দোকানে একজোড়া ছোট্ট লাল জুতা দেখে
লোভে পড়ে বাচ্চা নিও না
একটা সুন্দর নাম পছন্দ হইছে বইলা
বাচ্চা নিও না
দুইজনের কথা ফুরাইয়া গেছে বলে
বাচ্চা নিও না
সম্পত্তি কে খাবে!
খাওয়ার মুখের লাইগা
বাচ্চা নিও না
আধুরা পরিবার ধুরা করার লাইগা
বাচ্চা নিও না
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার পোলিটিশিয়ানের বাপমা
বনার লাইগা বাচ্চা নিও না
সময় না কাটার অজুহাতে
বাচ্চা নিও না
বউ বা বরের উড়নচণ্ডীপনা ঠিক করার
লাইগা বাচ্চা নিও না
লোকে কী কইবে
সেই ভয়ে বাচ্চা নিবা?
নিও না।
বাচ্চাতো বাচ্চা না মানুষ!
কী খাইতে দিবা তারে,
ভেজাল খাবার?
তার নিঃশ্বাসের লাইগা বাতাস আছে তোমার?
তুমি সুন্দরবন কাইটা তার লাইগা এসি কিনবা?
তোমার শহরে গাছ আছে?
খেলার জায়গা?
নিরাপত্তা?
এতো গেল ঘরের বাইরের হিসাব!
ঘরের মধ্যে তারে তুমি কি দিবা?
টাকা পয়সা ক্যারিয়ারের লাইগা দৌড়ানো বাপ মা?
ঝগড়া ঝাটি?
স্মার্ট ফোনে আটকানো চোখ?
ফেসবুকের প্রেমে ডুবানো বাপ মা?
দশবার ডেকে তোমার সাড়া মিলবে না
তোমার ফেসবুকে তখন ভীষণ প্যাঁচ!
তবুও তুমি অস্থির হয়ে বলবা
উফফ পোলাপানের জ্বালায় কোনো শান্তি নাই!
তাদের লাইগা পয়সা কামাইতে গিয়া তোমার কবিতা হইলো না
বিপ্লবতো হইলোই না!
ভ্রাতা ও ভগ্নিগণ গো,
তোমরা আদম হাওয়া না
তোমাদের পয়দা দেওয়া বাচ্চায় দুনিয়ার গোড়া পত্তনের
ব্যাপার নাই।
হেগোরে আইনা দোজখে ফালাইও না
যারা অলরেডি আছে,
দেখোনা হেগো লাইগা কি করা যায়!
বাচ্চা নিও না
তোমরা আর বাচ্চা নিও না।