কর্পোরেট দুনিয়ায় নারী দিবসকে ঘিরে নেওয়া হবে ব্যাপক জোর সোর প্রস্তুতি! ইনিয়ে বিনিয়ে নারীর মাহাত্ম্য বলা হবে সেই একদিনে। তারপর দেখা যাবে সেই কর্পোরেট বেনিয়ারা রাতে বাড়ি ফিরে বউ পেটায় বা বউকে গালাগাল করে! হা হা, এসব রসাত্মক গল্প অনেক আগের। দুনিয়ার মস্ত সুবিধা ভোগ করা এক রুবানা হক যে এখনো স্বামীর নামই লাগিয়ে আছে (হক) সে যদি বলে নারী দিবস নয় মানুষ দিবস হোক, আমার তাতেও হাসি আসে। আমার জন্য দরকার নারী দিবস, আমার সহকর্মীদের জন্যও দরকার এই নারী দিবস। সংখ্যালঘু অল্প সুবিধাভোগীদের জন্য তো একটা আলাদা দিবস থাকবেই। আজও নারীকে পেটের ভ্রূণ থাকা অবস্থাতেই মেরে ফেলা হয়। চুল, নখ উপড়ে উলঙ্গ হয়ে পড়ে থাকতে হয় বনে বাদাড়ে। সামনে পিছনে গার্ড নিয়ে ঘোরা নারীরা আমার আপনার মতন প্রান্তিক নারীদের কথা বলবে না এটাই স্বাভাবিক। যেখানে নারী বলতে যোনী আর স্তন, সেখানে মানুষ হওয়া আর হয় কই? নারী মুক্তি নারীমুক্তি করে চিল্লানো লোকেরা কি একবারো ভাবে এই বদ্ধমূল সমাজ সংসার থেকে একটা নারীকে কতোটা অপমান জ্বালা সহ্য করে তবেই সাবলম্বী হতে হয়! পরে কী বলবে, তার থেকে ঘরে যে শিকল পরানো হয় তা ভাঙ্গতেই এক জীবন পার হয়ে যায়।
রাস্তায় কনুই কাকুর গুঁতো, ঘরে স্বামীর চোখ রাঙ্গানি, মারধোর, এবিউজ ঢেকেও অনেক মেয়েকে সেই অফিসের দোরে পৌঁছাতে হয়। তবুও বসকে এক্সট্রা খাতির করতে হবে! যদিও মিলে যায় উঁচু কোনো পদ তবুও লোকে বলবে, হু হু জানা আছে কী করে ওই চেয়ারে বসেছে। চেহারার বিচারে, গলার নমনীয়তায় তুমি ভালো মেয়ে। প্রতিবাদ করেছো তো, "মাইয়া মাইনষ্যের এত ত্যাজ ক্যান"। স্বামীকে বিছানায় সুখ দাও, বাচ্চা পালো তবেই তুমি ভালো বউ।
কোন ন্যাকাচোদা মেয়ে হওয়ার দরকার নেই, মেয়ে হও আগুনের ফুলকি। পায়ের নিচের মাটিটাকে শক্ত করে সবকিছুকে তুচ্ছ জ্ঞান করো। লোকের ভাত কাপড় কেনো তুমিই বরং দশের ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নাও! মনে মগজে স্বাধীন হয়ে ফড়ফড় করে ওড়ো আকাশময়! মুচকি হেসে শিষ দিয়ে বলো, ওহ মাইরি আমি কী সেক্সি!