গত কয়েকদিন ফেইসবুকে ছিলাম না, বাংলাদেশের পত্রিকা পড়ারও সুযোগ হয় নাই। আজকে ফেইসবুকে আইসা ও পুরানা পত্রিকা ঘাঁইটা ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেওয়া টিটু রায়ের ঐ স্ট্যাটাসটা পড়লাম। এরপর দেখলাম স্ট্যাটাসের জের ধইরা রংপুর ঠাকুরপাড়ায় ঘইটা যাওয়া ঘটনা নিয়া আমার প্রাণপ্রিয় ফেইসবুকার পিনাকী ভট্টাচার্যের বেশ কিছু স্ট্যাটাস।
পিনাকী কী লিখছেন সেই প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে কয়েকটা পয়েন্ট আমি উল্লেখ করতে চাই।
১) বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৪ নভেম্বর, ২০১৭) অনুযায়ী রাকেশ মণ্ডল নামের এক ব্যক্তি ১৬ অক্টোবর, ২০১৭ তে প্রথম ঐ স্ট্যাটাস দেন ফেইসবুকের ‘টিনএইজার’ বইলা একটা গ্রুপে। যদিও কালের কণ্ঠ (১২ নভেম্বর, ২০১৭) জানাইতেছে, ১৬ তারিখ না, বরং ১৮ তারিখ মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী প্রথম ঐ স্ট্যাটাস ফেইসবুকে ছাড়েন এবং টিটু রায় ২৬ সেপ্টেম্বর ঐ স্ট্যাটাস শেয়ার করেন মাত্র।
২) বাংলা ট্রিবিউন (১১ নভেম্বর, ২০১৭) জানাইতেছে, টিটু রায় নিরক্ষর এবং উনি গত ৭ বছর ধইরা নিজের এলাকাতে নাই। কালের কন্ঠ (১৪ নভেম্বর, ২০১৭) জানাইতেছে, টিটু রায়ের ফেইসবুক আইডি ‘এমডি টিটু’ যে একটা ফেইক আইডি তা স্পষ্ট।
৩) সমকাল (১৩ নভেম্বর, ২০১৭) জানাইতেছে, ৪ নভেম্বর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের স্থানীয় রাজু আহমেদ নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক একই এলাকার টিটু রায়ের নামে অভিযোগ নিয়া যান এবং তার বিরুদ্ধে পোলিস সদর দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই ৫৭ ধারায় মামলা করেন ৬ নভেম্বর।
৪) সমকাল (১৪ নভেম্বর, ২০১৭) জানাইতেছে, ১০ নভেম্বর জুম্মার নামাজের পর টিটু রায়ের শাস্তির দাবীতে সলেয়াসা বাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। নামাজের পর কয়েক’শ মানুষ সেইখানে সমবেত হইয়া রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ কইরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ঐ রাস্তার দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
৫) সমকাল (১২ নভেম্বর, ২০১৭) এবং প্রথম আলো (১১ নভেম্বর, ২০১৭) জানাইতেছে, ১০ নভেম্বর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার হরকলি ঠাকুরপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কিছু বাড়ি পুড়ায়ে দেন ‘বিক্ষোভকারীরা’। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোতোয়ালি, গঙ্গাচড়া ও তারাগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে শটগানের গুলি ও টিয়ার গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ সময় সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হইয়া হাবিবুর রহমান নামের একজন মারা যান। আহত হইছেন সাত পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন। (এই সংখ্যা পরে পাল্টাইছে)
৬) চ্যানেল টুয়েন্টিফোর বিডি (১৪ নভেম্বর, ২০১৭) জানাইতেছে, টিটু রায়রে নীলফামারি থিকা গ্রেফতার করা হইছে।
এখন আসেন দেখি, মহামান্য পিনাকী তার স্ট্যাটাসে কী কী লিখছেন।
“সে (টিটু রায়) কটুক্তি করেছে ২৮শে অক্টোবর, অভিযোগ দেয়া হয়েছে ৫ই নভেম্বর। মুসল্লিরা দফায় দফায় মানববন্ধন আর প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনাকে তাতিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। প্রশাসন ঘটনা ঘটার আগে কোনো প্রস্তুতিমুলক ব্যবস্থা না নিয়ে সরাসরি গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দুইজনকে আহত হয়েছে ৬০ জন। অসমর্থিত সুত্রে দাবী করা হচ্ছে ছয়জন মারা গেছে। গুলিতে যারা মৃত তারা কেউই হিন্দুদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগাতে গিয়ে মারা যায়নি।”
প্রশ্ন।
যারা আগুন দিছেন আর যারা বিক্ষোভ করতে গেছেন, তারা আলাদা দুইটা গ্রুপ, এমন দাবী পিনাকীর। অর্থাৎ তিনি বলতে চান, নামাজিরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে গেলে প্রশাসন তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালাইয়া নিরীহ মানুষ হত্যা করছেন। নিঃসন্দেহে সেইটা খারাপ কাজ। আমার প্রশ্ন, দুইটা যে আলাদা গ্রুপ, তা পিনাকী কোথা থিকা খবর পাইছেন? খবরের সূত্র কই? উনি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কি? নাকি ঘটনার পিছনে উনার নিজের হাত ছিলো তাই উনি আনঅফিশিয়াল খবর পাইতেছেন হিহি?
পিনাকী আরও বলছেন, “প্রাণহানীর ঘটনাকে গুরুত্ব না দিয়ে শুধু ঘরবাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনাকে আমাদের মিডিয়াগুলো প্রচার করে কী প্রমাণ করতে চায়। তারা কি প্রকারান্তরে এটাই প্রমাণ করতে চাইছে না যে মুসলমানেরা অসহিষ্ণু, সহিংস? ফেবু পোষ্ট দেয়ার পরে এটা ফয়সালা করার জন্য কি প্রশাসন যথেষ্ট সময় পায়নি? এখানে একটা নিয়মতান্ত্রিক সভ্য প্রতিবাদকে সহিংস হয়ে উঠতে বাধ্য করা হয়েছে। নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদকে গুরুত্ব দিয়ে টিটুকে গ্রেপ্তার করলে সহিংসতার আশংকা কমতো।”
প্রশ্ন।
মসজিদ থিকা মাইকে মুসল্লিদের ডাইকা এবং উত্তেজিত কইরা বিক্ষোভ মিছিল করা এবং একজনের ‘অপরাধে’ তার গোষ্ঠির বাড়িঘর পুড়াইয়া দেওয়া কি সহিষ্ণু এবং অহিংস মুসলমানের পরিচয়? মসজিদ আছে নামাজ পড়ার জন্য। মসজিদ থিকা আন্দোলনের ডাক দেওয়া বাংলাদেশ সরকার সমর্থন করে কীনা? আমার জানামতে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা প্রাণহানীর ঘটনা উল্লেখ করছে। এইক্ষেত্রে আমি বলতে চাই, বাড়িঘর পুড়াইয়া দিতে যাওয়া উত্তেজিত জনগোষ্ঠীরে থামাইতে পোলিসের রাবার বুলেট ব্যবহার করার কথা, শটগান ব্যবহারের কথা না। সেইটা অন্য প্রসঙ্গ। কিন্তু যারা হিন্দু বাড়িতে আগুন লাগাইতে গেছেন, তাদের উপর তো দায়িত্ববান পোলিসের গোলাপ ফুলের মালা বর্ষণ করার কথা না। নিয়মতান্ত্রিক সভ্য প্রতিবাদ বলতে পিনাকী এইখানে কী বুঝাইতে চান? তিনি কি প্রকারান্তরে সংখ্যালঘুর বাড়িতে আগুন দেওয়ারে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক নিয়মনীতি অনুসরণ করা মিছিলের সাথে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলাইয়া ফেলতেছেন? বাংলাদেশে নিয়মিতই তো বিভিন্ন বামপন্থী ডানপন্থী মধ্যমপন্থীদের বিভিন্ন সভা ও সমাবেশ হয়। কই তার সাথে তো বাড়িঘর পুড়ানোর ঘটনা ঘইটা থাকে না!
এরপরের স্ট্যাটাসেও পিনাকী বলছেন, “যারা গুলি খাইছে তারা তো হিন্দুদের ঘরে আগুন দিতে যায় নাই। গুলি খাইয়া মারা যাওয়া সেই দুই হতভাগ্যের জন্য পারভেজ কারে দায়ী করতে চায়? দশটা ভস্মিভুত ঘর কি দুইটা তাজা প্রাণের চাইতে বেশী দামী? এই স্ট্যাটাস দিয়ে তো সে ধর্ম আর একটা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ায়ে মানবাধিকার লঙ্ঘণ করতেছে।”
একই প্রশ্ন আবার।
যারা গুলি খাইছেন, তারা যে হিন্দুদের ঘরে আগুন দিতে যান নাই, এই তথ্য পিনাকীরে কে দিছেন? নাকি উনি বিশেষ উদ্দেশ্যে মসজিদ থিকা বাইর হওয়া উত্তেজিত জনগোষ্ঠীর ‘চরিত্র’ রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর? উনি কি বলতে চাইতেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন শুধুমাত্র ভারতের পররাষ্ট্রনীতির (এবং সেই মারফত আওয়ামিলীগের পরবর্তী নির্বাচন এজেন্ডার) অংশ এবং এইখানে বাংলাদেশের তৌহিদি জনতার কোনোপ্রকার অংশগ্রহণ নাই? এই যে শত শত মানুষ টিটু রায়ের বিরুদ্ধে মামলা থাকার পরেও আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে নবীর সম্মান রক্ষার্থে রাস্তায় নাইমা পড়লেন, তারা সবাই ভারতের এবং আওয়ামিলিগের ভাড়া করা এজেন্ট?
উনার পরের স্ট্যাটাস, “দেখেন, রংপুরে গুলি খেয়ে যেন দুইজন মানুষ মরে নাই খালি হিন্দু পাড়ায় আগুন দেয়াই হইছে যেন। আর ষাট জন মানুষও আহত হয় নাই। কয়েকটা ভস্মীভূত ঘর দুইটা তাজা প্রাণের চাইতে স্যেকুলারদের কাছে বেশী দামী।”
প্রশ্ন।
বিক্ষোভকারীদের প্রতি পিনাকীর ভালোবাসার রহস্য কী? আমি আগেই একবার বলছি, বিক্ষোভকারীদের উপর পোলিসের শটগান ব্যবহার অগণতান্ত্রিক এবং বর্বর, কিন্তু যেই বিক্ষোভকারী মানুষের বাড়িতে আগুন লাগাইতে গেছেন, তারে থামাইতে পোলিস যদি শটগান ব্যবহার কইরা মানুষ মারেন, তারে বর্বর বলা সম্ভব না। পিনাকী খাড়ান, আগে প্রেমিস ক্লিয়ার কইরা লই। ধরেন, আমার বাড়িতে ডাকাত আসছেন। আইসা অস্ত্রের মুখে আমার সব টাকা পয়সা দামী জিনিস টিনিস ব্যাগে ভরতেছেন। এখন ধরেন আমি সুযোগ বুইঝা ডাকাতের মাথায় একটা বাড়ি দিয়া উনারে অজ্ঞান কইরা ফেললাম। এখন ডাকাত আপনার মতো বিচক্ষণ ব্যক্তির পরামর্শে আমার বিরুদ্ধে এ-বি-এইচের মামলা ঠুইকা দিলেন। কারণ আমি উনারে শারীরিকভাবে আহত করছি, উনার মাথায় একটা পার্মানেন্ট ড্যামেজ হইছে এবং এই কারণে উনার হবু বউ উনারে বিয়া করতে অস্বীকার করছেন। এখন আপনি যদি বলেন, ডাকাতের মাথায় বাড়ি দিয়া অজ্ঞান কইরা ফেলা আমার আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ হইছে, তাইলে পোলিসেরও আগুন লাগাইতে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের গুলি কইরা মাইরা ফেলা অপরাধ হইছে। সেইক্ষেত্রে আমি আমার প্রশ্ন উইথড্র কইরা নিবো। সবার সাথে তর্ক করা ছাগলামী, মার্ক টোয়েন সাহেব বইলা গেছেন।
পরিশেষে কইতে চাই ডিয়ার পিনাকী, পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই কোনো না কোনো ফর্মে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গের দিক থিকা সংখ্যালঘু নির্যাতন চালু আছে। কিন্তু আধুনিক প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হইতেছে সেই সংখ্যালঘু নির্যাতনরে কোনোক্রমে বাড়তে না দেওয়া এবং এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গইড়া তোলা। আপনি বলছেন, “কোন পরিস্থিতিকে পরিকল্পিতভাবে তাতিয়ে উঠতে দিয়ে সেটাকে সহিংসতার দিকে উদ্দেশ্যমুলকভাবে ধাবিত করে তার দায় ও কালিমা মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দিয়ে কারো হীন রাজনৈতিক কৌশল যাতে কেউ বাস্তবায়ন করতে না পারে সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক ভাবে সজাগ থাকতে হবে।” এইক্ষেত্রে আমি আপনার একপাক্ষিক বক্তব্যরে আংশিক পরিবর্তন কইরা কইতে চাই, “কোনো পরিস্থিতিরে পরিকল্পিতভাবে তাতাইয়া উঠতে দিয়া সেইটারে সহিংসতার দিকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ধাবিত কইরা তার দায় ও কালিমা কোনো এক বিশেষ সম্প্রদায়ের উপর চাপাইয়ে দিয়া কারো হীন রাজনৈতিক কৌশল যাতে কেউ বাস্তবায়ন না করতে পারেন, সেই বিষয়ে সার্বক্ষণিকভাবে সজাগ থাকতে হবে।” একইসাথে কারও যদি সত্যি সত্যি ঘটনার দায় থাকে, তাও তা সম্পূর্ণভাবে স্বীকার করতে হবে। এবং এই কারণেই আপনার বিষয়ে বাংলাদেশের সার্বক্ষণিকভাবে সজাগ থাকা জরুরী।
খেয়াল রাখা জরুরী, রংপুরের ঘটনায় প্রশাসনের দায় থাকলেও মসজিদ থিকা ডাইকা আনা উত্তেজিত তৌহিদি জনতার অংশগ্রহণ কম ছিলো না। সেইটা আপনি, মহান পিনাকী ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্রাহ্য কইরা গেছেন। আপনি সরবভাবে আওয়ামিলিগ বিরোধী হইলেও হেফাজতের প্রতি আপনার প্রেম আপনার বর্তমান স্ট্যাটাসেই প্রমাণ দেয়। আপনি প্রমাণ করার চেষ্টায় আছেন, বাংলার মাটিতে হেফাজতই সবচাইতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও সাম্যের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি কইরা থাকে। আপনি বলার চেষ্টায় আছেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা না, বরং মুসলিমরাই মজলুম। এবং জালিম ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থিকা বাংলাদেশরে একমাত্র হেফাজতই রক্ষা করতে পারবে। তা বলেন, সমস্যা নাই। আপনি কারে সাপোর্ট করবেন, সেইটা হিসাব করা আপনার রাজনৈতিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কিন্তু হেফাজতরে সাপোর্ট করতে গিয়া নিজেরে খুব সাম্যবাদী ও মানবতার ধ্বজাধারী প্রমাণ করতে চাওয়াও ভণ্ডামীর মধ্যে পড়ে। কারণ হেফাজত রংপুরের ঘটনায় নিজেদের অফিশিয়াল বিবৃতিতে যাই লিখুক না ক্যানো, উনারা তো উনাদের ১৩ দফা এখনো উইথড্র কইরা নেন নাই।
তাই ডিয়ার পিনাকী, সংখ্যালঘুর উপর অত্যাচাররে অত্যাচার হিসাবে না দেখাইয়া বরং তা গায়েবী শক্তির রাজনীতির খেলা বইলা সংখ্যাগুরু মুসলিমরেই অত্যাচারিত হিসাবে দেখাইয়া উনাদের বাঁচাইয়া রাখার যেই রাজনীতি শুরু করছেন, তা ভয়ংকরভাবেই সাম্প্রদায়িক। আপনি সরাসরি হিন্দুদের মাইরা ফেলবেন বা মাইরা ফেলা উচিত তা বলেন নাই নিশ্চয়ই, কিন্তু আপনার প্রাণপ্রিয় হেফাজত ক্ষমতা পাইলে এবং উনাদের ১৩ দফার মাত্র কয়েক দফা বাস্তবায়ন হইলে বাংলাদেশে কাদিয়ানি সহ কত শতাংশ সংখ্যালঘু মানুষ বাঁইচা থাকতে পারবেন তা একটু হিসাব কইরা বলবেন প্লিজ?
আর এই কারণেই আপনার নামে লোকমুখে শুইনা থাকা ‘পিনাকী আসলে মুসলিম’ ‘গুজবে’ আপনি এমন উত্তেজিত হইয়া পইড়া আমারে ইনবক্স মেসেজ করতে থাকেন কি? এক কাজ করেন ডিয়ার, আপনি আপনার বিয়ার সময়ের একটা ছবি পাবলিক কইরা দেন প্লিজ। এবং সেই সময়ে আপনাদের ম্যারেজ সার্টিফিকেটটাও রেজিস্ট্রেশান নাম্বারসহ আপ করেন। যদিও বাংলাদেশে সবকিছুই জাল হয়, তবুও আপনার মতো মহান আদর্শবাদী সত্যবাদী ন্যায়পরায়ণ মানুষের কাছ থিকা এতটুকু সততা আশা করা আমার ভুল হবে না নিশ্চয়ই? কী বলেন?
সত্য (তা যত আপেক্ষিকই হোক না ক্যানো) প্রকাশ পাক। হিহি।
বিনীত
নাদিয়া ‘গোপন কথাটি রবে না গোপন’ ইসলাম।