আমাদের দু'টি মারমা বোনের খবর কি কেউ জানেন, ওরা এখন কেমন আছে! জানা থাকলে একটু কমেন্ট বক্সে জানায়েন। ওদেরকে কি বিঝুতে/সাংগ্রাইতে ঘুরতে দেওয়া হয়েছে, নাকি এখনও সেই পাহাড়ি দালাল অভিলাষ তঞ্চখ্যার বাসাই পুলিশের পাহারায় রাখা হয়েছে।?
বাংলাদেশ রাষ্ট্রটাই একটি অদ্ভুত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই ধর্ষণ ভূমিতে ভিক্টিমরা দোষী আর দোষীরা বুক ফুলিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়ায় দাপটে আমাদের চারিপাশ দিয়ে। আমি নিশ্চিত যে, বদমাইশ ধর্ষক সেনাবাহিনীরা মহাখুশিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতেছে তাঁদের পরিবার স্বজনদের নিয়ে, কিন্তু তাঁদের কারণে যে একটি পরিবার থেকে সুখ,হাসি, আনন্দ- উৎসবগুলো উঠে গেছে তা কি কখনো নিজের বিবেকের কাছে প্রশ্ন করবে এই নরখাদক সেনাবাহিনীরা।
বাংলাদেশের সেনাবাহিনীদের নাম শুনলে এখন থুঃ থুঃ ফেলতে ইচ্ছা হয়। এই ঘটনায় শুধু ধর্ষক সেনাবাহিনীরা দায়ী নয়, পুরো সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠানটাই দায়ী। বাংলাদেশের সকল সেনাবাহিনীরাই ধর্ষক, শুধু ধর্ষণকারীকে ধর্ষক বলা হয় না। ধর্ষকের পক্ষ যে নেয় সেও ধর্ষক। তাই গোটা সেনাবাহিনীরাই ধর্ষক এখানে। এরা তনুকে ধর্ষণ ও হত্যা করেছে, মারমা দুটি বোনকে ধর্ষণ ও যৌনহেনস্থা করেছে, অতীতে অনেক পাহাড়ি মা-বোনদের ধর্ষন করেছে এই বদমাইশরা। এরা ভবিষ্যতেও করবে ধর্ষণ।
গত ১২ই এপ্রিল রাতে, অর্থাৎ গত পরশু রাতে বান্দরবান জেলায় আলীকদম উপজেলায় কুরুকপাতা ইউনিয়নের বালুঝিড়ি পাড়া গ্রামের আদিবাসী জুম্ম এক ত্রিপুরা কিশোরী (১৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চার সেটেলার বাঙালি কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে। ধর্ষণকারীরা হলেন - (১) সোহেল (১৯), (২) আসাব উদ্দিন (২০), (৩) আব্দুস শুক্কুর, আরেকজনের পরিচয় এখনও জানা যায় নি। এই নরখাদকদের সেটেলার বললে লন্ডনে বসা সেনাবাহিনীর ভাড়াটে ধর্ষক 'নিঝুম মজুমদার' কষ্ট পায়। ধর্ষক নিঝুম মজুমদারকে বলে দিতে চাই, লন্ডনে বসে না থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটানা কয়েকমাস থেকে যেতে। তারপর বুঝতে পারবেন এই অঞ্চলে সেনাবাহিনী, প্রশাসনের লোকেরা আর সেটেলার বাঙালিরা কী পরিমাণ নরখাদক! যুগ যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিতে বসবাস করে আসছে আদিবাসীরা, কেউ কারোর ক্ষতি করে না, কারোর ভূমি সম্পত্তির ওপর লোভ লালসা নেই, কিন্তু এই নরখাদকরা যখনি পা দিতে শুরু করলো পার্বত্য চট্টগ্রামে তখনি পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে উঠলো অশান্তিতে ভরা এক পার্বত্য চট্টগ্রাম।
ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেয় নি বান্দরবান প্রশাসন ও পুলিশ কারণ হিসেবে দেখিয়েছে বাংলার নববর্ষের দিনে মানব বন্ধন, প্রতিবাদ-সমাবেশ করা যাবে না। একটা রাষ্ট্র আর কতো অধঃপতনে নামতে পারে।
শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম না, গোটা বাংলাদেশটা ধর্ষণের উর্বর ভূমি হয়ে উঠেছে। বছরের পর বছর ধর্ষণের চাষ হচ্ছে। সকল পেশাজীবিরা এক একটা ধর্ষক। শ্রমিক, স্কুলের ছাত্র, কলেজের ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আওয়ামী লীগ কর্মী, বিএনপি কর্মী, ছাত্রলীগ, শিক্ষক,অভিনেতা , সাংবাদিক, সেনাবাহিনী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, খেলোয়াড়, ধর্মগুরু, ডাক্তার, পিতা, চাচা, দাদা, নানা, মামা, ফুফা, ভাই এমনকি রাষ্ট্র পরিচালনাকারীরাও এক একটা ধর্ষক।
আমার দুঃখ এই অসভ্য দেশটাতে আমার জন্ম হয়েছে।