আজকে থিকা প্রায় তিন বছর আগের ঘটনা। আমি তখন ফেইসবুকে মাত্র লেখালেখি শুরু করছি। ফরেনসিক সায়েন্টিস্ট হিসাবে আমার কাজের সূত্র ধইরা আমার যৎসামান্য এবং বাজে কাগজের ঝুড়িতে দলাইমলাই ফেইলা দেওয়া লেখালেখির বিষয়বস্তু সেক্সুয়াল এ্যাবিউজ, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স, নারীবাদ, ধর্ম, পুরুষতান্ত্রিকতা এবং এক কথায় ‘নারী-স্বাধীনতা’; পুরুষতান্ত্রিক পুরুষের ভাষায় যা ‘প্রাচ্য হইতে পশ্চিমে মুখ ফিরাইয়া ইয়োরোপের একান্ত ভোগপ্রবণতার ঢঙ্গে পুরুষের সহিত ঢলাঢলি করিবার এবং জাত ধম্ম লাজ লজ্জা মাথায় তুলিবার অধিকারের নাটিকা’ বা ‘হাঁটু অবধি স্কার্ট পরিয়া ও নাইট ক্লাবে বিড়ি ফুঁকিয়া এদেশীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করিবার পাঁয়তারা’।
তো যাই হোক, এই ধরণের লেখালেখির কারণে অনেক পরিচিত অপরিচিত মেয়েই আমারে সেই সময় নিজেদের লাইফের সেক্সুয়াল এ্যাবিউজ সক্রান্ত ঘটনা ইনবক্স কইরা জানাইতেন। তো এইরকম একদিন- এক অপরিচিত প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে, ধরা যাক উনার নাম তানিয়া, আমারে ইনবক্সে জানাইলেন- ছোটবেলায় ১০-১১ বছর বয়সে উনার আপন খালু (বা মামা, সঠিক মনে নাই) উনারে নিয়মিত বিরতিতে সেক্সুয়াল এ্যাবিউজ করতেন। উনার কি এখন সেই ঘটনা প্রকাশ করা উচিত না অনুচিত এই নিয়া উনি দ্বিধায় আছেন। আমার এই মূহুর্তে মনে নাই উনারে কী পরামর্শ দিছিলাম। সম্ভবতঃ বলছিলাম উনার খালা (বা মামী) এবং মা’রে গিয়া ঘটনা জানাইতে।
ঘটনা এইখানে নহে, নহে প্রিয়। আমারে মেয়েরা নিয়মিত এইসব গল্প বলেন, আমি নিয়মিত এইসব গল্প শুনি; এরপর নিয়মিত এইসব গল্প ভুইলাও যাই। সেক্সুয়াল এ্যাবিউজ নারী জীবনমাত্রই ডাল-ভাত মার্কা প্রতিদিনকার বাস্তবতা। তো এই ঘটনাও আমি প্রায় ভুইলা গেছিলাম। এরমধ্যে একদিন আমি আমার শ্বশুর শাশুড়ি এবং আমার হাসিহাসি ছবি ফেইসবুকে আপলোড দিতেছি, তানিয়া আমারে আবার ইনবক্স করলেন। কইলেন, যাদের ছবি দেওয়া হইছে, তাদের মধ্যে টাকমাথা বুড়া ভদ্রলোক আমার কী হন। আমি জিগাইলাম, “আমার শ্বশুর, ক্যানো, কী হইছে?”
তানিয়া জানাইলেন, এই ভদ্রলোকই উনার খালু (বা মামা) এবং উনিই ছোটবেলায় উনারে নিয়মিত বিরতিতে সেক্সুয়াল এ্যাবিউজ কইরা আসছেন।
আমি তানিয়ার কথায় ‘হে ধরণী দ্বিধা হও’ মার্কা কিংকর্তব্যবিমূঢ় দশা নিয়া বইসা ছিলাম একটানা তিন দিন। আমার সচরাচর ভাব-বিপ্লবে আক্রান্ত হইয়া বাকরূদ্ধ সিচুয়েশান হয় না তেমন একটা। আমিও বাকি সবার মতো সারাজীবন ধর্ষক মাত্রই ‘আমার সাথে সম্পর্কহীন মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা’ এবং বাবা মাত্রই ‘লিঙ্গ এবং যৌনতা বিহীন আদর্শ পুরুষ’ ভাইবা আমার কমফোর্ট জোনের ভিতর বইসা আহাউহু দিন কাটাইতেছিলাম এতদিন। তানিয়ার কথায় আমার প্রলম্বিত ফেইক অর্গ্যাজমের মতো কমফোর্ট জোন ভাইঙ্গা গুড়াগুড়া হইয়া গেলো।
তিন দিন পর আমি ‘র্যাশনালি’ চিন্তা শুরু করলাম। প্রথমে ভাবলাম, তানিয়া যে সত্য কথা কইতেছেন তার গ্যারান্টি কী। উনার কাছে কি প্রমাণ আছে যে আমার শ্বশুর উনারে এ্যাবিউজ করছেন। এরপর ভাবলাম উনি নিশ্চয়ই আমার বিয়া ভাংতে চান, উনার নিশ্চই আমার পার্টনারের সাথে ‘গোপন’ প্রেম আছে! কিংবা আমার শ্বশুরবাড়ির সাথে উনাদের জমিজমা সংক্রান্ত পুরানা ঝামেলা আছে!
এইভাবে এক সপ্তাহ গেলো। আমি আমার এক পুরুষ বন্ধুরে ভিকটিম এবং এ্যাবিউজার উভয়েরই নাম এবং পরিচয় গোপন কইরা ঘটনা জানাইলাম। জিগাইলাম, আমার কী করা উচিত। আমার পুরুষ বন্ধু আমারে ‘সৎ’ পরামর্শ দিলেন। কইলেন, এত বছর আগে ঘইটা যাওয়া ঘটনা প্রকাশ কইরা আমি শুধু কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতেই নিজের এবং নিজের পরিবাররে নোংরা করতে পারবো, এই ‘পাবলিক শেইমিং’-এ ভিকটিম তানিয়ার অবস্থার কিছুই উনিশ-বিশ হবে না। আমিও তা মাইনা নিছিলাম। অন্ততঃ আজকের সকাল পর্যন্ত। আজকে সকালে আরো একজন অতি পরিচিত ‘উনমানুষের’ সন্ধান পাইয়া আমি ভাবলাম আমরা মেয়েরাই এইসব উনমানুষ তৈরিতে সাহায্য করতেছি। এইসব উনমানুষদের প্রতি প্রেমে, ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায় এবং সর্বোপরি লোকলজ্জার ভয়ে উনাদের এইসব উনমানুষত্ব গোপন কইরা আমরাই আরেকজন মেয়ের উপর নির্যাতন হওয়ার ভবিষ্যত রাস্তা পরিষ্কার কইরা দিতেছি।
আজকে থিকা প্রায় ২০০ (মতান্তরে ৩১৫) হাজার বছর আগে ‘হোমো-সেপিয়েন্স’ থিকা আধুনিক মানুষ অর্থাৎ ‘হোমো-সেপিয়েন্স-সেপিয়েন্স’ এর বিবর্তন শুরু হয়। কিন্তু আজকে অর্থাৎ ২০১৭ তে আইসাও কয়জন মানুষ পরিপূর্ণভাবে ‘হোমো-সেপিয়েন্স-সেপিয়েন্স’ হইতে পারছেন, তা গবেষণার বিষয় বটে। আমি আমার চারপাশের এইসব ‘উনমানুষদের’ দেখি, ভাবি, বিবর্তনের আরও কত সামনে গেলে মানুষের মতো দেখতে উনমানুষেরা সত্যি সত্যি মানুষ হইতে পারবেন। আজকে থিকা প্রায় ১২ হাজার বছর আগে কৃষিনির্ভর সভ্যতা শুরু হয় এবং তার ফলশ্রুতিতে আজকে থিকা প্রায় ৪ হাজার বছর আগে প্রায় যুগপৎভাবে রাজতন্ত্র এবং প্রচলিত ধর্ম তথা পুরুষতন্ত্র পৃথিবী শাসন শুরু করে।
এই শাসনের জন্য পুরুষতন্ত্রের প্রয়োজন ছিলো কিছু উনমানুষের। যারা মানুষের মতো দেখতে, যারা মানুষের মতো কথা কইতে ও চইলা ফিরা বেড়াইতে পারেন, কিন্তু যাদের বুদ্ধিবৃত্তি তাদের পূর্বপুরুষ যৌনতানির্ভর শিম্প্যাঞ্জিদের বুদ্ধির কাছাকাছি।
যারা বলেন, ‘যোগ্যতমরাই (পড়েনঃ পুরুষরাই) টিকা থাকার লড়াইয়ে দুর্বলরে (পড়েনঃ নারীদের) শাসন করার অধিকার আদায় কইরা নিছেন’, তারা শুধু যে মূর্খ তা নন, জাইনা রাখবেন তারাই উনমানুষ, সমাজের জন্য অদরকারী এবং ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া মাত্র, কারণ উনারা জানেন না, পুরুষতান্ত্রিকতা যে একমাত্র নারীর উপর খবরদারি ফলাইছে তা না, পুরুষতান্ত্রিকতার শিকার পুরুষ নিজেও।
পুরুষতান্ত্রিকতা শুধুমাত্র এক শ্রেণির পুঁজিবাদী নারী ও পুরুষের হাতে সর্বময় ক্ষমতা এবং অর্থ রাইখা বাকি শ্রমিক পুরুষ তথা উনমানুষদের সামনে ‘নারী ভোগের বস্তু’ নামের একটিমাত্র রাবারের লাল-নীল চুষনী তুইলা দিছে, এবং সেই উনমানুষেরাও সেই চুষনী চুষতে চুষতে চুষতে চুষতে চুষতে চুষতে ভুইলা গেছেন, পুরুষতান্ত্রিকতা উনাদের নিজেদের পশ্চাদ্দেশের কী ছ্যাড়াব্যাড়া অবস্থা কইরা ফেলছে।
অফ টপিকঃ শ্রমিক পুরুষ বলতে নিম্নবিত্ত রিক্সাওয়ালা ভাইবা ভুল কইরেন না আবার, শ্রমিক পুরুষ উচ্চ-উচ্চমধ্যবিত্ত-মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত সকল শ্রেণিতেই আছেন। এমনকি ক্ষমতার পিরামিডের মাথায় বইসা হাওয়া খাইতে থাকা পুঁজিবাদী পুরুষও এই পুরুষতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণের শিকার।
তাই আমাদের চারদিকে চুষনী চোষা- পশ্চাদ্দেশ ধ্যাদ্দারা হইয়া যাওয়া এইসব পুরুষ তথা উনমানুষেরাও যদি নারীদের শুধু ভোগের বস্তু হিসাবে দেখেন তাইলে অবাক হওয়ার কিছু নাই। এবং এই উনমানুষদের আপনার আমার বাপ- ভাই- চাচা- খালু- জ্যাঠা- মামা- দাদু- ইস্কুলের টিচার- মসজিদের ইমাম- মন্দিরের পুরোহিত ইত্যাদি আকারে আবিষ্কার করলেও অবাক হওয়ার কিছু নাই। একজন রিক্সাওয়ালা যতই সমাজের বিচারে, শ্রেণির বিচারে, অর্থের বিচারে ক্ষমতাহীনই হোন না ক্যানো, রাতে বস্তিতে বাড়ি ফিরা উনিই তখন উনার বিবির মালিক। কর্তা। স্বামী। প্রভু। আমার আপনার বাপ যতই মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানির সি-ই-ও বা ইস্কুল মাস্টার বা ব্যাংকের কর্মকর্তা বা আর্ট চোদানো সংস্কৃতিমনা হোন না ক্যানো, দিন শেষে বাড়ি ফিরা উনিই তখন আমার আপনার মায়ের মালিক। কর্তা। স্বামী। প্রভু। তাই উনার আপনারে নিয়ন্ত্রণ করা জায়েজ। তাই উনার আপনারে মারধোর করা জায়েজ। তাই উনার আপনার সম্মতি ব্যতিরেকে আপনার শরীরে হাত দেওয়া জায়েজ।
আর আপনি যেহেতু নারী, আপনি যেহেতু পুরুষের ভোগের বস্তু, তাই আপনার আবার সম্মতি কীসের? তাই আপনার খালু (বা মামা) আপনার শরীরে আপনার অনিচ্ছায় হাত দিলে আপনি বিনাপ্রশ্নে তা মাইনা যাবেন, তানিয়া। কিন্তু আবার বেশি উচ্ছ্বাস দেখাইয়া ফেলবেন না যেন। তাতে আপনি বেশ্যা টাইটেল পাইয়া যাইতে পারেন। আপনার খালু (বা মামা) ভোগ্যপণ্যরে ন্যাংটা কইরা দেখতে, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত ও পুরুষাঙ্গ ছোয়াইয়া আনন্দ পান, কিন্তু আপনি ভোগ্যপণ্য হইয়া নিজে নিজেরে বেঁচতে চাইলে উনার আপনার প্রতি ঘেন্না হয়, সুতরাং উনি আপনারে ধরতে আসলে আপনি আনতঃ নয়নে কম্পিত হস্তে সাঁচি বা বরহুতের যক্ষী কিংবা অমরাবতীর রূপসীর মতো ত্রিভঙ্গে খাড়াইয়া খাড়াইয়া আপনার ফিনফিনা ফরাসডাঙ্গার পাছাপেড়ে শাড়িতে ঢাকা নিজের উত্তমাঙ্গের উত্থান পতনের দিকে তাকাইতে তাকাইতে হাস্যে লাস্যে লাবণ্যময়ী হইতে হইতে কখনো উনার বেহালাবাদিনী হইবেন, কখনো উনার স্নানার্থী, বা কখনো অংকশায়িনী। কিন্তু ভুলেও আগ বাড়াইয়া নিজের যৌনতা প্রকাশ করবেন না যেন। মনে রাখবেন, লজ্জাই আপনার ভূষণ। মনে রাখবেন, পুরুষ আপনার কাছে গিয়া শরীর চাইলে আপনার তা দিতে দোষ নাই, কিন্তু আপনি আগ বাড়াইয়া নিজের শরীরে উনারে আমন্ত্রণ জানাইলেই আপনি বেশ্যা। আরো মনে রাখবেন, আপনার অনিচ্ছায় এইসব শরীর ধরাধরিতে পুরুষের পাপ নাই, পাপ আপনার। তাই পুরুষ আপনার বাপ হোক, ভাই হোক, শ্বশুর হোক, বন্ধু হোক- এইসব গল্প আপনারে পেটের মধ্যে হাপিশ কইরা দিতে হবে। সারাজীবনের জন্য।
এবং আপনি তা দিবেনও, কারণ দিন শেষে বাজারের বেশ্যার এবং আপনার মতো ডাবল স্ট্যান্ড করা, বি-সি-এস দিয়া সরকারী চাকরি করা, এয়ারপ্লেইন চালানো, প্রধানমন্ত্রী হওয়া বৈজ্ঞানিক বা আবিষ্কারক বা মহীয়সী নারীর ক্রয়মূল্য কেবলই আপনাদের যোনীতে। আপনি যতই যোগ্যতাসম্পন্ন হোন না ক্যানো, আপনার আশেপাশের উনমানুষেরা আপনারে দেইখা ঠিকই দাদুর কাছে গিয়া বলবেন, “আমি অফিস থেকে আসবার সময় রাস্তার ধারে বারেন্ডায় খান্কি বেটিরে যেমন করে সেজে বসে থাকতে দেখি, ঘরে এসে তোমার নাত বৌকে ঠিক তেমনি করে সাজাই!”
সো আপনি নিজেরে বেশ্যা ভাবেন, ভাবেন। আমি নিজেরে বেশ্যা ভাবি না। যদিও কেউ আমারে বেশ্যা ডাকলেও আমার যায় আসে না। আমার কাছে ডাক্তার এঞ্জিনিয়ার রিসার্চারের মতোই বেশ্যাবৃত্তি একটা পেশাই মাত্র।
তাই এখন আপনি ঠিক করবেন এই বাপ ভাই মামা চাচা উনমানুষেরা আপনার শরীরে আপনার অনিচ্ছায় হাত দিলে, আপনারে চোখ দিয়া, পুরুষাঙ্গ দিয়া ধর্ষণ করলে আপনি নিজেরে পুরুষতন্ত্রের দাস, পুরুষের বেশ্যা হিসাবে নিজেরে স্বীকার কইরা তা মাইনা নিবেন কী না, নাকি আমার মতো লজ্জাহীন হইয়া, নোংরা কাদা ছোঁড়াছুড়ি কইরা নিজের আশেপাশের প্রতিটা উনমানুষের পরিচয় প্রকাশ কইরা চিৎকার কইরা বলবেন, “আমি ভোগ্যপণ্য না! আমি রমণযোগ্য রমণী না! আমি যোনীসর্বস্ব প্রাণী না! আমি আপনার পতিব্রতা স্ত্রী না, কন্যা না, আমি নর্তকী না, আমি ভোগের পাতায় পরমা সুন্দরী সমাজ-পরিত্যক্ত ধর্মভ্রষ্টা অনঙ্গমঞ্জরী বেশ্যা না যারে দেইখা আপনি রাত্রিতে আপনার বিছানা ভিজাইতে পারেন, যার শরীরের যেখানে সেখানে আপনি যখন ইচ্ছা হাত দিতে পারেন, যারে আপনি ইচ্ছা হইলেই কিনতে পারেন! আমি জগত্তারিণী এলোকেশী শ্যামা কোনো বালই না, আমি শক্তি প্রকৃতি মহাবিদ্যা মহামায়া যোগমায়া শতরূপা জায়া জননী কন্যা কিছুই না, আমি একজন মানু্ষ এবং পঞ্চ মহত্তত্ব, তিন গুণ এবং ষঢ় রিপু নিয়া খুব সাধারণ মানুষ!”
সো, ডিয়ার উনমানুষেরা, আপনাদের প্রতি শুভকামনা। আজকে ২০১৭ সাল, আর এখনো টাইম মেশিন আবিষ্কার হয় নাই, তাই আজকে থিকা আপনাদের আশেপাশের নারীদের ‘নারী’ এবং ‘ভোগ্যপণ্য’ না ভাইবা মানুষ ভাবার চেষ্টা করেন, নিজেরাও মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে সেইটা কষ্টকর কাজ আমি জানি, সিস্টেম ভাঙ্গা পরিশ্রমসাধ্য আমি জানি, ধর্ম এবং পুঁজিবাদের জাল ছিঁড়া বাইর হওয়া সময়সাধ্য আমি জানি, তাই নিজেদের স্বার্থে- আপনাদের কষ্ট কমানোর জন্য আমি এবং আমার মতো আরো অনেক নারীবাদীরাই আপনাদের কোমড়ে লাত্থি দিয়া, আপনাদের যৌনাঙ্গসর্বস্ব মাথারে সোডা সাবান গরম জলে ধুইয়া আপনাদের উনমানুষে কাটাইয়া আপনাদেরও আমাদের মতো ‘হোমো-সেপিয়েন্স-সেপিয়েন্স’ বানানোর প্রসেসে নিয়োজিত আছি। আমাদের জন্য দোওয়া করবেন, পিলিজ। পুরুষের দোওয়া না পাইলে নারীরা আবার কোনো কাম- থুক্কু- কাজ করতে পারেন না কীনা। হিহি।
বিনীত
নাদিয়া ‘ছিন্নউনমানুষমস্তা’ ইসলাম।