌরুষ ফলালো তা নিয়ে মাসুদের এত মাথাব্যথা কেনো? নারীবাদীদের এত ঘাড়ব্যথা কেনো? আসলে অসুবিধা মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদের হয় না, নারী-পুরুষের সুখের মিলনে মাসুদের আপত্তি নেই। যখন লিঙ্গামি হয়ে যায় ইসলামের মত আগ্রাসী, পিটিয়ে জখম করা হয় নারীদেহ, তারপর অন্যসব পুংগণ কেশর এলিয়ে বলে - মার খেয়েছো এটা বলার টাইম হয় নি, সবুর কর, সবুরে মেওয়া ফলে, তখন মুফতি মাসুদের সমস্যা হয়! তখন পুংলিঙ্গের কেশর আবারো দুলতে থাকে, মুফতি মাসুদ কট্টর জঙ্গি, কারণ সে নাস্তিক হয়ে এখন নারী-নির্যাতনের বিরোধিতা করছে! হাই ভোল্টেজি সেলফিবাগীশরা তো আরো এককাঠি সরেস, টর্চার না করা পর্যন্ত তারা পুরুষকে কাপুরুষই ঠাহরাতে থাকে!

লিঙ্গধারীর হাতে বারবার মার খেয়ে কাছুয়া মার্কা হাসি বিকিরিত করে দন্ত বিকশিত করে অবশেষে আবারো নতুন পেটোয়া খোঁজে! যতক্ষণ তাকে না পেটাবে ততক্ষণ তুমি পুরুষ নও। বিছানায় ঝড় তুললে লাভ নেই, মাসল দেখিয়ে ঘুষি দিয়ে তার গাল রক্তাক্ত করলে তবেই বলবে - খাঁটি পুরুষ! এ-ই হচ্ছে কলি যুগের হাই ডেফিনিটেড নাস্তিক রমণীকুল!

এই খাঁটি পুরুষ যে কোনোকালেই মুফতি মাসুদ ছিলো না সে কথা বললে পুংলিঙ্গের ধারকেরা কেশর দুলিয়ে আসে! বলে - বলো কি, তুমি কোনোদিন ভাবিকে পেটাও নি? কেমন কাপুরুষ তুমি? মেকআপ-সর্বস্ব লিঙ্গপূজারিও দাঁত কেলিয়ে হাসে! ভাই হাসালেন, একটু পিটুনি না দিলে কি আর ভালোবাসা জমে? আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের হাতে কত মার খেয়েছি! এ দলে শুধু সাধারণ নিম্নবিত্তরাই আছে তা নয়, এ দলে হাই প্রোফাইল অপুরাও আছে। 

পুরুষত্বের মহিমান্বিত প্রকাশ সেখানে জখম দ্বারা নির্ধারিত হয়। অপুরা লাথি, কিল, ঘুষি খায় তবুও পায়ে পড়ে সেজদা করতে চায় স্বামীদেবকে। সেজদা থেকে পা ঝটকা দিয়ে সরালে পুনরায় সেজদা করার জন্য কেউকেউ করে! এরপরেও কপালে জোটে ধিক্কার ও পুরুষদের নিন্দেমন্দ। তুমি স্বামীর সেবা করতে পারো নি, স্বামী-সোহাগিনী হতে পারো নি, পতিব্রতা হতে পারো নি - প্রভৃতি মূল্যবান (?) বাণী শুনতে হয় লিঙ্গধারীদের কাছ থেকে। অপুরা মা হয়েছে স্বেচ্ছায়, পাগলিটার মতো ইচ্ছের বিরুদ্ধে পুংলিঙ্গের লিঙ্গাঘাতে অপুদের বাচ্চা হয় নি। 

এভারেজ মুমিন নারীদের ইসলামি বুদ্ধিতেই হয়তো প্রলোভিত হয়েছিলো অপু। বাচ্চাকাচ্চা হইলে "গ্যাদার বাপ" তোমারে ফালাইয়া যাইবো না, এ বুদ্ধিটা সব ইসলামিক ভাবিদের পুশ করা স্পেশাল মন্ত্রণা। মুমিনা রমণীদের সারা জনমের একমাত্র সাধনা থাকে স্বামী নামক মহিমাময় পদার্থকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট রাখা। এজন্য কড়া ডোজের মেকআপ-ট্যাবলেটের পাশাপাশি দু'চারটে চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুষি বড়ি খেতে হতেই পারে! স্বামী নামক পদার্থের তরল বস্তু থেকে শুরু করে তার বাবা-মা, ভাইবোন সবাইকে চেটেপুটে খুশি রাখার সে কি প্রাণান্তকর চেষ্টা! বিনিময়ে সম্মান (?), ভাত-কাপড়-বাসস্থান সবই জোটে। 

ইসলামিক পদ্ধতিতে জন্মানো শিশু এখন ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক -মুসলিম। স্বাভাবিকভাবেই ইসলামিক সন্তানের মাকে মুসলিমই থাকতে হবে। 

স্বামীকে ধরে রাখার ইসলামিক ফাঁদ 'দ্রুত সন্তান নেয়া' পদ্ধতি সবক্ষেত্রে কার্যকর নয়। পেটোয়া পুরুষ শাকিবের ক্ষেত্রে তাই এ ধন্বন্তরী তদ্বির ফলে নি! অপুরা ছিটকে পড়েছে, তবুও খেয়েপড়ে বেঁচে থাকতে পারবে, কিন্তু পাগলীটার কি হবে? শাকিবের দাসত্বের বিনিময়ে বাড়তি সম্মান (?) না জুটলেও বেঁচেবর্তে থাকা চলবে, কিন্তু পাগলিটার কি হবে? পাগলীটার সন্তানের কি হবে? 

অপুরা নতুন করে বিয়ে করতে পারবে না সহজে, কারণ হাজারো পুরুষতান্ত্রিক পুংকেশর সমালোচনার ঘটি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর এই ইসলামিক দাসত্বের নিগড়ে যে একবার বন্দি হয় তার জন্য এর থেকে মুক্তি পাওয়া 'মুশকিল নেহি, বলকেহ না মুমকিন হ্যায়!' 

পুংকেশরচক্র বড় খতরনাক বস্তু। এটা যার কাছে যায় তাকেই বস্তু বানিয়ে ছাড়ে। খাদ্যের গুণাগুণ অক্ষুণ্ণ রাখতে বোরকা যেমন ইসলামিস্টদের কাছে কার্যকর দাওয়াই ঠিক তেমনি পুংলিঙ্গের ধ্বজাধারীদের কাছেও হাই ভোল্টেজ মেকআপ হচ্ছে খাদ্যগুণ অক্ষুণ্ণ রাখার কার্যকরী টোটকা। পুংলিঙ্গের কাছে নারীর সংজ্ঞা চিরকালই এক, হয় কালো বোরকা নয়তো লাল লিপস্টিকই সেখানে খাদ্যমানের খাদ্যামির প্রকৃষ্ট পন্থা। মেকআপ কে মাখবে কে মাখবে না সেটা তার অভিরুচি, কিন্তু যে মেকআপ শুধুমাত্র পুংদেরকে খুশি করে নিজেকে খাদ্যরূপে উপস্থাপন-সর্বস্ব হয় তার বিরোধিতা করা কি অন্যায্য?

এই খাদ্যসর্বস্ব নারীত্বের কপাল কি শেষ পর্যন্ত পাগলির মতোই হয় না? মার খেয়ে, পুঙ্গবের কাছে অসহায় হয়ে থাকতে হয় না? হাই ভোল্টেজ মেকআপ পরে গাড়ির মডেল হয়ে মূর্তির মতো দাঁড়ালেই কি সম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়? ফ্যাশন শোতে বুক বের করে হাঁটলেই কি সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়? সুন্দরী প্রতিযোগিতায় দেহ প্রদর্শন করলেই কি সমঅধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়? পুংলিঙ্গের লিঙ্গামির তলে চাপা পড়ে অকালে ঝরে যায় নি তিন্নিরা? অনুভূতি-দন্ডের দন্ডামির বলি হয় নি কি তৃষারা? দু'দিন চেঁচিয়ে, কন্ঠস্বর উঁচিয়ে অবশেষে বাক্স পেটরা পেঁচিয়ে আবারো পুং-বন্দনার কাব্য রচনা কি করে না সেসব উচ্চস্বরী নারীরা?

অনুভূতি-দন্ডর দন্ডাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করা কি এত সহজ কাজ? গুরুদন্ডের ভয়ে নারীবাদীর মেরুদণ্ডও এখন নুয়ে পড়ছে! নারীবাদী এখন পুঙ্গবের সঙ্গমের জন্যে মরিয়া হয়ে মরতেও প্রস্তুত। পুংলিঙ্গের লেজ নাড়তে নাড়তে নিজেকেও ভাবছে মহান পুংয়ের সুযোগ্যা সহচরী! পুংয়ের নাম তার নামে জুড়ে যায়, পুংয়ের পদবি তার পদবিতে এঁটে যায়, পুংয়ের দন্ডমুন্ডের স্তুতি রচিয়া দু'মুঠো অন্ন জুটলেই তার পুংময় জীবন হয়ে ওঠে মহা কাব্যময়!

হাই ভোল্টেজ দাদা-সর্বস্ব মেকআপীর এই পুং-পূজোরই নির্মম বলি হয় পাগলিরা, নিষ্ঠুর শিকার হয় তনুরা, পৈশাচিক পুংগিরিতে মৃত্যু হয় শিশুটির! সত্যকথা সত্যভাবে, দৃঢ়চিত্তে, নির্ভীক হয়ে বলার সাহস কি সবার হয়? বিশেষত লজ্জাই যখন হয় ভূষণ!

শৈশবে গুরুজনদের থেকে প্রাপ্ত পুং-পূজোর মোহ কি এত সহজে ছাড়া যায়? শতাব্দীতে অল্প কয়েকজন ক্ষণজন্মাই পারে এই পুংকেশরের বিরুদ্ধে দৃঢ়চেতা হয়ে কথা বলতে, নির্ভীক চিত্তে কন্ঠ উঁচিয়ে কথা বলতে।স্বার্থের লোভ, পুংলিঙ্গের ক্ষোভ, রক্তচক্ষুর রাঙানি তাদেরকে দমিয়ে রাখতে পারে না। 

শতাব্দীতে তসলিমা নাসরিন একবারই জন্মগ্রহণ করে, আর চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় পুরুষতান্ত্রিকতার মোনাফেকি রূপ!

2532 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।