ফড়িং ক্যামেলিয়া

সাংবাদিক

নারী কেন শয়তানের স্বরূপ?

নারীদের বলা হয় শয়তানের রূপ। নারীর সংস্পর্শে আসা মানে শয়তানের সংস্পর্শে আসা। আমাদের সমাজে এই কথাগুলো খুবই প্রচলিত। প্রশ্ন হলো, নারী পুরুষের শারীরিক গঠন ছাড়া আর কোনো পার্থক্য নেই তবুও কেনো নারী কে অশুভ, অপয়া এই সব ভ্রান্তির সাথে তুলনা করা হয়? এই ধারনা কোথা থেকে এলো? কেনোই বা নারীকে ডাইনি, ডাকিনী, পিশাচিনীসহ নানা অশুভ শক্তির সাথে তুলনা করা হয়? এর উত্তর লুকিয়ে আছে ধর্মীয় মিথগুলোতে।

প্রতিটা ধর্ম গ্রন্থেই পৃথিবীর প্রথম নারী পুরুষের কথা উল্লেখ আছে, নাম এবং স্থানের ভিন্নতা থাকলেও কাহিনী প্রায় একই। ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বিশ্বাস অনুসারে আদম হাওয়া ছিলেন প্রথম সৃষ্ট মানব মানবী। পৃথিবীর এই পথ চলায় নারী পুরুষের ভূমিকা যে সমান সমান একথা বলার অপেক্ষা রাখে না কিন্তু নারীকেই যুগে যুগে অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেছে সমাজ এবং ধর্মগ্রন্থগুলো।

ইহুদী ধর্মের মূল ধর্মগ্রন্থ হিসেবে ওল্ড টেস্টামেন্ট-এর প্রথম পাঁচটি বই এর একটি জেনেসিস২ থেকে জানা যায়, ঈশ্বর আদম কে সৃষ্টি করার সাথে সাথে একজন নারীও সৃষ্টি করেছিলো। না, সে ইভ নয়, তার নাম ছিল লিলিথ এবং আদমের মতো একই উপাদান দিয়ে লিলিথকেও তৈরি করা হয়েছিলো। লিলিথ ছিলো আদমের সমকক্ষ এবং তাকে আদমের মতো সকল ক্ষমতা দিয়ে আদমের স্ত্রী হিসেবেই ঈশ্বর তৈরি করেছিলেন। কিন্তু লিলিথ আদম কে তার স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেনি। যেহেতু লিলিথ ও আদম একই উপাদান থেকে সৃষ্টি তাই লিলিথ সম-অধিকার চেয়েছিলো। সঙ্গমের সময় লিলিথ কিছুতেই নিচে থাকতে চায়নি। আদম বলেছিলো, সে-ই শ্রেষ্ঠ তাই সে উপরে থাকবে। আর এতেই দ্বন্দ্বের সূচনা হয়। এর পর স্বর্গ ত্যাগ করে লিলিথ। আদম তখন ঈশ্বর কে অভিযোগ করে যে তার জন্য এমন নারী সৃষ্টি করা হোক যে তার শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নেবে আর লিলিথকে অভিশপ্ত করা হোক। স্রষ্টা তখন লিলিথকে স্বর্গে ফিরে যাবার হুকুম দেয় কিন্তু স্বাভাবিক ভাবেই লিলিথ এর আত্মসম্মান বোধে আঘাত লাগায় সে স্বর্গে ফিরতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন ঈশ্বর তাকে অভিশাপ দেয় যে, লিলিথ রোজ শত শয়তান সন্তান জন্ম দেবে এবং এরা মারা যাবে। সেই সাথে ঈশ্বর লিলিথকে প্রচণ্ড ক্ষমতাও দেয়, যে তার সৌন্দর্য দিয়ে সে পুরুষকে বস করতে পারবে সেই সাথে ঐ সব পুরুষের সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়ে শয়তান জন্ম দেবে। লিলিথ তার স্বীয় মর্যাদা রক্ষায় এই অভিশাপ মেনে নেয় তবুও সে পুরুষের কাছে মাথা নত করেনি।

এই দিকে আদমের দরকার ছিলো তার অধীনস্থ অনুগত এবং একান্ত বাধ্য নারী তাই ঈশ্বর আদমের হাড় দিয়েই তৈরি করলো ইভকে এবং ইভ আদমের আনুগত্য মেনে নিলো। অথচ লিলিথ ছিলো স্বাধীনতার প্রতীক, সে তার ইচ্ছের মালিক ছিলো, তার উপরে কোনো পুরুষ কে চাপিয়ে দেয়া সম্ভব নয় বরং সে-ই তার জন্য যোগ্য পুরুষ নির্ধারণ করবে। লিলিথ ছিলো প্রথম সাহসী নারী যে পুরুষের দাসত্ব কে অস্বীকার করেছিলো। সে ছিলো তার যৌনতায় স্বাধীন। তার ইচ্ছে তার চাওয়া ছিলো মৌলিক। কিন্তু পুরুষ আদমের প্ররোচনায় তাকে অভিশপ্ত হতে হয়েছিলো।

গ্রীক মিথলজী অনুযায়ী লিলিত ছিলো প্রচণ্ড সুন্দরী, তার পাখা ছিলো , আদমের থেকেও তার রূপ ছিলো বেশি। সে কেন-ই বা পুরুষের বশ্যতা মেনে নেবে! তাই সে বিদ্রোহ করেছিলো এবং হয়েছিলো অভিশপ্ত। এভাবেই নারী কে শুধু পুরুষের দাসত্ব অস্বীকার করায় অশুভ শক্তির প্রতীক করা হয়েছে। ইহুদীর পর খ্রিস্টান ধর্মেও একই ভাবে আত্মসম্মান বোধ সম্পন্ন, সম অধিকার চাওয়া নারীদের কে অশুভ, শয়তান, হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। তখন থেকেই পুরুষের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য নারী কে বসে রাখতে ডাইনি, পিশাচিনী, অশুভ অলক্ষী এমন ধরনার প্রচলন করেছে পুরুষ।

আজ থেকে বিশ হাজার বছর আগে নারী ছিলো দেবতা তথা ঈশ্বরের রূপ। তারা মানুষকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ-শোক থেকে রক্ষা করতো। রাজা রাজ্য রাজদরবার পরিচালিত হত তাদের দিক নির্দেশনায়। এমন কি বাচ্চা জন্মাতো তাদেরই হাতে। বিভিন্ন নামে পরিচিত এই দেবীরা, এদের মধ্যে একজন খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে মেসোপটেমিয়ায় ছিলো, তার নাম ছিলো ইনানা। মিশরে এই দেবীকে বলা হয় আইসেস। এই দেবীদের উপরে মানুষ নির্ভর করতো। সেই সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে কুর্দি পিস্টেসিস নারীরা আধ্যাত্মিক সাধনা করতো। তারা ছিলো চিকিৎসা বিজ্ঞানে দক্ষ, আবহাওয়া সম্পর্কে তাদের গাণিতিক জ্ঞান ছিলো নির্ভুল তারা জানতো কিভাবে ফসল ফলাতে হয়। তাই তাদের কে জ্ঞানী হিসেবে সম্মান করা হতো। কিন্তু এই নারীদের কে পদদলিত করার ষড়যন্ত্র করা শুরু করলো পুরুষ রাজারা। তারা প্রচার করতে শুরু করে যে নারীদের দোষেই আজ মানুষ স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এদের অভিশপ্ত প্রচার করে হত্যা এবং দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়।

বাইবেলে উল্লেখ আছে হিব্রু কিং যে তার রাজ্য থেকে উইচদের বিতাড়িত করেছিলো সেই রাজাই তার শত্রুকে যুদ্ধে পরাজিত করার জন্য এক ডাইনির সহায়তা নিয়েছিলো। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, এই রাজা জানতেন সে যুদ্ধে পরাজিত হবে এবং তাকে এক মাত্র জয়ী করতে পারে এই জ্ঞানী নারী। তাই সে তার প্রয়োজনে এই নারীরই দ্বারস্থ হয়েছিলো।

১৪০০ সালে সমস্ত ইউরোপে একটা রহস্যময় প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই রোগের নাম ছিলো ব্ল্যাক ডেথ। ইউরোপে প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছিলো। সমস্ত ইউরোপে তখন ভীতি ছড়িয়ে পরে আর সেই সময় ধর্ম যাজকরা প্রচার করে এটা শয়তান করছে। আর শয়তানের সেবক সন্দেহ করা হয় অনেক নারীকেই।

১৬০০ সালের দিকে প্রচার করা হয় ডাইনিরা একটা ঝারুর উপড়ে করে আকাশে উড়ে বেড়ায় এবং সাধারণ মানুষ সেটা বিশ্বাস করতো যে ডাইনিরা উড়তে পারে। জার্মান ফিজিশিয়ান ইউহান বেয়ার্স এই অদ্ভুত ধরনার কারণ ব্যাখ্যা করেছিলো। সেই সময় দাতুরা নামের একটা ড্রাগের খুব প্রচলন ছিলো। এটা নিলে হ্যালুসিনেশন হতো। এই ড্রাগের প্রভাবেই এমন ধরনা জন্মেছিলো। এখানে খুব ইটারেস্টিং একটা বিষয় হলো যাদের কে ডাইনি বলা হতো, এরা অনেকেই ছিলো সিঙ্গেল মাদার। মানে যখন কোনো অবিবাহিত নারী প্রেগন্যান্ট হতো সমাজ তাকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে হয় সমাজচ্যুত করতো অথবা মেরে ফেলতো। তার অনাগত সন্তানের পিতা বলা হতো শয়তানকে। আর সেই সন্তান জন্মাবার সাথে সাথে মেরে ফেলা হতো। এই নারীদের উপরে অমানবিক অত্যাচার চালানো হতো। অত্যাচারের সময় একটা নিয়ম ছিলো, ঐ নারীর চোখের দিকে তাকানো যাবে না। ধর্ম যাজকরা বলতো ডাইনীর শক্তি থাকে তার চোখে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা নিরপরাধ মেয়ের চোখে যে যন্ত্রণা ফুটে উঠতো সেটা দেখলে মায়া জেগে উঠতে পারে তাই ধর্ম যাজকরা ইচ্ছা করেই এই নিয়ম করেছিলো। অনেক সময় এই নারীরা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে অপরাধ না করেও এর দায় স্বীকার করতো, প্রাণ ভিক্ষা চাইতো। এতে করে ধর্ম যাজকরা এই নারীদের ডাইনী প্রমাণ করে সাধারণ মানুষের মাঝে ভয় ঢুকিয়ে দিতো। তাই এই নারীদের হত্যা করলেও সমাজে এর কোনো প্রতিবাদ হতো না।

১৪৮০ থেকে ১৭৫০ সাথে ইউরোপের ধর্ম যাজকরা ডাইনি অপবাদ দিয়ে লক্ষ লক্ষ নারী হত্যা করেছিলো। ১৬০০ শতকে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যা হয়েছিলো জার্মানির উর্জবার্গে। সেখানকার মেজিস্ট্রেট এর হুকুমে সমস্ত নারীদের ডাইনী আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো। তারা ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে এই হত্যাযজ্ঞকে সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো।

ইউহানাস ভিয়ার ছিলেন একজন ডাচ ফিজিশিয়ান। তিনিই সর্ব প্রথম ডাইনি হত্যার আইনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে ডাইনি অপবাদ দিয়ে যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা আসলে ভিন্ন চিন্তার নারী আর কেউ কেউ মানসিক ভাবে অসুস্থ। ১৫৬৩ তে তিনি একটি জার্নাল প্রকাশ করেন যেখানে প্রসিকিউশনের বিরোধিতা করে বক্তব্য তুলে ধরেন এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ অনৈতিক। এর পর সামাজিক ভাবে এই হত্যাকাণ্ড বন্ধের আলোড়ন ওঠে যদিও প্রকাশ্যে এই হত্যা বন্ধ হতে ইউরোপের আরও দু’শ বছর লেগেছে।

এখনো যে ডাইনী অপবাদ দিয়ে নারী হত্যা হয় না বিষয়টা তা নয়। ওয়াশিংটন পোষ্টে পূজা সিঙ্ঘাল এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ২০০০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ভারতে সরকারি হিসেবে দুহাজার একশত নারীকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাদের কে সমাজ থেকে ছুঁড়ে ফেলা, তাদের সম্পদ দখল করা, তাদের প্রতিবাদের কণ্ঠ কে চুপ করিয়ে দেয়াসহ নারীদের পুরুষের অধীনস্থ করার জন্যই অশুভ-শক্তি, শয়তান, হিসেবে উপস্থাপন করে মেরে ফেলা হয়েছে। অনেক সময় সামাজিক রীতিনীতির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অপরাধেও ডাইনি আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটা আসলে নারীদের উপরে কর্তৃত্ব করার জন্য পুরুষের চাল ছাড়া আর কিছুই না।

এই ডাইনীর ধরনাটাই সম্পূর্ণ ধর্মের সৃষ্ট। স্রষ্টা কে টিকিয়ে রাখতে হলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কাউকে দরকার। আর যেহেতু ধর্মগুলো পুরুষ সহায়ক সেহেতু নারীরকেই ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী বানিয়েছে ধর্মগুলো। এতে দুটো লাভ, প্রথমত পুরুষের অবাধ্য নারীদের কে শায়েস্তা করা দ্বিতীয়ত ঈশ্বরের ক্ষমতা কে প্রতিষ্ঠিত করা।

বাইবেলে বলা আছে , নারীর মধ্য দিয়ে পৃথিবীতে পাপ এসেছে… তাই এর শাস্তি নারীকে পেতেই হবে… তাদেরকে প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে… তারা যেন হয় অবলা, অনুগত…” আরও বলা আছে , নারী হচ্ছে ফাঁদ, তার হৃদয়ও ফাঁদ, এবং তার হাত হচ্ছে শিকল। যে পুরুষ তার গডকে সন্তুষ্ট করে সে নারীকে এড়িয়ে চলবে, কিন্তু নারী চেষ্টা করবে পুরুষকে ফাঁদে ফেলতে। ( Ecclesiastics 7:26-28) এবং ডাইনী সম্পর্কে বলা আছে । ডাইনীকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে।((Exodus 22:18-20)

হিন্দু ধর্মেও সেই একই বিষয় এসেছে, বেদ গ্রন্থে নারীর সংস্পর্শে আসা কে মহাপাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । এমন কি নারীর ব্যবহার করা জিনিসপত্র, অলঙ্কার পোশাক থেকেও দুরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (মনুসংহিতা ৮.৩৫৭)

উপযুক্ত কারণ ব্যতীত পরস্ত্রীকে উপহার দেয়া, তার আশেপাশে ঘুরাঘুরি করা, তার বস্ত্র বা অলংকার স্পর্শ পর্যন্ত করার চেষ্টা করলে সে ব্যক্তিকে ব্যভিচারের দায়ে শাস্তি দেয়া কর্তব্য।

আর ইসলাম ধর্মে নারীর শরীরের গন্ধও ভয়ানক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বহুল পরিচিত একটা হদিস হলো। রাসুল (সাঃ) বলেছেন- আতর বা সুগন্ধি মেখে কোনো মহিলা যদি পুরুষদের মাঝে চলাফেরা করে তাহলে সে একজন জিনাকারি মহিলা হিসাবে গণ্য হবে” (আহমাদ ৪/৪১৮, ছহীহুল জামে হাদীছ ১০৫)। এমন কি ইসলামে স্পষ্ট বলা আছে নারীরা কিছু নির্দিষ্ট সম্পর্কের পুরুষ ছাড়া আর কাউকে মুখ দেখাতে পারবে না। সহজ কথা বোরখা ছাড়া দেখা করতে পারবে না। নারী এতটাই অশুভ যে, কবরস্থানে প্রবেশ করতে পারবে না, ঋতুস্রাবের সময় নামাজ কিংবা কোরআন স্পর্শ করতে পারবে না। এমন কি নারী পুরুষের এক সাথে লেখা পড়ার বিষয়েও বিধি নিষেধ রয়েছে।

মেধায়, বুদ্ধিতে, মননে নারী যতোই এগিয়ে যাক না কেনো পুরুষের হাড় দিয়ে নারী তৈরি হওয়ার কাহিনী উল্লেখ করে তাকে মনে করিয়ে দেয়া হয় তুমি অর্ধাঙ্গী। আর যখনই কোনো নারী বিদ্রোহ করে তখনই তাকে অশুভ, অপয়া, ব্যভিচারিনী, নষ্টা, ভ্রষ্টা অপবাদ দিয়ে হয় মেরে ফেলা হয়েছে অথবা তার প্রতিবাদের কণ্ঠ রোধ করে তাকে দাসীতে পরিণত করা হয়েছে।

5294 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।