ইমতিয়াজ মাহমুদ

এডভোকেট, মানবাধিকারকর্মী

১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস কেনো?

(১) 
বিজয় দিবস ব্যাপারটা কি সেটা একটু ছোটদের জন্যে বুঝিয়ে বলা দরকার। এই কাজটা সবসময় আমরা করি না। আমরা আমাদের আবেগের কথাটা বলি, সেটাও জরুরি, কিন্তু সাথে শুদ্ধ ঘটনাবলী জানাতে ভুলে যাই। আমরা আমাদের গৌরবের কথা বলি, অহংকারের কথা বলি- সে তো অবশ্যই বলবো। কিন্তু তথ্যগুলিকে মাঝে মাঝেই বিশেষণ আর ক্রিয়াবিশেষণের আড়ালে চাপা দিয়ে দেই।

তরুণ বন্ধুরা, তোমাদেরকে একটা কথা বলে রাখি- তোমরা যখন আমাদের দেশের ইতিহাস পড়বে- হোক সেটা গৌরবের গ্লানির শোক কিংবা ক্রোধের যাই হোক না কেনো- আগে কালানুক্রমিকভাবে ইতিহাসের ঘটনাবলী জানবে।

আবার বলি, কালানুক্রমিকভাবে মানে কিনা Chronologically ঘটনাবলী জানবে আগে। ঐতিহাসিক ঘটনাবলী যদি জানা থাকে আর যদি কন্টেক্সট বা প্রেক্ষাপটটা, তাইলে সেই ঘটনা থেকে আমাদের যেরকম আবেগ হবার কথা ঠিক সেইটা এমনিতেই তোমাদের মাঝে সঞ্চারিত হবে। তার জন্যে আলাদা করে কয়েক কিলোগ্রাম বিশেষণ দিয়ে তোমাকে অভিভূত করার দরকার হবে না। সাবধান থাকতে হবে যেটা নিয়ে, সেটা হচ্ছে কিছু লোক আছে ওরা বিচ্ছিন্নভাবে একটা ছোট ঘটনা তুলে নিয়ে এসে সেটার ভিতর দিয়ে পুরো একটা ঐতিহাসিক অধ্যায় দেখাতে চায়। সেইসব ক্ষেত্রে ভ্রান্তির সম্ভাবনা থেকেই যায়।

একটা উদাহরণ দিই। জিয়াউর রহমান রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা পড়েছিলেন। এইটা একটা সত্যি ঘটনা। কিছু লোক আছে এইটাকে সামনে রেখে বাগাড়ম্বর করে বলতে চাইবে যে জিয়াউর রহমান আমাদের স্বাধীনতার মুল নায়ক ছিলেন, ওর জন্যেই সকলে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে ইত্যাদি। নৈর্ব্যক্তিকভাবে যদি দেখেন, রেডিওতে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ, সেটা যেই করুক যতবারই করুক, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু এইটা কোনো নিয়ামক ঘটনা না। কেনো? কারণ এমনিতে একটা রেডিওতে এসে আর্মির একজন মেজর সাহেব ডাক দিলেই লোকে লাফিয়ে লাফিয়ে যুদ্ধে যোগ দেয় না, দেওয়ার কথাও না। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান একটা সংগ্রামে এইটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ছোট ঘটনা।

আপনি যদি পুরো রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসটা জানেন, তাইলে বুঝতে পারবেন এইসব ঘটনা, জিয়াউর রহমানের ঘোষণা পাঠ বা মওলানা ভাষানির আসসালামালাইকুম, এইসব গুরুত্বহীন ঘটনা নয় বটে- কিন্তু ইতিহাসের মিছিলে এইগুলি হচ্ছে একেকজন অংশগ্রহণকারীর মতো। এদের মহিমা আছে বটে, কিন্তু নির্ণায়ক নয়।

(২) 
বিজয় দিবসের ব্যাপারটা বলতে চাচ্ছিলাম।

প্রথমে আমাকে বলেন ১৬ই ডিসেম্বর কেনো বিজয় দিবস? উত্তরটা সোজা। কারণ ১৬ই ডিসেম্বর আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয় লাভ করেছি। আমরা কারা? আমরা মানে হচ্ছে 'বাংলাদেশ'- আমাদের এই প্রিয় প্রজাতন্ত্র। তাইলে কি ১৬ই ডিসেম্বরের আগেই বাংলাদেশ ছিলো? ১৬ই ডিসেম্বরের আগে আমাদের দেশটা পূর্ব পাকিস্তান ছিলো না? এই জায়গাটা স্পষ্ট হয়ে নিন তরুণ বন্ধুরা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছে ২৬শে মার্চে। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের হিসাবে ১৯৭১ সনের ২৫শে মার্চ রাত বারোটার পর থেকেই আইনগতভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ নামক এই রাষ্ট্রটির জন্ম হয়ে গেছে।

কিভাবে এটা হয়েছে? এইটার আইনগত ভিত্তি কি? এইটার আইনগত ভিত্তি হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যেটা ১৯৭১ সনের ১০ই এপ্রিল তারিখে আমাদের মুজিবনগর সরকার ঘোষণা করেছিলো। সেই ঘোষণাপত্রটিই আমাদের রাষ্ট্রের জন্মের দলিল। সেইখানে স্পষ্ট করে আমরা বলে দিয়েছি যে ১৯৭১ সনের ২৬ মার্চ থেকেই রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হলো।

এইখানে একটা কথা না বলে পারছি না। আপনি যদি আমাদের স্বাধীনতার সময়কার ঘটনাবলী দেখেন তাইলে আমাদের দেশের ফাউন্ডিং ফাদারস যারা ছিলেন, তাদের প্রতি এক বিস্ময়কর শ্রদ্ধায় আপনার মাথা নত হয়ে যাবে। বঙ্গবন্ধু তো তখন কারাগারে। ওঁর সহকর্মীরা তখন একেকজন টগবগে তরুণ। তাজউদ্দীন আহমেদকে দেখেন, আমাদের ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামকে দেখেন, কতোই বয়স তখন ওদের? আমিরুল ইসলাম সাহেবের কথা জানি, তিনি তখন মধ্য তিরিশের যুবক। কি নিপুণ দক্ষতা ও প্রজ্ঞায়ই না এরা এইসব ব্যাপার সামলেছেন। কি করে পারলেন! ওদের জন্যেই আমাদের স্বাধীনতার এই আইনগত দিকটা এইরকম নির্ভুল হয়েছিল।

স্বাধীনতার কথায় আসি। ২৬শে মার্চে যে বাংলাদেশ স্বাধীন হলো এর তাৎপর্য কি? এটার তাৎপর্য অনেক। দুইভাবে আপনি ভাগ করতে পারেন বিষয়গুলি। একভাগ হচ্ছে আমাদের নাগরিকদের সম্প্রতির অধিকার, নাগরিকত্বের অধিকার অন্যান্য আইনগত অধিকার বিষয়ক- এইগুলি সব নির্ধারণের ক্ষেত্রে ১৬ মার্চ হচ্ছে নির্ণায়ক তারিখ। আর আরেকটা হচ্ছে রাজনৈতিক সামরিক ও ডিপ্লোম্যাটিক তাৎপর্য। এটা আলাদা করে বলি।

(৩) 
একাত্তর সনের ২৬শে মার্চ তারিখ থেকে আমরা যদি স্বাধী দেশ হয়ে থাকি, তাইলে আমাদের যুদ্ধ আর পাকিস্তানী সেনাবাহিনী সেইসবের স্ট্যাটাস কি দাঁড়ায়। এইটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেহেতু বলছি যে ২৬শে মার্চ থেকে আমরা স্বাধীন তাইলে আমাদের কাছে ২৬ মার্চ সকাল থেকে যুদ্ধটা হয়ে গেলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যুদ্ধ। দুইটা দেশের মধ্যে যুদ্ধ। এটা আর একই দেশের দুই মিলিটারি আর একটি প্রদেশের জনগণের মধ্যে যুদ্ধ থাকলো না। এটা আর বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকারীদের সাথে পাকিস্তানী মিলিটারির সংঘর্ষ থাকলো না। ১৯৭১ র যুদ্ধটা হয়ে দাঁড়ালো বাংলাদেশ আর পাকিস্তান- দুইটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ।

বলতে পারেন যে ২৬শে মার্চ থেকে যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্ব শুরু হয়ে গেল এটা আমার কিরকম রাষ্ট্র? প্রপার একটা সরকার নাই, এর রাজনৈতিক নেতারা বিদেশে, এর মিলিটারি নাই, গোটা দেশ দখল করে রেখেছে পাকিস্তান আর্মি- এটা কি একটা দেশ হলো নাকি? এই জন্যেই তো যুদ্ধ। একটা রাষ্ট্র তো আর একদিনে পুরাপুরি তৈরি হয়ে যায় না। আমরা আমদের রাষ্ট্র গঠন করলাম একাত্তরের ২৬শে মার্চ থেকে। এরপর এর সরকার গঠিত হলো, এর ডাক বিভাগ তৈরি হলো, এর সেনাবাহিনী তৈরি হলো, এর পররাষ্ট্র বিভাগ গঠিত হলো। প্রবাসেই হচ্ছিলো সব। ছোট ছোট করে হচ্ছিলো। একটা ছোট বাড়ীতে পুরো দেশের সরকার। কিন্তু ঐটাই আমাদের সরকার। আমাদের প্রথম সরকার। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ছোট একটা অফিসে বসে রাষ্ট্রদূতদের নিয়োগ দিচ্ছেন, বিশেষ দূতদের নিয়োগ দিচ্ছেন। পাশেই আরেকটা ঘরে আমাদের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সেটা হয়তো টাইপ করে স্বাক্ষর করে তুলে দিচ্ছে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিটির হাতে। আর সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি মহা পবিত্র সেই চিঠি নিয়ে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে রওনা দিচ্ছেন পৃথিবীর এক কোনা থেকে আরেক কোনায়। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকারকে, ওদের নেতাদেরকে গিয়ে বুঝাচ্ছেন, দেন দরবার করছেন- দেখো বাংলাদেশ একটি দেশ, নতুন বটে, কিন্তু স্বাধীন দেশ। আমরা একটা যুদ্ধ লড়ছি- ন্যায়ের যুদ্ধ। আমাদেরকে স্বীকৃতি দাও, আমাদেরকে সাহায্য করো।

আমরা একটি স্বাধীন দেশ ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকেই। ভুল করবেন না। হ্যাঁ, দেশটি পাকিস্তানী মিলিটারিরা দখল করে রেখেছিলো। আমরা পাকিস্তানী মিলিটারির কাছ থেকে আমাদের রাষ্ট্রকে মুক্ত করার জন্যে যুদ্ধ করেছি। এটা ছিলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের যুদ্ধ। এটা গৃহযুদ্ধ নয়।

(৪) 
তাইলে ১৬ই ডিসেম্বরে যে বিজয়টা হলো সেটা কার বিরুদ্ধে কার বিজয়? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের বিজয়? পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের বিজয়? না, ১৬ই ডিসেম্বরে যে বিজয় সেটা বাংলাদেশের সামরিক বিজয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারতও ছিলো আমাদের সাথে। সেই অর্থে বাংলাদেশ ও ভারতের বিজয়ও বলতে পারেন। ভারত দুইভাবেই ছিলো। আমাদের জন্যে ওদের মানবিক সাহায্য ছিলো আর সামরিক সাহায্যও ছিলো। ভারতের অংশগ্রহণের ব্যাপারটা বলি।

ভারতের পক্ষে এই যুদ্ধ থেকে বাইরে থাকা অসম্ভব ছিলো। আমাদের শরণার্থীরা তো ভারতেই আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের প্রবাসী সরকারেরও অবস্থান ছিলো ভারতেই। কিন্তু ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত যুদ্ধটা ছিলো একান্তই আমাদের। ২৬ মার্চ দেশ স্বাধীন হলো। তারপর আমাদের সরকার গঠিত হয়েছে, আমাদের পুলিশ আমাদের আর্মি আমাদের নৌবাহিনী সবকিছুই আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়েছে একের পর এক। আমাদের ডাক বিভাগ চালু হয়েছে, আমাদের ডাকটিকিট ছাপা হয়েছে। সব কিছু। ডিসেম্বরের তিন তারিখে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলো- পাকিস্তান ভারতের অনেকগুলি বিমান ঘাঁটি আক্রমণ করে শুরু করেছিলো এই যুদ্ধ। বিমানঘাঁটিগুলি ছিলো ঐদিকের- রাজস্থান পাঞ্জাব ঐসব এলাকায়।

ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ যখন শুরু হলো, পশ্চিম ফ্রন্টে তো ইন্ডিয়া পাকিস্তান সীমানায় ওদের যুদ্ধ করা করছিলো। সমস্যা হলো বাংলাদেশ নিয়ে। আমাদের সরকার বললো যে না, এটা তো পাকিস্তান না, এটা বাংলাদেশ। তোমরা আগে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দাও যে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, কেবল তারপরেই তোমরা আমাদের সাথে একসাথে হয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামতে পারো। ভারত সেটা মেনে নিয়ে আমাদেরকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কেবল তার পরেই বাংলাদেশ সরকার ও ভারত সরকার মিলে ইস্টার্ন ফ্রন্টে একসাথে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর সেই অনুযায়ী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী আর ভারতের সামরিকবাহিনী মিলে যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়েছে।

যৌথ বাহিনীর কমান্ড একজন ভারতীয় জেনারেলের হাতে দেওয়া হলো। এটাই সঙ্গত ছিলো। কারণ যৌথ বাহিনী দুই পার্টনার মানে ভারত আর বাংলাদেশের মধ্যে ভারত বড় পার্টনার, ওর আর্মি বড়, ওর অফিসাররা সিনিয়ার ওর অফিসাররা দক্ষ আর ওদের কামান বন্দুক গোলা বারুদ বেশী। ওদের জেনারেলরাই তো যৌথ কমান্ডে নেতৃত্ব দেবে। জেনারেল অরোরা ছিলেন আমাদের যৌথ বাহিনীর নেতৃত্বে।

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ বাহিনী হওয়ার পর ডিসেম্বরের তিন থেকে ষোল এই তেরদিনের যুদ্ধের পর পাকিস্তানী বাহিনী হেরে গিয়ে নতজানু হয়ে আমাদের যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলো। ষোল তারিখ এইজন্যে বিজয় দিবস।

(৫)
তাইলে কি দাঁড়াচ্ছে ব্যাপারটা? ২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, কিন্তু আমাদের দেশটি পাকিস্তানের দখলে ছিলো। বাংলাদেশ পাকিস্তানের আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলো, সেখানে ভারত শেষ পর্যায়ে এসে আমাদের সাথে যুদ্ধে যোগ দেয়। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ বিজয়ের মধ্য দিয়ে দেশটি মুক্ত হয়। স্বাধীন হয়েছে ২৬শে মার্চেই- ১৬ই ডিসেম্বরে কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। ষোলই ডিসেম্বরে বাংলাদেশ রাষ্ট্র পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বিজয় লাভ করে। এইজন্যে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস আর ১৬ই ডিসেম্ববর বিজয় দিবস।

কিছুসংখ্যক লোক দেখবেন নানারকম বিভ্রান্তি ছড়াবে। একদল আছে ওরা বলবে যে ভারত নাকি বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়েছে বা বলে যে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের ফলে বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। এরা ভুল বলে। না, ভারতের ভূমিকা আমাদের জন্যে ওদের মানুষের ত্যাগ এইগুলিকে অস্বীকার করতে পারবেন না। ওদের সেনাবাহিনীর লোকেরা এখানে এসে আমাদের হয়ে লড়তে গিয়ে জীবন দিয়েছে। সেই ঋণ তো আমরা শোধ করতে পারবো না। কিন্তু ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দেয় নি।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্র মেনে, সেটিকে স্বীকৃতি দিয়ে সেই রাষ্ট্রের সরকারকে মেনে তারপর ভারত যুদ্ধে নেমেছে। ভারতের বাহিনী যখন এই দেশের মাটিতে পা রেখেছে, ততদিনে এটা বাংলাদেশ হয়ে গেছে। এটা মেনে নিয়েই ভারত এসেছে। আমাদের নেতারা সেটা নিশ্চিত করেছিলেন। সুতরাং ভারত এসে বাংলাদেশ বানিয়ে দিয়েছে- সাধারণ মানুষ যখন এইসব কথা বলে- ভ্রান্তি থেকে বলে। কিন্তু কিছু কিছু বুদ্ধিমান লোক আবার এই ব্যাপারটা নিয়ে নানারকম মতলববাজিও করে। সাধারণত দেখা যায় যে এরা আওয়ামীলীগকে বা বঙ্গবন্ধুকে খাটো করতে গিয়ে এইসব করে। আর এইসব করতে গিয়ে আমাদের গৌরব আবাদের অর্জন এইসবকেও ম্লান করে।

তরুণরা যদি মুল ঘটনাবলী সম্পর্কে সম্যক ওয়াকেফহাল থাকেন, তাইলে এদের শয়তানীর রাস্তা কঠিন হয়ে যাবে।

3238 times read

নারী'তে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার বিষয়বস্তু, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্যসমুহ সম্পূর্ণ লেখকের নিজস্ব। প্রকাশিত সকল লেখার বিষয়বস্তু ও মতামত নারী'র সম্পাদকীয় নীতির সাথে সম্পুর্নভাবে মিলে যাবে এমন নয়। লেখকের কোনো লেখার বিষয়বস্তু বা বক্তব্যের যথার্থতার আইনগত বা অন্যকোনো দায় নারী কর্তৃপক্ষ বহন করতে বাধ্য নয়। নারীতে প্রকাশিত কোনো লেখা বিনা অনুমতিতে অন্য কোথাও প্রকাশ কপিরাইট আইনের লংঘন বলে গণ্য হবে।