(১) চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন যখন আহত শরীর নিয়ে রাঙ্গামাটি লেকের শীতল জলে, সন্ধ্যার অন্ধকারে, নিজের মৃত্যুভয় ছাপিয়ে শিশুপুত্রের ভবিষ্যৎ চিন্তা, ভয়, শঙ্কা আত্মরক্ষার অনিশ্চয়তার দোলাচলে, তখন, অন্য এক দেশে এমা ওয়াটসনসহ দুইশত অভিনেত্রীরা “যৌন হয়রানির” বিরুদ্ধে প্রচার ও তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছিলেন।

চাকমা রানীর সাথে এমা ওয়াটসনদের কাজের তুলনা একারণে যে, তিনিও মারমা দুই সহোদরার “যৌন সহিংসতার” অবিচারের ব্যাপারে সক্রিয় ছিলেন। যৌন হয়রানি, যৌন সহিংসতার সমস্যা নিয়ে কাজ কেবল বুরুন্ডি বা বাংলাদেশে নয়, সারা দুনিয়া জুড়েই। কাজের লক্ষ্য এক হলেও, দক্ষিণ এশিয় একটি অঞ্চল ও “সামরিক শাসনের” আওতায় বলেই হয়তো, চাকমা রানীর জীবনের ঝুঁকি এমা ওয়াটসনদের চেয়ে অনেক বেশি।
চাকমা রানী “সাম্রাজ্যবাদী বা সম্প্রসারনবাদী” বাংলাদেশ থেকে মুক্ত হয়ে “স্বাধীন চাকমারাজ্য” প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো সশস্ত্র সংগ্রামী নন। এমনকি, পাহাড়িদের স্বশাসন প্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক কর্মসূচী নিয়ে কোনো আন্দোলনের নেতৃত্বেও নেই। তাঁর সক্রিয়তা, বৃহত্তর অর্থে রাজনীতির হলেও, সেটা ভোটের বা কোনো দলীয় রাজনীতি নয়, সেটা নারী-পুরুষ সমতার লিঙ্গীয় রাজনীতি। নারীর প্রতি সহিংসতার বিপক্ষে, পিতৃতন্ত্রের বিপক্ষে, শান্তিপুর্ন ও আইনি পথে, নারীমুক্তির লক্ষ্যে তাঁর সামাজিক সক্রিয়তা।
(২) রানী ইয়েন ইয়েন শীতল জলে ছিলেন বিধায় প্রাথমিক চিকিৎসা পেয়েছিলেন, প্রাকৃতিক ভাবে। আঘাতের আহত জায়গায় বরফ দিতে হয়, লেকের শীতল জল সেই বরফের কাজ করেছে। যোগাযোগ করেছিলেন দ্রুতই নিজেদের লোকদের সাথে। নিজে বেঁচে গিয়েছেন। ফলে, পাহাড়ি জনগণও আপাতত বেঁচে গিয়েছেন, বড় ধরনের একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা থেকে। যে দাঙ্গায় অনেক অনেক আদিবাসীদের জীবন ঝরে যেতে পারতো, অনেক আদিবাসী নারী যৌন সহিংসতার শিকার হতে পারতো, অনেক ঘর হতে পারত আগুনে ভস্মীভূত।
যতদূর জেনেছি, পাহাড়ি তরুণেরা সংগঠিত হচ্ছিলো। গুজব ছিলো রানীকে বিশেষ বাহিনীর লোকেরা গুম করেছে। এই গুজব বিশ্বাসে পরিণত হতো, যদি রানী আরও কিছু সময় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতেন। রানী কেবল ব্যক্তি নয়, একটি জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়ের প্রতীকের অংশ। আবেগ ছিলো উচ্চতারে বাঁধা, কারণ এই অপহরণ বার্তা পাঠ হতো জাতিগত অবমাননার প্রমাণ হিসেবে। এই অবমাননার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সহিংসতা ছিলো একটি সম্ভাব্য উপায়, প্রতিবাদের ভাষা, অসন্তোষের প্রকাশ। দুই মার্মা সহোদরার যৌন সহিংসতার ঘটনা রূপান্তরিত হতো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়।

সম্ভাব্য সাপ্রদায়িক দাঙ্গা এড়ানোর ক্ষেত্রে, আদিবাসী উন্নয়ন কর্মী ও নাগরিক সমাজের ভূমিকা ছিলো সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অহিংস পথে প্রতিবাদ প্রতিরোধের পন্থা নিয়ে যে প্রশিক্ষণ/আলোচনা এই অঞ্চলে হয়েছে, তারও ভূমিকা ছিলো এই সম্ভাব্য দাঙ্গা না হতে দেয়ায়। উত্তেজিত তারুণ্যকে সহিংসতার পথ থেকে বিরত রাখায় আদিবাসী নাগরিক সমাজের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
সংকটের কালে, সহিংস পন্থার বদলে, সংবাদ সম্মেলন করে, সামাজিক মাধ্যমে লিখে, অহিংস মানবিক ও নান্দনিক পন্থায় প্রতিবাদ প্রতিরোধের ভাষা ও প্রক্রিয়ার বিকাশ সম্ভবত এ সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। সংগঠিত অহিংস নাগরিক উদ্যোগ এই অঞ্চলের শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই উপাদান বিকশিত হলে, আমাদের নিরাপত্তা বাজেটের খরচ হয়তো অনেক কমে যাবে। কে না জানে, অস্ত্র বাণিজ্য মুনাফা করে "নিরাপত্তা ব্যবসার" নামে।
(৩) রানী ইয়েন ইয়েন এবং একজন স্বেচ্ছাকর্মীকে শারীরিকভাবে আঘাত করার ঘটনায় যে চরিত্ররা অংশ নিয়েছিলো, তাঁদের পরিচয় কি? না এরা তাঁদের পরিচয় প্রকাশিত হোক তা চায় নি। তাঁদের মুখে ছিলো ডাস্টমাস্ক ও ওড়না জড়ানো, নিজেদের চেহারা আড়াল করার জন্য। এরা এসেছিলো করিডোরের আলো নিভিয়ে, বেআইনি অপারেশনে। কি ভয় ছিলো তাঁদের?
কিন্তু এই ঘটনার পটভূমি জানলে কিংবা এই অঞ্চলের মানুষের ধারনাকে বিবেচনায় নিলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পরিচয় অচেনা থাকে না। সাধারণের ধারনা, দুই সহোদরাকে আক্রমণ করা এবং রাতের অন্ধকারে সহিংস উপায়ে এদের হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার ভূমিকা কোনো রাষ্ট্রীয় বাহিনীর।
বিস্ময়ের ব্যাপার, কেনো এক দু’জন অপরাধী, যাদের বিরুদ্ধে যৌন সহিংসতার সুনির্দিস্ট অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের অপরাধের বিচারের আওতায় না এনে, এই প্রতিষ্ঠান সমূহ ব্যক্তির অপরাধের দায় প্রতিষ্ঠানের উপর নিচ্ছে। নিজ প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তির ব্যাপারে এদের নুন্যতম সংবেদনশীলতা নেই কেনো? এই সব প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিরা কিভাবে তাঁদের পরিবারের কন্যাদের চোখের দিকে তাকাতে পারে, এটাও বিস্ময়কর। এই ঘটনা নতুন নয়, ইতোপূর্বে তনু হত্যার ঘটনায়ও জনমনে ধারনা, এর দায় কোনো রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যের।
কেবল রাষ্ট্রীয় বাহিনীর নয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের লেজুড় ছাত্রসংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পেশাজীবী, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মী, - প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান পক্ষ নেয় অপরাধীর। নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নৈতিক অবস্থান ও ভাবমুর্তির বিপক্ষে।

(৪) নারীর প্রতি সহিংসতার সাথে যোগ আছে প্রথমতঃ পিতৃতন্ত্রের মতাদর্শের। পিতৃতন্ত্রের মতাদর্শের সাথে সম্পর্ক আছে ধর্মসংস্কৃতির সামাজিকায়নের। দ্বিতীয়তঃ নারীর প্রতি সহিংসতার সাথে সম্পর্ক আছে, অপরাধীর কোনো না কোনো ক্ষমতা কাঠামোর সাথে সম্পর্ক থাকার। এই ক্ষমতা হতে পারে, গোষ্ঠীগত, অর্থনৈতিক, ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের, পেশাগত উচ্চ পদের কিংবা সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের সদস্যের। কিন্তু এই মতাদর্শ, যা নারীকে হেয়, হীন ও যৌনবস্তু হিশেবে বোধের প্ররোচনা দেয়, অথবা ক্ষমতার সাথে সম্পর্ক, এই দুই শর্ত শেষ কথা নয়, আরও একটি তৃতীয় শর্ত দরকার, যার নাম ধর্ষকামিতা। ধর্ষকামিতা নামের মানসিক বৈকল্য না থাকলে, কোনো পুরুষের পক্ষে যৌনসহিংসতা সম্ভব নয়।
পার্বত্য অঞ্চলে এই ধরনের যৌনসহিংসতার ঘটনা ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে “উগ্র বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ” ধারনাটি অনেকের কাছে বেশ “বৈপ্লবিক” মনে হয়। দুই মারমা সহোদরাকে যারা আক্রমণ করেছে, এই মেয়েদের রক্ষা করতে গিয়ে রানী ইয়েন ইয়েন ও স্বেচ্ছাকর্মিকে যারা আক্রমণ করেছে, হতে পারে তারা ক্ষমতাবান প্রতিষ্ঠানের সদস্য, এবং সংখ্যাগুরু মুসলমান বাঙ্গালী জাতিসত্তার সদস্যও। কিন্তু বাঙ্গালী জাতিসত্তার শ্রেষ্ঠত্ববোধ (?) কি এই ধরনের যৌনসহিংসতার প্রণোদনা? এই প্রণোদনা কি অর্জিত হয়েছে, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, এম এন রয়, বেগম রোকেয়া, অমর্ত্য সেন বা জাহানারা ইমামের সেক্যুলার বাঙ্গালীত্বের বোধে? মনে হয় না।
মুসলমান আত্মপরিচয়ের প্রশ্নে, মৌলবাদের প্রভাবে নারীর প্রতি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি যে সহিংস পিতৃতান্ত্রিক তাতে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিলে, যে বয়ান প্রচারিত তাতে এই দৃষ্টিভঙ্গীকে উৎসাহিত করার প্রচুর প্রমাণ ইউটিউবেই পাওয়া যায়।

ক্ষমতাবান প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে, পার্বত্য অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সাথে সম্পর্ক যে একটি শর্ত, সেটিকে অস্বীকার করা কঠিন। এই সম্পর্কের প্রভাব পাহাড়ে কিংবা সমতলে সমভাবেই সক্রিয়, তনুহত্যা যার উদহারণ। পার্বত্য অঞ্চলে যে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বের চেহারা আমরা দেখি, আর একটু গভীরে গিয়ে দেখলে, ঐতিহাসিক ভাবে দেখলে, এটি জাতিগত বা সাম্প্রদায়িক একেবারেই নয়, এটি রাষ্ট্রের সাথে (বৃটিশ, পাকিস্থান ও বাংলাদেশ) আদিবাসীদের স্বশাসনের দ্বন্দ্ব। সাম্প্রতিক কালে যুক্ত হয়েছে কর্পোরেট পুঁজির সাথে আমলাতন্ত্রের যৌথ অবস্থান, আদিবাসী অর্থনীতি, স্বশাসন ও সংস্কৃতির বিপক্ষে।
ফলে পার্বত্য অঞ্চলে যে যৌনসহিংসতা আমরা দেখছি, সাধারণ ভাবে দেখলে সেটি পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক প্ররোচনা থেকে হয়েছে বলে মনে হয় না। সেটি রাষ্ট্রীয় সামরিক নীতির প্রকাশও যে নয়, তা বোঝা যায় যদি আমরা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর নারীর প্রতি সহিংসতার চরিত্র বিবেচনায় নেই। আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সশস্ত্র যুদ্ধের অনুপস্থিতিতে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনী আদিবাসীদের নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবে “যৌন সহিংসতা” ব্যবহার করছে, সেটিও হবে কষ্টকল্পনা। (যদিও ধর্ষকের প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক পক্ষপাতিত্বের কারণ বিস্ময়কর বটে।)
(৫) রানী ইয়েন ইয়েন ও মাত্র একজন স্বেচ্ছাকর্মীকে যে দেড় ডজন মুখোশ পরা লোক এসে হামলা করেছে, এই দলটিতে নাকি নারী সদস্যও ছিলো, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ও সামাজিক মাধ্যমে আমরা তা জেনেছি। এই বিশাল বাহিনী, এর বিপরীতে হালকা পাতলা গড়নের রানী ইয়ান ইয়ান ও একজন নারী স্বেচ্ছাকর্মী ভাবলেই মনে হয় এটি কোনো “কাপুরুষোচিত” হামলা । নুন্যতম আত্মগর্ব বা আত্মসম্মানবোধ আছে এরকম একদল লোক নিরস্ত্র দুইজন নারীকে শারীরিক হামলা করতে পারে, ভাবতেই অবাক হতে হয়। সাম্প্রতিক হামলার এই “কাপুরুষোচিত” চরিত্র দিয়েই হয়তো আমরা পার্বত্য অঞ্চলে নারীর প্রতি সহিংসতা ব্যাখ্যার ভিন্ন একটি সূত্র পাই।
বাংলায় আমরা যখন “কাপুরুষ” বলি, এটি নির্দেশ করে চরিত্র, আচরণ বা ভূমিকা। কোনো শারীরিক ভাবে নারীও যদি নৈতিক সাহস দেখাতে ব্যার্থ হয়, আমরা তাঁকে "কাপুরুষ" নামে অভিহিত করি। এটি শারীরিক বা দৈহিক ভাবে পুরুষের বৈশিষ্ট্যের ব্যাপার নয়, এটি ইংরেজিতে ম্যাস্কুলিনিটি, পৌরুষের বা পৌরুষবোধের ব্যাপার।

ম্যাস্কুলিনিটি বা পৌরুষ নিয়ে একাডেমিক আলোচনায় সাধারণত চার ধরনের পৌরুষ নিয়ে আলোচনা আছে। আধিপত্যাকারী পৌরুষ, সহযোগী পৌরুষ, প্রান্তিক পৌরুষ, এবং আজ্ঞাবহ পৌরুষ। কালভেদে ও সমাজভেদে এই পৌরুষের ধরন বদলায়। আধিপত্যকারী পৌরুষ বা হেজিমোনিক ম্যাস্কুলিনিটির পুরনো দিনের উদহারণ আমার কাছে, বাঙলার ডাকাত। আগ্রাসী, সহিংস কিন্তু আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন। ডাকাতি করতে গিয়ে সে মেয়েদের বলে, “মা আপনার অলংকার দিন”। সে নারীকে অসম্মান করে না এই জন্য যে সে নারীকে মনে করে দুর্বল এবং কোনো আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন পুরুষ দুর্বলের উপর আঘাত করতে পারে না।
বিপরীতে, নারীর প্রতি সহিংসতা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমি এক ধরনের পুরুষের (পৌরুষ বোধের) পরিচয় পাই। লোকটি তার স্ত্রীকে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে তারপর গায়ে এসিড ছোড়ে। এই লোকটিকে কাপুরুষ বললে ঠিক বোঝা হয় না। এরা “প্রতিশোধপরায়ণ কাপুরুষ”।
সম্প্রতি দলবদ্ধভাবে কোনো একাকী নারীকে আক্রমণের অনেক সংবাদ আমরা দেখছি। দেখছি শিশুদের প্রতি যৌন সহিংসতার ঘটনা, কারণ আমরা এক নতুন প্রজাতির পৌরুষ দেখছি, যারা ভিতু, লোভী, প্রতিহিংসাপরায়ণ, এবং সহিংস। এরা সুযোগ খোঁজে, ক্ষমতার পদলেহন করে এবং অন্যের ক্ষমতার ছায়ায় সহিংসতা করে।
উগ্র জাতীয়তাবাদ, রাষ্ট্রীয় বাহিনী, ইত্যাদি সাধারণীকৃত ধারনা ব্যবহার করে আমরা এই প্রতিশোধপরায়ণ কাপুরুষদের, যারা প্রত্যক্ষভাবে সহিংসতার অপরাধের সাথে জড়িত, এদেরকে কি আড়াল করছি? কেনো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তারা এই সহিংস অপরাধীদের আশ্রয় দেয়, সেটা একটি ভিন্ন প্রশ্ন, কিন্তু নারীর প্রতি সহিংসতাকে বুঝতে হলে, এই অপরাধীদের মনোজগতকেও বুঝতে হবে।
এবং যে সমাজ এই প্রতিশোধপরায়ণ কাপুরুষ জন্ম দিচ্ছে, সেই সমাজের অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও সামাজিকায়নের চরিত্রকেও বুঝতে হবে। বদলাতে হবে সেই পিতৃতান্ত্রিক ব্যাবস্থাও যা প্রতিনিয়ত প্রতিশোধপরায়ণ কাপুরুষের জন্ম দিচ্ছে, বাড়ছে নারীর প্রতি সহিংসতার অপরাধ।
রানী ইয়ান ইয়ানসহ নারী আন্দোলনের কর্মীদের উপর কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানাই। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হোক।
