আলহাজ্ব মুফতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

অনলাইন একটিভিস্ট।

আল কোরআন : দ্যা সাইন্স অব অল ফিলিংস

আল কোরআনকে বিজ্ঞানের বই বলাটা যুক্তিযুক্ত। আমার মতে আল কোরআনন হচ্ছে 'সাইন্স অব অল ফিলিংস' বা সকল অনুভূতি বিজ্ঞানের বই। অন্য কোনো বই পড়লে অনুভূতি এত প্রখর হয় না যেটা হয় কোরআন পড়লে।

আসুন প্রাকটিক্যালি দেখে নিই, কোরআনের দ্বারা অনুভূতি কিভাবে বৃদ্ধি পায় তার নমুনাঃ

১। কোরআন : দ্যা সাইন্স অব চোখানুভূতি।

কোরআন পড়ার পরে মুমিনের দৃষ্টি-অনুভূতি অত্যন্ত প্রখর হয়ে যায়, এজন্য তখন সাধারণ থ্রিপিছ পরা নারীকেও সে উলঙ্গ দেখে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন -কোরআনের বাক্যসমূহের মধ্যে এমন কিছু দৃষ্টিবর্ধক আয়াত আছে যেগুলো পড়লে ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি বেড়ে যায় বহুগুণ, শকুনের চেয়েও অনেক বেশি। পোশাক পরা থাকলেও নারীদেহের ভিতরের সবকিছু মুমিন তখন দেখতে পায়। তাই তো কোরআন-পাঠক মুমিন নারীর উলঙ্গামির নিন্দা করে।

বিজ্ঞানীরা আরো দেখেছেন -শরীরের কালো কার্বন পেপারই (বোরকা) কেবল মুমিনের শকুন দৃষ্টির 'আই রেসিস্ট্যান্ট' হিসেবে কাজ করে।

এজন্যই মুসলিম স্কলাররা নারীদেরকে কালো কার্বন পেপার (বোরকা) পরিধান করতে আদেশ করেন। বোরকা না পরলে কোরআন-পাঠকের চোখে আপনি উলঙ্গ, এটা ধ্রুবসত্য। বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত সত্য। আপনার শরীরের ভেতরের সবকিছু দেখতে পায় কোরআন-পাঠক। ঠিক যেমন কোরআন পাঠদানকারী হুজুররা তাদের কোমলমতি ছাত্রদেরকে দেখে ঠিক থাকতে পারেন না। কারণ, বোরকা না পরার কারণে ছাত্রের শরীরের সকল ভাঁজ হুজুর দেখতে পান!

২। কোরআন : দ্যা সাইন্স অব ভায়াগ্রানুভূতি। 

বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন -কোরআনের আয়াতের মধ্যে আদিযুগের ভায়াগ্রার উপাদান আছে, এজন্যই বোরকা ছাড়া তথা উলঙ্গ নারী দেখলেই কোরআন-পাঠকের লিঙ্গোত্থান হয়, যা টুথপেস্ট কিংবা লুব্রিক্যান্ট ছাড়া অবদমিত হয় না! 

কলকাতা হারবাল এবং মাদ্রাজ হারবালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ বলেছেন, তাদের রোগীদের শতকরা ৯০% হচ্ছে কোরআন-পাঠক।

বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন, যারা ইরেকশনের অসুখে ভোগেন তাদের জন্য কোরআন হতে পারে মহৌষধ!

তবে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছেন, কোরআন ইজাকুলেশনের ক্ষেত্রে সবসময় কুইক রেসপন্সার হিসেবে কাজ করে, যা যৌনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।

৩। কোরআন : দ্যা সাইন্স অব কোপানুভূতি।
কোরআনের কিছু আয়াতে চাপাতিনুভূতি বর্ধক মলম আছে, এবং এ মলম চোখে ও কলবে মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে। এ মলম হৃদয়ে মাখলে ব্যক্তি সারাক্ষণ 'তোকে কতল করতে হবে'..... জিকির করতে থাকে। আর বেহেশত নামক দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা হওয়ার লোভে সে চাপাতি নিয়ে নাস্তিক কোপায়। 
বলা হয়ে থাকে, কোরআন-পাঠক নাকি চোখের সামনে বাহাত্তর পিছ দৌলতদিয়া-বাসিনীকে দেখতে পায় কোরআনের উসিলায়!

কোরআনের রচয়িতাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলে এই কোপানুভূতি বেড়ে যায়, কোরআন-পাঠক তখন কোপাকুপি না করা পর্যন্ত শান্তি পায় না।

৪। কোরআন : দ্যা সাইন্স অব আইনানুভূতি।

কোরআন পাঠ করলে 'আল্লাহর আইন' নামক অনুভূতি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। এই অনুভূতিতে ব্যক্তির চোখের উপর একটি ইনভিজিবল পর্দা পড়ে যায়। ব্যক্তি কোথাও সুখ পায় না, শুধু কল্পিত আল্লার আইনেই সে সুখ পায়। 

ব্যক্তি চৌদ্দশো বছর পূর্বের আল্ট্রামডার্ণ, বিজ্ঞানসম্মত, মানবিক একটি দেশের কথা কল্পনা করতে থাকে! আর মৃত্যুর পরের একটি যৌনপল্লীর প্রধান হিসেবে নিজেকে ভাবতে থাকে। 
ব্যক্তি তখন পৃথিবীতে থেকেও পৃথিবীতে নেই, সে টাইম মেশিনে করে চলে যায় চৌদ্দশো বছর পূর্বে এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে!

৫। কোরআন : দ্যা সাইন্স অব 'আল্লার মাল' অনুভূতি।

কোরআন-পাঠক কোরানিক বিজ্ঞানের বদৌলতে বুঝতে পারে -আল্লার মাল আল্লায় খাওয়াইবো- যা অন্যরা বুঝতে পারে না। 

কোরআন পাঠকগণ এহুদী-নাসারার সব সূক্ষ্ম চাল ধরতে পারে, যা অন্য কেউ ধরতে পারে না। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আবিষ্কার করে এহুদী-নাসারার দল মুসলমানদের জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে চাইছে, এটা কেবল কোরানিক বিজ্ঞানীরাই বোঝে, অন্যরা বোঝেনা। 

"খোদার মাল ফলবে যত, খোদার রহম পাবে তত" -এটাও কেবল কোরানিক বিজ্ঞানীরাই জানে। খোদার মাল যখনি খোদার রাহে জিহাদ করে, তখন সে শহীদ হয়ে তাৎক্ষণিক দৌলতদিয়ার বাসিন্দা হয়ে যায়, এটাও কেবল কোরানিক সাইন্সের আবিষ্কার। এজন্যই কোরআন-পাঠকরা আল্লার মাল আল্লার রাস্তায় পাঠিয়ে দেন, যা অন্যরা করে না।

৬। কোরআন : দ্যা সাইন্স অব নাস্তিকানুভূতি।

একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে -কোরআন পড়ার পরেও যাদের দৃষ্টিশক্তি শকুনের মত বাড়ে না, খালি চোখে নারীর পোশাকের ভেতরের সবকিছু দেখতে পায় না, তারা নাস্তিক হয়ে যায়। নাস্তিকেরা খোদাপাকের দুশমন। তাদের দিলের উপর মোহর মারা হয়েছে। 
নাস্তিক হুজুররা নাকি কোরানিক ভায়াগ্রার প্রভাবমুক্ত, তাই তাদেরকে কলকাতা হারবালে যেতে হয় না। 
গবেষকগণ কাউকে নাস্তিক বানাতে চাইলে তাকে কোরআনের অর্থ বুঝে পড়তে উস্কানি দেন, যা নিশ্চিতভাবেই এহুদী-চক্রান্ত! 

4810 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।