ইমতিয়াজ মাহমুদ

এডভোকেট, মানবাধিকারকর্মী

নিজেদের মধ্যে কি একটু সংযত হওয়া দরকার না?

(১) প্রাসঙ্গিকতা বলে একটা ব্যাপার আছে। মানুষজনকে বিচার বিবেচনা করতে গিয়ে এই ব্যাপারটা অনেকেই ভুলে যান। সকল মানুষেরই নানান দিক থাকে। কোনো একজন মানুষের সকল দিক আমার ভালো লাগতে পারে না- এটা অসম্ভব। সেরকম আমার সব কথা, সব কাজ, সব রূপই আপনার ভালো লাগবে না। সেটা অসম্ভব। মানুষ তার নিজের সকল বৈশিষ্ট্যই পছন্দ করে না, অন্যের ব্যাপার তো কথাই নাই। এইরকম পছন্দ অপছন্দের মিশ্রণও আবার আমরা পছন্দ করি না। আমরা প্রত্যাশা করি যে যাকে আমি পছন্দ করবো সে হবে সকল বিষয়ে পছন্দের জন। আবার উল্টাটাও, যারে দেখতে পারলাম না ওর নাকি চলন কুতকুতে।

লুসি আপা ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা ফেল করলেন। না, এমনিতে নম্বর টম্বর ভালোই ছিলো। একটা সাবজেক্টে ডাব্বা মেরে গেলেন। মহা শোরগোল। এটা কি হলো! আমাদের আরিফ বলে কিনা, এইটা কি করে হয়! এতো সুন্দর রবীন্দ্রসঙ্গীত করে লুসি আপা, লুসি আপা কি করে পরীক্ষায় ফেল করলেন! (এই আরিফ আমাদের খন্দকার আরিফ, লুসি আপার ভাই আরিফ না)। এটা সত্যি, লুসি আপা চমৎকার গান করতেন, দেখতে খুবই মিষ্টি- নায়িকা বানানো যায় ঐরকম প্রায়, খুবই নম্র, ভদ্র, সুশীলা। সবই ঠিক আছে। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার জন্যে তো আর রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রাসঙ্গিক না। এটা তো এমনিই একটা উদাহরণ হলো যেখানে আরিফের অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা আমাদের হাস্যরসের যোগান দিয়েছে শুধু, কোনো প্রকৃত ক্ষতিবৃদ্ধি কারো হয়নি।

কিন্তু কোনো কোনো সময় এইরকম অপ্রাসঙ্গিক বিষয় বিবেচনা থেকে মানুষের বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ধরেন ফৌজদারি বিচার হচ্ছে। আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সে ভাবীর হ্যান্ডব্যাগ থেকে টাকা চুরি করেছে। এখন এই বিচারের সময় যদি বাদীপক্ষ তেরজন স্বাক্ষি এনে প্রমাণ করে যে এই লোকটি প্রতিদিন পাড়ার শুণ্ডিনীর বাড়ীতে যাতায়াত করে কেবলমাত্র এইসব স্বাক্ষীর কথাতে কি তাকে চুরির অপরাধে সাজা দেওয়া যাবে? তারও আগে বলেন, বাদিপক্ষকে কি অনুমতি দেওয়া হবে এইসব স্বাক্ষীকে এনে হাজির করার জন্যে?

ফৌজদারি বিচারের যে উদাহরণ দিচ্ছি, সেটার সিদ্ধান্ত কি হবে সেটা আমাদের জন্যে এই মুহূর্তে ইম্পরট্যান্ট না। এইরকম চরিত্র নিয়ে স্বাক্ষ্য প্রমাণ কখন দেওয়া যাবে কখন দেওয়া যাবে না সেগুলি নিয়ে বিস্তারিত বিধিবিধান আছে স্বাক্ষ্য আইনে। আমি যেটা দেখাতে চাইছি সেটা হচ্ছে যে একজন মানুষের একটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ধরে আপনি তাকে অন্য বিষয়ে বিচার করতে পারেন না। আমি উকিল হিসাবে ভাল বলে ড্রাইভার হিসাবে ভাল হবো সেটা বলা যাবে না। আমি ক্রিকেট ভালো খেলি বলে প্রেমিক ভালো হবো তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। এইরকম অনেক উদাহরণ আপনি দিতে পারবেন।

(২) এইবার মতামতের ব্যাপারে আসি। এইটাই মুল কথা যেটা আলোচনা করতে চাচ্ছি।

আপনি তো আমার সকল মতামতের সাথে একমত হবেন না। বলাই বাহুল্য। তারপরেও মানুষের সাথে আমাদের মতৈক্য হয়। মোটা দাগে কিছু কিছু বিষয়ে একই মতের হলে আমরা দল পাকাই। দল তো পাকিয়ে ফেললেন, এরপর গিয়ে দেখবেন যে দলের লোকজনের সাথে আপনার নানান ইস্যুতে মতপার্থক্য শুরু হয়ে গেলো। হবেই। হতে বাধ্য। তখন কি করবেন? সকল হাতিয়ার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন একে অপরের বিরুদ্ধে? তাইলে যে বড় ইস্যুটিতে আপনি একমত হয়েছিলেন সকলের সাথে তার কি হবে? তাইলে কি একটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভিন্নমত হলে সেই ভিন্নমতটা চেপে যাবেন? তাই বা কি করে হয়। কারণ যে বড় ইস্যুটিতে আপনি সকলের সাথে একমত হয়েছেন, ছোট ছোট ইস্যুগুলিতো সেটাকেও প্রভাবান্বিত করে। তাইলে?

এইখানেই গণতন্ত্রের বিউটি। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বলে যে আপনি একই সাথে অপরের সাথে কিছু বিষয়ে একমত হয়ে একই সময় কিছু বিষয়ে ভিন্নমতও পোষণ করতে পারেন। এমনিতে লোকে বলে বটে যে পরস্পরের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার কথা। কিন্তু আসলে সবসময় আপনি অপরের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে পারবেন না। সেটা সম্ভবও না, প্রত্যাশিতও না। কিন্তু সহ্য করতে হবে। যে আরেকজন এমন কিছু বলতে পারে তাতে আমার পিত্তি জ্বলে যাবে, কিন্তু তার কারণে সে আমার শত্রু হয়ে যাবে না বা এই কারণে অন্য সকল ইস্যুতেও তার সাথে আমার বিরোধ করার দরকার নাই। সেই সাথে এটাও ঠিক যে কিছু কিছু ইস্যু আছে যেগুলি এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ যে তখন আর ভিন্নমত নিয়ে একসাথে চলা সম্ভব হয় না।

একটু সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল যেগুলি আছে ওরা কি করে? ওরা যেটা করে সেটা অনেকটা ব্রিটিশ কেবিনেটের নিয়মের মতো। আপনি দলের ভিতরে তর্ক করবেন, সংগ্রাম করবেন, ভিন্নমত করবেন। কিন্তু একবার যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে গনতান্ত্রিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতে, তখন আপনাকে সেই সিদ্ধান্ত মানতে হবে অথবা দল ত্যাগ করতে হবে। ব্রিটেনে মন্ত্রীরা এইভাবে কাজ করে। একবার যখন কেবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়, এরপর সকল মন্ত্রীরা এই সিদ্ধান্তের পক্ষেই কথা বলবেন, অথবা মন্ত্রী পদ ছেড়ে দিবেন।

এইগুলি তো গেল যেখানে একটি সংগঠিত কাঠামো আছে সেরকম পরিস্থিতির কথা। কিন্তু অনেক সময় তো দেখা যায় যে সেরকম কোনো সাংগঠনিক কাঠামো নাই, কিন্তু এমনিতেই একটি মতের পক্ষে বা ইস্যুর পক্ষে একদল লোক নিজেকে চিহ্নিত করে। তখন কি হবে? আমি যদি দেখি যে একজন লোক যাকে আমি আমার পক্ষে মনে করি, তিনি এমন কিছু বলছেন যেটা আমার দৃষ্টিতে বাজে কথা মনে হচ্ছে, তখন কি করণীয়?

(৩) আমাদের এখানে একদল লোক দাঁড়িয়ে গেছে যাদের সাথে কোনো না কোনো ইস্যুতে আমি নৈকট্য অনুভব করি। ফেমিনিস্টরা যারা আছেন ওরা। উগ্র নাস্তিক যারা আছেন, ওরা। লিবারেল সেক্যুলার যারা আছেন, ওরা। সিপিবি ছাত্র ইউনিয়ন এই লাইনের যারা আছেন, ওরা। মাওবাদী বা প্রায় মাওবাদী একদল আছেন, ওদেরকেও বেশ লাগে। আওয়ামী লীগ সমর্থকদের ব্যাপারে ঢালাওভাবে বলতে পারছি না, তবে আওয়ামীপন্থীদের অনেককেই ভালো পাই। কবি আর শিল্পী আছেন কিছু, ওদের প্রতি আমার মুগ্ধতাও আছে, আবার ঈর্ষাও আছে।

এই যে লিস্টি দিলাম, এই লিস্টির সকলেই কিন্তু আবার পরস্পরের প্রতি যে খুব মোহব্বত পোষণ করেন সেটা হলফ করে বলতে পারছি না। সেক্যুলার লিবারেল নাস্তিক এইরকম নানান কারণে আমি পছন্দ করি সেরকম লোকজনকেও দেখেছি ফেমিনিস্টদেরকে গুষ্টি তুলে গালি দিচ্ছেন। খারাপ লাগে। কিন্তু নারী অধিকার বিষয় ছাড়া দেখা যায় যে অন্যান্য নানান ইস্যুতে আবার ওদের সাথে আমার গলায় গলায় ভাব। তসলিমা নাসরিন আর আসিফ মহিউদ্দিন- এদের দুইজনকেই আমার খুবই পছন্দ। কিন্তু আমার অনেক পছন্দের লোকজন আছেন যারা এই দুইজনকেই গালি দেওয়ার আগে একটু নিঃশ্বাসের বিরতিও নেয় না। ব্যথা পাই। কিন্তু কি করবো?

মাঝে একবার মনে হলো যে আমি কি তবে সেইসব স্মিতহাস্যওয়ালা গোল আলুগুলির দলে কিনা, যাদের নিজেদের কোনো মতামত নাই, খালি খালি মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে আর জনপ্রিয় থাকার চেষ্টা করে? দেখালাম যে না, আমি সেরকম নই। আমার মতামত ও পলিটিক্যাল লাইন মোটামুটি স্পষ্ট। বন্ধুরা টের না পেলেও শত্রুরা বেশ বুঝতে পারে সেটা। আর এই 'শত্রুরা' বললাম এদের আকৃতিও নেহায়েত খারাপ না, আর ওদের ক্রোধের তীব্রতাও কম না। মামলা করেছে, হুমকি দেয় এগুলি তো আছেই। এখন আবার ভিন্ন আক্রমণ শুরু করেছে। যাই হোক, প্রসঙ্গ থেকে সরে যাওয়া ঠিক হবে না।

এই যে বিশাল একটা গোষ্ঠীর ফর্দ দিলাম- এদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য কি? কমন ক্যারেক্টার। এরা সকলেই ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের পক্ষে। এরা সকলেই মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে, এরা সকলেই ৭১ প্রশ্নে আমাদের দিকে। এরা সকলেই মৌলবাদীদের বিপক্ষে। এবং এরা প্রায় সকলেই নাস্তিক অথবা অজ্ঞেয়বাদী বা সংশয়বাদী বা এইরকম কিছু একটা, যেখানে ধর্মের স্থান নাই। চলেন কমনভাবে ওদেরকে লিবারেল নামেই চিহ্নিত করি।

(৪) এখন আমার এইসব সেক্যুলার লিবারেল বন্ধুরা দেখা যাচ্ছে নিজেদের মধ্যেই বেশ মারামারি শুরু করেছেন। এটা নিয়ে একটু শঙ্কা হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিন্ন করা পর্যন্ত গড়িয়ে গেছে।

ভিন্নমত তো দূর হবে না। যারা মুক্তচিন্তা করেন, ওরা তো কখনোই সকল প্রশ্নে অন্যের মতো বিনা প্রশ্নে মেনে নিবেন না। বিরোধ ছাড়া কি করে মুক্তচিন্তা হবে? বিরোধ হবেই। কিন্তু তাই বলে সেটা এই পর্যায়ে যাবে কেনো? আপনাদের কি হয়েছে? কেনো একে অপরের বিরুদ্ধে এইভাবে লাগছেন? এতে করে তো আমাদের শত্রুপক্ষ যারা, ওরা লাভবান হবে। একটু ভাবেন। এটা কি ঠিক হচ্ছে?

যখন রক্ষণশীল লোকেরা আমাদেরকে আক্রমণ করে, আমরা কি বলি? আমরা বলি সহনশীলতার কথা। আমরা বলি যে ভিন্নমত সহ্য করতে হবে। আমরা বলি যে কথায় কথায় যে ওদের অনুভূতিতে আঘাত লাগে সেটা একটা হাস্যকর ব্যাপার। সেই কথাগুলি আমরা নিজেরা কেনো চর্চা করবো না। একজন লিবারেল বা মুক্তমনা মানুষের মতবিনিময়ের বা তর্কের বা আলোচনার গ্রাউন্ডরুলটা কি? ভেবে দেখেন। কেনো আমি চট করে আরেকজনের প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ করবো, তাও আবার এমন একজনের প্রতি যার সাথে আমার অন্তত কিছু মৌলিক বিষয়ে মিল আছে।

হ্যাঁ, আমি যাদের পছন্দ করি তাদেরও কেউ কেউ মাঝে মাঝে এমনসব কথা বলেন যেগুলিতে তাদের নৈতিক ও আদর্শিক অবস্থান নিয়েই সংশয় দেখা দেয়। এটা হতেই পারে। মনে রাখবেন, প্রচলিত পথে হাঁটা অনেক সহজ। তখন আপনি কেবল সমাজের প্রতিষ্ঠিত বিধিবিধান নিষ্ঠার সাথে মেনে চলবেন। একটু ঠিকঠাকমত সেটা করতে পারলে আপনি চট করে জনপ্রিয়ও হতে পারবেন। আর প্রচলিত নিয়ম নীতি মেনে কথা বলাও সহজ। কারণ এইসব নিয়ম আমাদের অভ্যাসে আমাদের প্রতিদিনকার শব্দে ও আচরণে মিশে থাকে।

কিন্তু প্রচলিত ধারার বিপরীতে যারা চলতে চায়, ওদের তো সেইসব শতাব্দীপ্রাচীন শিক্ষা থেকে আগে নিজেকে মুক্ত করতে হয়। সেটা খুব একটা সোজা কাজ না। ঈশ্বরে বিশ্বাস নাই এরকম অনেক লোককেই দেখবেন কথায় কথায় চট করে ঐশী মাহাত্ম্যওলা শব্দ বলে ফেলে। এগুলি হচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে আসা সংস্কারের ফল। বুদ্ধি দিয়ে এর থেকে বের হয়ে আস্তে সময় লাগে না। কিন্তু আচরণে এর প্রভাব চট করে যায় না। সুতরাং কারো কথায় সেরকম কিছু মনে হলে, তাকে অন্তত বেনিফিট অব ডাউটটা আমি দিতে চাই।

(৫) প্রথমেই যে কথাটি বলছিলাম। ভালো রবীন্দ্রসঙ্গীত করলেই ইন্টারমিডিয়েট পাস করা যায় না। আবার রবীন্দ্রসঙ্গীত বেসুরা হয় বলে একজনের সাহিত্যজ্ঞান নিয়েও আপনি প্রশ্ন তুলতে পারেন না। একই সময়ে একজন মানুষের একটা মত আমি পছন্দ করতে পারি আর আরেকটা মতামত অপছন্দ করতে পারি। আমার বন্ধুরা যেসব বড় প্রশ্নে আমার প্রিয়জন, সেইসব মৌলিক প্রশ্নে ঐক্যমত রেখেও এমন কথা বলতে পারেন যেটা ঠিক না। আমি পছন্দের কথাটাকে সমর্থন করবো, অপছন্দেরটা নিন্দা করবো, সেটা নিয়ে তর্ক করবো, ঝগড়া করবো। কিন্তু একটা ভুল কথার জন্যে তার মুল অবস্থান সাধারণত ম্লান হয় না।

নিতান্ত উদ্দেশ্যমূলক মনে না হলে কেবল একটা দুইটা কথার জন্যে বা একটা দুইটা মতপার্থক্যের জন্যে আমি কোন বন্ধুকে শত্রু ক্যাম্পে ঠেলে দিতে চাই না। একটি ভুল আচরণের জন্যে বা দুই একটা কথার জন্যে আমি বন্ধুকে হনন করবো? সেটা কি ঠিক হবে?

নিজেদের মধ্যে কি একটু সংযত হওয়া দরকার না?

3531 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।