আকাশ মালিক

ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্ট

এই দিনই শেষ দিন নয়

“২০১৭ সাল আমাদের জন্য একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বছরটি ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যময় বছর।” - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুভ নব বর্ষের এই প্রথম দিনে, সম্পূর্ণ নিভাঁজ, অবিমিশ্র, খাঁটি বিশুদ্ধ নির্জলা মিথ্যা কথা শুনার জন্যে প্রস্তুত ছিলাম না। হায়া শরম লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে বসলেই কারো পক্ষে এমন মিথ্যাচার সম্ভব। শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের সাফল্যতার শ্রেষ্ট দৃষ্টান্ত, চরম সাক্ষী তো আছেই। লম্পট শাফির সাথে সেই ছবিটি। নির্লজ্জতার বেহায়াপনার আর কী বা বাকি আছে? সমস্ত দেশটা জিম্মি হয়ে গেছে একদল ভন্ড প্রতারক মিথ্যাবাদী মন্ত্রী, পুলিশ শিক্ষক আমলাদের হাতে। আর এই ভন্ডামী ও প্রতারণার মূল হাতিয়ার হচ্ছে ধর্ম ইসলাম। লক্ষ্য উপলক্ষ্য ছাড়াই, অকারণে অপ্রয়োজনে ধর্মের অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে অবিরাম যত্রতত্র। বাচালতার কোনো সীমারেখা নেই যা মুখে আসে তাই তারা বলে দিতে পারে, আর বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত অবচেতন জনগনও তা হজম করে করে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। মন্ত্রী ঘোষণা দেন, ‘আল্লাহপাক মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য শেখ হাসিনাকে সৃষ্টি করেন’। হাসিনার পা চাটা সেবা দাস আরেক ধর্ম পাগল পুলিশ বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে আল্লাহ পাক রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন’। ওরে ভন্ড ওরে উন্মাদ, তোরা আল্লাহর মনের গোপন কথা জানলে কীভাবে? মানুষ কি এ সব জানতে প্রশ্ন করেছিল? অপ্রাসঙ্গীকভাবে অকারণে কথায় কথায় আল্লাহ মুহাম্মদ ইসলাম কেন? ক্ষমতা আর অর্থের মোহে, এ ভন্ডামীর যে শেষ আছে তা বেমালুম ভুলে গেছেন?

আচ্ছা, একটু খতিয়েই দেখি আওয়ামী লীগ শাসনামলে এ পর্যন্ত কী সঞ্চিত হলো এ দেশের দূর্ভাগা মানুষের অভিজ্ঞতার থলায়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি একটি প্রতিবেদন দেখা যাক।

“ বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ হাজার ২৩৫ নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মলেকাবানু স্বাক্ষরিত এক লিখিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মহিলা পরিষদ বলছে- নারী নির্যাতনের ঘটনা গত বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১ বছরে উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১ হাজার ২৫১টি। এরমধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২২৪ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৫৮ জনকে। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৮০ জনকে। গত এক বছরে শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে ৯৩ জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৬৪ জন নারী। এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৪০ জন। এরমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। অগ্নিদগ্ধ হয়েছে ৯১ জন নারী ও কন্যা। আর অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। গত বছর অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪৩টি। পাচার করা হয়েছে ৯৫ জন নারী ও শিশু, এরমধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয়েছে ৬০ জনকে। ৭১৩ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে, হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫৯ জনকে। যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৮৯ জন নারী এদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ২০৮ জনকে। গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৫ জন, এরমধ্যে হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে এবং নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে ৫ জন। প্রতিবেদন মতে গত বছর উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ২৬৪ জনকে, এরমধ্যে আত্মহত্যা করেছে ৩৪১ জন। অবৈধ ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৪৫ জন নারী ও কন্যা শিশু। প্রতিবেদনে দেখা যায়- গত বছর বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৪২৩ নারী ও কন্যা শিশু আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে এবং আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১৮ জন। ২৫৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবেদন মতে বাল্যবিয়ে সংক্রান্ত ঘটনা ঘটেছে মোট ৪৪৪টি। তারমধ্যে ১৯৭টি বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়েছে এবং প্রতিরোধ করা হয়েছে ২৪৭টি। প্রতিবেদনে দেখা যায় পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩২ জন নারী ও কন্যা শিশু । শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৩২৪ জন নারী ও কন্যা শিশুকে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের তিন বছরে দেশে মোট ১২ হাজার ২৭৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। গড়ে প্রতিদিন ১২টি। পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একই সময়ে ৬১ হাজার ২১৬টি নারী নির্যাতনের মামলা হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ৫৬টি। আর তিন বছরে দস্যুতা ও ডাকাতির ঘটনা রেকর্ড হয়েছে ৪ হাজার ৩৮৮টি এবং অপহরণের মামলা হয়েছে ২৪০৮টি।

সরকার ক্ষমতায় বসার প্রথম দিক থেকেই মুক্তমনা ব্লগার,পুরোহিত,প্রগতিশীল লেখক-প্রকাশকদের ওপর হামলা এবং হত্যার ঘটনা লক্ষ্য করে গেছে।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, তিন বছরে ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, এনকাউন্টারসহ বিভিন্ন নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ৫১৫ জন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ১৯৫ জন, ২০১৫ সালে ১৯২ জন ও ২০১৪ সালে ১২৮ জন নিহত হন। একই সময়ে গুম হন ১৯৫ জন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৯০ জন গুম হন। কারা হেফাজতে তিন বছরে মারা গেছেন ১৬৮ জন।

পুলিশ সদর দফতরের তথ্যানুসারে, তিন বছরে জঙ্গিরা গুলশান, শোলাকিয়াসহ মোট ৫৮টি হামলা করছে। এর মধ্যে জেএমবি ও নব্য জেএমবি করেছে সর্বাধিক ৪৫টি হামলা। আনসারুল্লাহ বাংলাটিম (এবিটি) করেছে ৮টি ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন চালিয়েছে ৫টি হামলা। এ ছাড়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র সোহাগী জাহান তনু হত্যা, সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজাকে হত্যার চেষ্টা, ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাজধানীর খিলক্ষেতে শিশু নাজিম হত্যা, ২০১৫ সালের ৮ জুলাই সিলেটে শিশু রাজনকে নির্যাতন করে হত্যা, এর কিছুদিন পর খুলনায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু রাকিব হত্যা সারা দেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করে।

২০১৪ সালে সরকার ক্ষমতায় আসার মাত্র দেড় মাসের মাথায় ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগে খুন হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ড.অভিজিৎ রায়। ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গুলশানে ইতালির নাগরিক সিজার তাভেল্লা খুন হন। এর কয়েকদিন পর ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কাচু আলুটারিতে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও। একই বছরের সেপ্টেম্বরে মগবাজারে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনা ঘটে। ৫ অক্টোবর বাড্ডায় নিজ বাসায় খুন হন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খিজির খান। ২০১৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে খুন হন পুরোহিত জগেশ্বরী দাসাধীকারী। ১৩ আগস্ট রাজধানীর বাড্ডায় যুবলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান গামাসহ ৪ জনকে হত্যা করা হয়। ৫ অক্টোবর পাবনার ঈশ্বরদীতে লুক সরকারকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। ২ নভেম্বর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন খুন হন। একই দিন হামলা চালানো হয় লেখক-প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল, তারেক রহিম ও রণদীপম বসুর ওপর। একই বছরের ১১ নভেম্বর দিনাজপুরে ইতালির নাগরিক ডা. পিয়েরো পারোলারিকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। উত্তরায় জাপানি নাগরিক হিরোয়ী মিয়েতা মৃত্যু হয় ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল কলাবাগানের বাসায় প্রবেশ করে হত্যা করা হয় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল অফিসার জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয়কে। সারা দেশে খুন,ধর্ষণ,ডাকাতির মতো অপরাধের সংখ্যা বেড়েছে। গত তিন মাসে (এপ্রিল-জুন ২০১৭) সারাদেশে খুন হয়েছে ৯৫০ জন আর ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ১১০৯টি। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে খুনের ঘটনা ঘটছে ১০টি আর ধর্ষণের ঘটনা ১২টি। এ তথ্য খোদ পুলিশ সদর দফতরের। প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত খুনের ঘটনা ছিল ৮১০টি। এপ্রিল-জুনের মেয়াদে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ, কক্সবাজার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, হবিগঞ্জ ও চট্টগ্রামে। অপরদিকে জানুয়ারি-মার্চে খুনের শীর্ষে ছিল ময়মনসিংহ, কক্সবাজার, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী ও ঢাকা জেলা। অপরদিকে ২০১৬ সালের এপ্রিল-জুন মেয়াদে খুনের ঘটনা ছিল ৯৭৮টি। অন্যদিকে, চলতি বছরের এপ্রিল-জুনে ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটেছে বরগুনা, টাঙ্গাইল, কুমিল্লা, গাজীপুর, হবিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহে। অপরদিকে জানুয়ারি-মার্চ মেয়াদে ধর্ষণ বেশি ঘটেছে ময়মনসিংহ, বরগুনা, সিরাজগঞ্জ, গাইবান্ধা, গাজীপুর, রংপুর ও নীলফামারীতে”।

সুত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, ৩ জানুয়ারি ২০১৮।

এটাই শেখ হাসিনার আওয়ামী শাসনামলের সফলতা তবে এটিই পূর্ণ চিত্র নয়।

রাজীব হায়দার ওয়াশিকুর রহমান বাবু অনন্ত বিজয় দাশ সহ আরো অনেক নিরপরাধ মানুষ খুন হয়েছেন এই সরকারের বিগত তিন বছরের শাসনামলে। নিজের সরকারের অপকর্ম আর ব্যর্থতাকে কভারয়াপ দিতে গিয়ে শেখ হাসিনা বললেন, “২০০৯ সালের একটি হিসাব অনুযায়ী, বৃটেনে দুই লাখ ৭৫ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক গুম হয়ে গেল। তার মধ্যে ২০ হাজারের কোনো হদিসই পাওয়া গেল না। আমেরিকার অবস্থা আরও ভয়াবহ।”

শাবাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এক বছরে বৃটেনে দুই লাখ ৭৫ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক গুম? ওয়াও! এদিকে ইসলাম প্রেমে মাতাল এক পুলিশ বলেন “নিখোঁজ,গুম,অপহরণ বিষয়গুলো আজকের নয়,এটি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলছে। ” এ সব বলার মা’নেটা কী? আপনার শিক্ষামন্ত্রী আরেকটু সেয়ানা, তিনি ঘোষণা দিলেন, ‘পরীক্ষায় নকল করা, প্রশ্নপত্র ফাঁস ৬৫ সালেও হতো’। বাহ কী চমৎকার। ‘ঘুষ সবাই খায় তবে একটু সহনশীলভাবে খাও’। হুশ বুদ্ধী সব গেছে বেচারার? একদল মাতালের হাটবাজার ছাড়া এই সংসদকে আর কী বা বলা যায়?

বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়, আওয়ামী লীগের শাসনামলে আজ শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য নারীকে পুরুষ বানানো হয় মৌলবাদীদের খুশি রাখতে। পৃথিবীর মানুষ দেখলো আমরা কতো নিচে নেমেছি,আমাদের মানসিকতা কোথায় গিয়ে পৌছেছে। আপনার পুলিশ রাস্তায় নারী পুরুষ একসাথে হাটতে দেখলে বিয়ের কাবিন দেখতে চায়। আল্লাহর দুনিয়ায় এমন নির্লজ্ব ঘটনাও কি কোনো কালে ঘটেছে? ছিঃ অসভ্য। তা এটাও কি আপনার শেখানো পথ নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? ‘নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা বেলেল্লাপনা আমি ভাল পাইনা’ আপনার পুলিশ বুঝি আপনাকেই খুশি করলো? আরেক মাথামোটারা কয়, নিউ ইয়ার্স সেলিব্রেশন করবে ঘরে বসে, আতশবাজি ফটকাবাজি চলবেনা। ছাদে নয় দেয়ালের ভেতরে পুলিশের পারমিশন নিয়ে। আরে শালারা কয় কী? এরাই বাংলাদেশকে তুলনা করে আমেরিকা আর ইংল্যান্ডের সাথে। আমার সন্দেহ হয়, এরা আই এস এর বি টিম নাকি? আরেক মাথাখারাপ মন্ত্রী নাকি বলেছেন, ‘এপ্রিলের আগেই ইমান ঠিক করে নাও, এপ্রিল থেকে যাকে মদ খেতে দেখা যাবে তাকে শুট এট সিন, অন দ্যা স্পট মার্ডার করে ফেলবে। হারামজাদাটা বলে কী? আমার কষ্টার্জিত রুজির টাকা দিয়ে আমি ড্রিংক করবো আমার রিলাক্স, আমার প্রশান্তির জন্যে, দেশটা কি তার বাবার সম্পত্তি নাকি?

তবে এই দুঃশাসন অপশাসনের শেষ পরিনতি কী হয় পৃথিবীর ইতিহাসে তা লিপিবদ্ধ আছে। নাসির নগর, রংপুর, দিনাজপুর, রামু, সাতক্ষীরার হিন্দু বৌদ্ধদের উপর, আওয়ামী সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠা, আওয়ামী লীগারদের সমর্থনপুষ্ট ইসলামি গুন্ডাদের বর্বর আক্রমন, বাংলাদেশের অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কোনোদিন ভুলবেনা। রসরাজ, টিটু, মিঠুন চাকমারা, নির্যাতিত নিপীড়িত জনতা একদিন তাদের ন্যায্য পাওনা সুদেমূলে উঠিয়ে নিবে। সেদিন পালাবার কোনো সুযোগ নাও পেতে পারেন। ভুলে গেলে চলবেনা, এই দিনই শেষ দিন নয় আরো দিন আসবে।

ইংল্যান্ড, জানুয়ারি ২০১৮।

2863 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।