নাদিয়া ইসলাম

নারীবাদী

নাদিয়া ‘নয়া কেকা ফেরদৌসী অফ বাংলাদেশ’ ইসলাম।

‘বৈষম্য’ নামের ভিডিও দেইখা যারা আশ্চর্য্য হইছেন, তাদের দেইখা আমি আশ্চর্য হই। ভারতীয় উপমহাদেশসহ সারা পৃথিবীর আঁধারের কেঁচোসদৃশ প্রাণীকূল অর্থাৎ কীনা পুরুষতান্ত্রিক পুরুষদের নারীর উপর ব্যাটাগিরি বা শিশ্নবাজি বা অভিভাবকত্ব বা খবরদারিত্ব বা পুরুষতান্ত্রিকতার উদাহরণ কি আপনে আইজ পয়লা পাইছেন?

কিছুদিন আগে আমার ফেইসবুকিয় বন্ধু সাংবাদিক বিপুল হাসান একটা স্ট্যাটাস দিছিলেন। উনার লেখা স্ট্যাটাস না। কোনো একজন ইয়োরোপিয়ান স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানের ভাষ্য। তার বক্তব্য ছিলো এইরকম, ‘মেয়েদের সম অধিকার নিয়া লাফানো খুবই বিরক্তিকর বিষয়। মেয়েরা সম অধিকার পাইবেন কীসের ভিত্তিতে? একটা টাইটানিক ডুবতে থাকলে তো মেয়েদের আর শিশুদেরই সবার আগে লাইফ-বোটে উঠায়ে দেওয়া হয়, নাকি? একটা ব্যাঙ্ক ডাকাতি হইতে থাকলে তো ডাকাতদের বলা হয় যাতে মেয়েদের আঘাত না করা হয়, এবং তারপর পুরুষরাই মেয়েদের জন্য বুক পাইতা শহীদ হন, সুতরাং উনারা সম অধিকার পাবেন কীসের ভিত্তিতে?’ ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

আমি এই এক মাস ফেইসবুকে আওয়াজ দিবো না এমন ধণুর্ভঙ্গীয় প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ থাকায় উনার স্ট্যাটাসে গিয়া উনারে নারীবাদের ‘অ-আ-ক-খ’ শিখায়ে উনারে সম অধিকার কারে বলে বুঝায়ে উনারে আনফ্রেন্ড করা সম্ভব হয় নাই। উনার স্ট্যাটাস দেইখা আমি মনে মনে নিজেরে উপমহাদেশের পুরুষতান্ত্রিকতার এবং কৌলিন্য প্রথার সুপ্রাচীন ইতিহাস স্মরণ করায়ে দিয়া বলছি, ‘নাদিয়া ইসলাম, উত্তেজনার কারণ নাই। পৃথিবীর সবাই জ্ঞানী এবং প্রজ্ঞাবান হইলে পৃথিবীতে ব্ল্যাকবোর্ডওয়ালা চকখড়িওয়ালা ইস্কুলের অস্তিত্ব থাকতো না, তাই না? সুতরাং অফ যাও!’

সুতরাং ‘বৈষম্য’ নামের আখাস্তা, নোংরা, পুরুষতান্ত্রিক- মোবাইল ফোন হাতে থাকলেই ফিল্ম বানানো যায় এমন সস্তা স্ক্রিপ্টের ততোধিক সস্তা মেকিং-এর ফিল্ম নামের কলঙ্ক এবং মেয়েদের জব্দ করার করণকৌশল মার্কা ঘোর তমসীয় মান্ধাত্বা বমিউদ্রেককারী- জীবনের অমূল্য ১২ মিনিট নষ্টকারী কুরুচিপূর্ণ নিম্নশ্রেণির ফিল্ম দেইখাও আমি আশ্চর্য্য হই নাই। তবে প্রতিজ্ঞাভঙ্গ কইরা লিখতে বসছি। হে ধনুক, আপনি আমারে ক্ষমা করবেন।

‘বৈষম্য’র বক্তব্য কী? ‘বৈষম্য’ বলতে চাইছে, সিগারেট খাওয়া খারাপ (ঘটনা সত্য), কিন্তু রাস্তাঘাটে পুরুষরা চাইলে সিগারেট খাইতে পারেন, (কারণ উনারা পুরুষসিংহ, উনাদের উপর সমাজ সংসারের পর্বতসমান দায়িত্ব এবং সেই দায়িত্ব থিকা নিস্কৃতি লাভের আশায় উনারা সিগারেট জাতীয় নেশা করতে পারেন), কিন্তু মেয়েরা রাস্তাঘাটে সিগারেট খাইতে পারেন না (কারণ মেয়েরা নিচু ও দুর্বল, উনাদের বাসে ট্রেইনে স্পেশাল সিট লাগে এবং মেয়েদের প্রকাশ্যে সিগারেট খাইতে দেখা দৃষ্টিকটু এবং যেহেতু উনারা ছেলেদের মতো রাস্তাঘাটে ন্যাংটা হইয়া ঘুরতে পারেন না বা খাড়াইয়া মুততে পারেন না, তাই উনাদের সম অধিকার নিয়া লাফানো অযৌক্তিক)।

‘বৈষম্য’ এই ‘সমস্যা’র একটা সহজ ‘সমাধান’ দিছে। উনাদের সমাধান এইরকম, যেহেতু মেয়েদের রাস্তাঘাটে সিগারেট খাওয়া ঠেকানোর মহান দায়িত্ব পুরুষের উপর, যেহেতু মেয়েরা কোথায় কী খাবেন, কোথায় হাগবেন কোথায় মুতবেন তা ঠিক করার কাজ পুরুষের, তাই উনারা সেই সিগারেট খাওয়ার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ কইরা অনলাইনে ছাইড়া দিবেন। তাতে সিগারেটখোর মেয়েরা বাপ মা স্বামী বড়ভাইয়ের কাছে পিটানি খাইয়া ও সমাজের কাছে নষ্টা প্রমাণিত হইয়া ও লজ্জিত এবং অপমানিত হইয়া কানতে কানতে সিগারেট খাওয়া ছাইড়া দিয়া নাক মুখ একশ সাতচল্লিশবার গোলাপ জল ও আগরবাতির ধোওয়া দিয়া ধুইয়া সকাল বিকাল খোরমা খেজুর খাওয়া শুরু করবেন। আহা কী সুন্দর সমাধান, বলেন, মাশা আল্লাহ ব্রাদার। বলেন জাজাকুল্লাহ খায়রুন ব্রাদার!

প্রথমেই বইলা নিতে চাই, আমি সিগারেট খাই, প্রকাশ্যেই খাই। এবং খাবোও। এও বলতে চাই, আজকের দিনের বিজ্ঞান অনুযায়ী সিগারেট খাওয়া শরীরের জন্য খারাপ। সিগারেটের মাধ্যমে মানুষের অন্যান্য ভয়ংকর ড্রাগের প্রতি আসক্তি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। কিন্তু সিগারেট আজকের দিন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় আইনে বেআইনী কোনো ড্রাগ না। সুতরাং সিগারেট খাওয়ার বিরুদ্ধে যদি কথা কইতে চান, তাইলে রাস্তাঘাটসহ সমস্ত পাবলিক প্লেইসে (রেস্টোরেন্টে, বাস স্টপে, স্কুলের সামনে, হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভিতরে) নারী পুরুষ নির্বিশেষে সিগারেটের বিরুদ্ধে আন্দোলন গইড়া তোলেন। শিশুদের সামনে যাতে সিগারেট না খাওয়া হয়, প্যাসিভ স্মোকিং কইরা অধূমপায়ীদের যাতে অস্বস্তির মধ্যে না ফেলা হয়, তা নিশ্চিত করেন। সিগারেটের দাম বাড়ায়ে দেন, দরকার হইলে রাষ্ট্রীয় আইনের মাধ্যমে তারে নিষিদ্ধ করেন।

কিন্তু ‘বৈষম্য’ তা করতে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হইছে। ‘বৈষম্য’র বক্তব্য শুধুমাত্রই মেয়েদের পাবলিক প্লেইসে সিগারেট খাওয়ার ঔদ্ধত্য নিয়া। অর্থাৎ তারা বলতে চাইছে, মাইয়া মানুষের অত ভাব চোদানোর কী আছে? মাইয়া মানুষ থাকবো নরম, কোমল, কাঁটাবিহীন সন্ধ্যার প্যাতপ্যাতা ফুলের মতো। তাগোরে আমরা যথাসময়ে কোলে নিয়া নাকের কাছে নিয়া ঘেরান শুঁকবো, যথা সময়ে হাত থিকা ফালায়া পায়ের জুতায় পিষবো। মাইয়া মানুষ পোলাগো মতো রাস্তাঘাটে বিড়ি ছিগ্রেট ফুঁকবো, এত সাহস ওগো আইবো কোত্থেইকা, হ্যাঁ? আর বেশি সাহস হইলে আমাগো প্যান্টের জিপারটা খুইলা আমাগো অস্ত্রটা একটু নাড়ায়ে চাড়ায়ে দেখায়ে দিবো, তাতেই ওরা চুপ কইরা আবার নিজেগো ফুলদানীতে ফেরত গিয়া সন্ধ্যামালী আর হাসনুহেনার মতো নীরবে সুঘ্রাণ ছড়াইতে ছড়াইতে আমাগো সেবা দিতে থাকবে। সেবা দেওয়া ছাড়া মাইয়াগো আর কাজ কী?

‘বৈষম্য’র এই পুরুষতান্ত্রিকতা নতুন না। মেয়েদের রক্ষা করতে চাওয়ার এবং উনাদের অভিভাবকসুলভ দায়িত্ব নেওয়ার প্রচলনও নতুন না। মেয়েরা কী করতে পারবেন, কী করতে পারবেন না, তা ঠিক কইরা দেওয়ার আধিপত্যবাদের ক্ষমতার রাজনীতি প্রদর্শনও নতুন না। মেয়েদের চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন তুইলা উনাদের বেশ্যা বানানোর এবং উনাদের লজ্জিত ও অপমানিত কইরা অবদমন করার পদ্ধতিও নতুন না। যা নতুন, তা হইলো, উনারা নারী নির্যাতনের নতুন পথ মানুষরে দেখায়ে দিতে সমর্থ হইছেন।

একজনের অনুমতি ব্যতীত অন্য কেউ রাস্তায় উনার ছবি তুললে বা ভিডিও করলে তা রাষ্ট্রীয় আইনে হয়রানী বইলা বিবেচিত হয়। আইনের ভাষায় কোনো অপরাধ সংঘটিত হইতে থাকলে (অর্থাৎ কাউরে খুন করা হইতেছে, কাউরে নির্যাতন করা হইতেছে বা কোথাও ডাকাতি হইতেছে) তা ভিডিওতে ধারণ করা এক জিনিস, এবং সিগারেট খাওয়ার মতো আইন বহির্ভূত বিষয়রে ভিডিওতে ধারণ কইরা সিগারেট খাওয়া মেয়েদের চরিত্রহননের চেষ্টা করা অন্য জিনিস। এই জিনিসের নাম ‘পাবলিক শেইমিং’, অর্থাৎ সবার সামনে এমনভাবে তথ্য উপস্থাপনের চেষ্টা, যাতে প্রমাণ হয়, ঐ ঘটনায় জড়িত মেয়েটাই ঐকান্তিকভাবে দায়ী এবং ঘটনায় জড়িত ছেলেটা পাস্তুরিত দুধে ধোওয়া অর্গানিক তুলশী পাতা। একইভাবে প্রেমিক প্রেমিকার অজান্তে তাদের সেক্স-সিনের ভিডিও পাবলিক কইরা দিয়াও মেয়েদের পাবলিক শেইমিং করার প্রচলন আছে এই দেশে। যেন মেয়েটা একলা একলাই শুইয়া নিজেরে কলংকিত করছেন, উনার সঙ্গের ছেলেটা উনার বায়বীয় শিশ্ন দিয়া উনারে স্পর্শ করছিলেন বিধায় উনার শরীর কলংকিত হয় নাই। অথবা উনার সঙ্গের ছেলেটা মহাপুরুষ গোত্রের। শারীরিক শিশ্ন নিয়া উনি মেয়েটার সাথে শুইতে গেলেও মেয়েটার ভ্যাজাইনার কামরস উনারে স্পর্শ করে নাই, কারণ জল উনারে ভিজায় না, আগুন উনারে পুড়ায় না, বাতাস উনারে টলায় না। অবশ্য সেই হিসাবে বাংলাদেশের সকল পুরুষই মহাপুরুষ।

তো যাই হোক, কামিং ব্যাক টু দ্যা পয়েন্ট- প্রসঙ্গ ছিলো মেয়েদের রাস্তাঘাটে সিগারেট খাওয়া জায়জ কীনা, তা নিয়া। ডিয়ার ‘বৈষম্য’ নির্মাতা মাথামোটা মহাপুরুষ ভাইয়ারা, আমি আমার বক্তব্য ক্লিয়ার করি, দেখেন আপনাদের মহাপুরুষীয় মোটা মাথায় আমার কথা ঢোকে কীনা। না ঢুকলে একটা হাতুড়ি দিয়া নিজের মাথার কানের পাশে একটা বাড়ি দিয়া একটা গর্ত কইরা দেখতে পারেন। কানের ফুটার সাইজ ছোট, আমি মানি।

সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু যেহেতু রাষ্ট্রীয় আইনে সিগারেট নিষিদ্ধ না, সুতরাং নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটা মানুষের কমোডের উপর হাগতে বইসা নিজের বাথরুমে বা যৌন সঙ্গম শেষ কইরা বিছানায় আলো নিভাইয়া বা রাস্তাঘাটে কোকাকোলার বোতল বা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে সিগারেট খাওয়ার অধিকার আছে। এবং সেই অধিকার আপনারা চ্যাটের বাল আবদুল্লারা খর্ব করতে পারেন না। যদি খর্ব করতে চান, তাইলে আমরা রাষ্ট্রীয় আইনেই আপনার নামে মামলা করবো। আপনারা যদি আমাদের অনুমতি ব্যতীত আমাদের ছবি বা ভিডিও আপনাদের মোবাইলে ধারণ করেন, তাইলে আমরা পা দিয়া পাড়াইয়া আপনাদের মোবাইল ফোন এবং আপনাদের সাধের বিচি ফাটাইয়া দিবো। আমরা প্রকাশ্যে সিগারেট খাবো, গোপনে সিগারেট খাবো, আপনাদের তা দেখতে ভালো না লাগলে আরেকদিক তাকাইয়া থাকবেন। আপনারা আমাদের শিখাইতে আসবেন না আমরা কোথায় কী করবো। আপনাদের বেহুদা খবরদারীর লাল-নীল দিন শেষ। আমরা নিজেদের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিবো। আমরা কী কাপড় পরবো, ক্যামনে ঠ্যাং চ্যাগায়ে বসবো, কবে বিয়া করবো, কবে বাচ্চা নিবো, কোন বন্ধুর সাথে মিশবো, তা ঠিক করার দায়িত্ব আমাদের নিজেদের। আর আপনারা যদি আমাদের সিগারেট খাওয়ার দৃশ্য ধারণ কইরা আমাদের এক হাত নেওয়া গেছে ভাইবা বিকৃত বিমলানন্দ উপভোগ করেন, তাতেও আমাদের বাল ছিঁড়বে না। আমাদের বাল এত সহজ মাল না যে আপনে এক মুঠ উঠায়ে উদ্বাহু মণিপুরী কুচিপুরী নৃত্য করলেই তার পরের মাসে তার প্রোডাকশান বন্ধ হইয়া যাবে। সুতরাং আমরা প্রকাশ্যে সিগারেট খাবো, আপনাদের চোখ রাঙ্গানি উপেক্ষা কইরা সিগারেট খাবো, কারণ আমরা জানি, সিগারেট খাওয়ার সাথে আমাদের চরিত্রের সংজ্ঞা নির্ভর করে না।

আর লাস্টলি, অফ-টপিকে কই, ভালো ফিল্ম বানানো শিখেন। মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে পারার ক্ষমতা দিয়া ফিল্ম হয় না। ঐ কাজ বান্দরেও পারেন। বান্দর হইতে উন্নত হন, পুরুষতান্ত্রিকতা থিকা বাইর হইয়া আসেন, তাইলে বুঝতে পারবেন, মেয়েরা সম অধিকারের আশায় বা আপনাদের মতো ন্যাংটা হইয়া ঘোরা বা খাড়াইয়া মোতার নোংরা বাসনায় সিগারেট খান না। সিগারেট একজন ছেলের নার্ভ যেইভাবে শান্ত করে বইলা কথিত আছে, ঠিক একইভাবে একজন মেয়ের নার্ভরেও শান্ত করে। আর আপনারা যেইভাবে আমাদের নার্ভ সারাক্ষণ এইসব কুরুচিপূর্ণ অশিক্ষিত পুরুষতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডে উত্তেজিত কইরা রাখেন, আমাদের সিগারেট না খাইয়া উপায় কী, বলেন, হিহি?

আমার লিস্টে নারী অধিকার নিয়া কাজ করেন এমন ফেইসবুকিয় বন্ধুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি। নারী নির্যাতনরে উস্কায়ে দেওয়া, নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়াইতে সাহায্য করা এমন কদর্য ফিল্মরে ক্যানো এখনো আপনারা রাষ্ট্রীয় ভাবে আইনের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষনা করতেছেন না? আপনারা দয়া কইরা ‘সিগারেট খাওয়া যেহেতু খারাপ’ বইলা লম্বা তিন আলিফ টান দিয়া দীর্ঘনিঃশ্বাস ফালায়ে এই ফিল্মরে জাস্টিফাই করার চেষ্টা কইরেন না। এই ফিল্ম যত না সিগারেটের অপকারিতা নিয়া, তার চাইতে বেশি মেয়েদের কীভাবে হেনস্তা বা নির্যাতন করা যাবে তা নিয়া। পার্থক্যগুলি বুঝতে শিখেন।

তাই ‘বৈষম্য’ নামের বৈষম্যমূলক সহিংস ফিল্মরে ব্যান করা হোক। আমাদের সমাজে মেয়েরা উনাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে শিখুক। সেই সিদ্ধান্ত ভুল হোক বা সঠিক হোক, তা দেখার দায়িত্বও মেয়েরা নিতে শিখুক। কোনো পুরুষতান্ত্রিক পুরুষ যদি সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ সাধতে আসেন, তাইলে উনাদের থাবড়ায়ে কানকো পাকায়ে রক্তবর্ণ বানায়ে ফেলতে শিখুক। এবং তারপর সেই পাকা কানকোওয়ালা মাথা মুগডালের সাথে ভাইজা ভাজি ভাজি কইরা মুড়িঘণ্ট রানতে শিখুক।

বিনীত
নাদিয়া ‘নয়া কেকা ফেরদৌসি অফ বাংলাদেশ’ ইসলাম। 

2927 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।