ধর্ষণ। একটি শব্দ। যে শব্দটি শুনলেই চেতনার সেলগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। স্তব্ধ হয়ে যায় ভাবনার জগৎ। পৃথিবীর কোনো সৌন্দর্যই চোখের সামনে ধরা পরে না। পৃথিবীর কারো প্রতি আস্থা রাখার মানসিকতা হারিয়ে ফেলা যায়। তেমন একটা শব্দ, যে শব্দের ব্যবহার মহামারী আকার ধারণ করেছে।
এই রাষ্ট্র ধর্ষণের শিকার হওয়াকে জীবনের বড়ো অভিজ্ঞতা মনে করছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে নারীকে তার জীবনের অভিজ্ঞতার ঝুড়ি ভারি করতে হচ্ছে!
জানুয়ারি ২০২০, ১৩ তারিখ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হয়ে ১৩ জন ঢাকা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি। এটা একটা তথ্য। বুর্জেোয়া মিডিয়ার তথ্য। এর বাইরের যে খবরগুলো ঘটেছে, ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তার সব খবর আমরা জানি না, জানা সম্ভবও না।
পত্রিকার দশটি খবরের মধ্যে পাঁচটিই ধর্ষণের খবর। নিজেকে বেশ অসহায় লাগে। অসুস্থ লাগে। হতাশায় ভুগি। আতঙ্কবোধ করি। এই বুঝি কেউ ধরবে, নিয়ে যাবে ঝোপের আড়ালে। ধর্ষণ করে ছেড়ে দিবে কিংবা পৈশাচিকভাবে হত্যা করবে। সারাক্ষণ এরকম চিন্তা মাথায় নিয়ে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে এই যখন পরিস্থিতি তখনই মনে হচ্ছে, না বেঁচে থাকাটা জরুরি।
যাই হোক, নিউজগুলো বলছি- ‘মৌলভীবাজারে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার দুই বান্ধবী’, ‘ওষুধ কিনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী’, ‘চরফ্যাশনে স্বামীকে খুঁজতে এসে ‘ধর্ষণের শিকার’ গৃহবধূ’, ‘সৌদিতে ধর্ষণের শিকার বাংলাদেশি কিশোরী’, ‘বাসাভাড়া দিতে না পারায় স্বামীকে আটকে নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ’, ‘ধার শোধ করতে না পেরে মেয়েকে মহাজনের হাতে তুলে দেয় বাবা’, ‘পিঠা কিনে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী’...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
এই রাষ্ট্রের বড় ভয়! জনগণের আন্দোলনকে বড় ভয় পায়।
২০১৯ সালে এক হাজার ৪১৩ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। যা কিনা ২০১৮ সালে ছিল ৭৩২ জন, ২০১৭ সালে ছিল ৮১৮ জন। ২০১৯ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯০২ শিশু, ২০১৮ সালে যে সংখ্যা ছিল ৩৫৬। গত বছরে ধর্ষিত ৯০২ শিশুর মধ্যে সাত থেকে ১২ বছরের শিশু ছিল ৩৯ শতাংশ আর ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছিল ৪৮ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যানও বুর্জোয়া মিডিয়ার। সেটা ধরলেও রাষ্ট্রব্যবস্থা
২০১৯ সালেই ১৪১৩ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হয় ৭৩২ জন। অর্থাৎ এক বছরেই ধর্ষনের ঘটনা দ্বিগুণ হয়েছে এবং ভয়াবহ মাত্রাই রূপ নিয়েছে। এমনকি নতুন বছরের শুরুও হয়েছে ধষর্ণের মাধ্যমে। এই ধর্ষণসহ খুন, রাহজানি, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, বিচারবহির্ভূতভা
ছোট ছোট ছেলে শিশুদেরকে ধর্ষণের খবরও আমরা প্রতিনিয়ত পেয়ে থাকি। তাদেরকে মেরে ফেলার খবরও জানি। সবই রাষ্ট্রের চিত্র।
আমরা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ধর্ষণের খবর ভুলিনি। ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপরাধে চার সন্তানের মাকে ধর্ষণ করেছিল আওয়ামী লীগের পাণ্ডারা। এ বছর শুরু হয়েছিল ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের সংবাদ দিয়ে।
এই রাষ্ট্র পুরুষতন্ত্রকে ধারণ করে। সরকারপ্রধান পুরুষতন্ত্রকে লালন-পালন করে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ
আবার আমরা এও জানি এর মধ্যদিয়েই আমাদেরকে লড়াটাই জারি রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদী সরকারের সুনামধন্য ছেলেরা একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। আমরা জানি, আবরার ফাহাদকে কি নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা। জনগণের টুঁটি চেপে ধরে ফ্যাসিবাদকে পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে এই সরকার। একইসাথে ধর্ষণের মহোৎসব চলছে। আর এই ধর্ষকদের পাহারা দিচ্ছে, এই রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্র ধর্ষক তৈরির কারাখানা।
আর আমাদের নজরটা সেদিকেই দিতে হবে। দু’একজনের বিচার করে, দু’একজনকে গ্রেপ্তার করে যে এর সমাধান হবে না- এই বোধটা জরুরি।
এই রাষ্ট্রযন্ত্র কতটা ফ্যাসিস্ট তা আরো পরিষ্কার হয়, যখন ধর্ষকের সবোর্চ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার বিল পাশ করে। এর মধ্যদিয়ে বিচারবহির্ভূতভা
আমরা জানি, পুঁজিবাদী, ভোগবাদী, সাম্রাজ্যবাদী, সম্প্রসারণবাদী,
একমাত্র এই ব্যবস্থাকে উচ্ছেদ করার মধ্যদিয়ে সমাজতান্ত্রিক, সাম্যবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা