বার্লিনের এক মা খুব চিন্তায় পড়ে গেছেন, তার ছেলে এতো বড় হয়ে গেলো কিন্তু এখনো কথা বলে না, মাঝে মাঝে কেবল নিঃশব্দে বিড়বিড় করে। ছেলেটার পাঁচ বছর হলে পরে মায়ের সকল চিন্তার অবসান ঘটিয়ে হঠাৎ একদিন সে বলে উঠলো একটা পুরো বাক্য – "Coffee is too hot." বার্লিনের সেই ছেলের নাম আ্যলবার্ট আইনস্টাইন। এই বিজ্ঞানী ভালো বেহালা বাজাতেন, রবীন্দ্রনাথের সাথে তাঁর সুসম্পর্ক ছিলো। এক বন্ধুকে "God letter" নামে খ্যাত এক চিঠি লিখে তিনি রীতিমতো হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন। তো একবার তিনি গেলেন আমেরিকায় "গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন" দেখতে। জনশ্রুতি আছে, প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এই গিরিখাত দেখে বিস্ময়ে আইনস্টাইন হতবাক হয়ে নাকি মাত্র একবারের জন্য সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন।
আমি অতি সাধারণ মানুষ, অতি ক্ষুদ্র এই ফুল দেখে মনে পড়লো বিবেকানন্দের বাণী –
"বহুরূপে সম্মুখে তোমার ছাড়ি, কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।।"
ক্ষুদ্র এই ফুলের নাম "red ivy" / "purple waffle"
মাত্র তিন লাইনের এক প্রকার সহজ সরল জাপানিজ কবিতা আছে। নাম "হাইকু"। এই কবিতার অন্যতম বিষয় হলো প্রকৃতি ও ঋতু। সহজ সরল হলেও এই ক্ষুদ্র কবিতার মর্মার্থ কিন্তু গভীর। কয়েক দিন ধরে হাসনাত আবদুল হাই এর একটা "হাইকু" মাথায় ঘুর ঘুর করছে
"ট্রাফিকের লাল বাতি
চালক চকিতে দেখে
হাসছে চেরী ফুল।।"
"Red traffic light
Driver quickly turns
To cherry blossoms."
জীবন যদি একটা জার্নি হয়, তবে তিন মাসের বেশি সময় ধরে এই জীবন ট্রাফিকের লালবাতির সিগনালে আটকে আছে। ট্রাফিক জ্যামের এই অবসরে অনেক কিছু দেখা হয়েছে। কিন্তু এইবার একটা গ্রিন সিগনালের ভীষণ প্রয়োজন।
এই গাছটির নাম "চাইনিজ এভারগ্রিন"।
রবীন্দ্রনাথের তিন কন্যা–বেলা, রেণুকা, মীরা।
কন্যাদের জন্য দেশী বিদেশী শিক্ষক থাকলেও কবি নিজেই তাদের পড়াতেন। বড় কন্যা বেলা বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষাতেই কবিতা লিখেছেন, বেশ কয়টি ছোটগল্পও রয়েছে তার। তাকে নিয়ে এক চিঠিতে পিতা রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন –"বেলার মনটি ভারী কোমল।"
কোমল মনের এই মেয়েটি অকালে প্রয়াত হলে পরে রবীন্দ্রনাথ খুব ভেঙে পড়েছিলেন।
বেলার পুরো নাম মাধুরীলতা দেবী।
কবি অকাল প্রয়াত কন্যার স্মরণে এই গাছটির নাম দিয়েছিলেন –"মাধুরীলতা"!