নারীরা আজন্ম ভালোবাসে নদীর ছবি, তা বলে নদীও কি তাদের
গান গাওয়া সন্ধ্যায় বারবার তালকাটা সুরে জেনে যায়
নদীও নারী নয়, নারীও নদীর কাছে পাবে না কিছু
হাজার বছর বনবাসের পর বাংলার সব নদী যেদিন ঘরে ফিরে এলো
নারীরা সেদিন কেনো শাঁখ বাজালো না? প্রশ্ন জাগে তারায় তারায়
ওই দেখ অভিষেক ছাড়া একান্ত অভিমানে নদী ভেসে যায়
বহুবার নারীও যেভাবে গিয়েছে ফিরে অভিমান ডুবুডুবু চোখে
নাম না জানা এক কৃষকের চোখ থেকে গড়াচ্ছে দৃশ্যঘোরের বেদনা
সেও জেনেছে, এভাবে চিরকাল বয়ে যেতে পারে না, দেখছে সে-
নতুন এক পৃথিবীর অপেক্ষায় বৃক্ষমায়ায় দাঁড়িয়েছে নারী
প্রকৃতির অভিলাস সংসারের দরজা খুলে চেয়ে দেখে-
লাবণ্যবতীরা আশ্চর্য বিভা ছড়ায় অন্য আলো আয়োজনে
আকাশের মায়া ক্রমে ঝুঁকে আসছে তাদেরই দিকে অথচ
মেলার মাঝখানে বিক্রি হচ্ছে নারীকে কেন্দ্র করে অসংখ্য গল্পগাছা
বিক্রি হচ্ছে রক্ত-আলতা, আগুনের চুল, সংসারের আদিম মুখোশ
কঠিন ধমক, চুলোর জ্বলন্ত কাঠ আর সাজানো অগ্নি-পরীক্ষা
বাতাসের চার হাত, বর্ষার ভরা জোয়ার, অতৃপ্ত নিঃশ্বাস
কিছুই পারছে না তবু ফেরাতে তাকে, খসে যাচ্ছে নক্ষত্রের রূপ
মেঘলা জীবন থেকে ঝরে পড়ছে ঈশপের গল্পগুলো
নদীকে বিদায় দিয়ে, নদীর মতো নারী গান গায় চলে যেতে যেতে
কে তারে রুখতে পারে সিন্ধুর বান আজ তার দুইপায়ে।